img

ব্রেক্সিট আইন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উঠছে শুক্রবার

প্রকাশিত :  ১৪:৩৭, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯

ব্রেক্সিট আইন ব্রিটিশ পার্লামেন্টে উঠছে শুক্রবার

জনমত ডেস্ক:  ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে ব্রিটেনের বেরিয়ে যাওয়া (ব্রেক্সিট) সংক্রান্ত সকল আইন অনুমোদনের জন্য সংসদে উঠছে শুক্রবার। সম্প্রতি অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতায় জয়ের পর যেন আর তর সইছে না বরিস জনসনের। আসন্ন বড় দিনের উপহার হিসেবে শুক্রবারই আইনটি পাশ করাতে সংসদে উত্থাপন করা হবে বলে নিশ্চিত করেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর এক মুখপাত্র।

মুখপাত্র বলেন, সম্প্রতি ইইউ এর সঙ্গে বরিস জনসনের করা ব্রেক্সিট চুক্তির শর্তাবলি অন্তর্ভুক্ত করে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হবে। ইইউ’র সঙ্গে একটি দীর্ঘমেয়াদি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি করতে সরকার আশাবাদী বলেও জানান এই মুখপাত্র।

প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বরিস জনসনের মূল লক্ষ্য ছিলো যুক্তরাজ্যকে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের করে নিয়ে আসা। তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন, ৩১ অক্টোবরের মধ্যে যে কোনো মূল্যে ব্রিটেনকে ইইউ জোট থেকে বের করে আনবেন। তবে সংসদে বিরোধী পক্ষ ও নিজ দলের আইন প্রণেতাদের বিরোধীতার মুখে তা কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিলো না। তাদের দাবি ছিলো এ বিষয়ে ইইউ’র সঙ্গে একটি সুনির্দিষ্ট চুক্তিতে পৌঁছা।

অনেক নাটকীয়তা শেষে ১৭ অক্টোবর ইইউ ও যুক্তরাজ্য ব্রেক্সিট ইস্যুতে একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে সমর্থ হয়। এর পরদিন ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ সম্মেলনে উপস্থিত নেতারা একযোগে সেই চুক্তির প্রতি সমর্থন জানান। বাকি থাকে কেবল ব্রিটিশ পার্লামেন্টের সমর্থন।

পার্লামেন্টে অনুমোদনের জন্য বিশেষ এক অধিবেশন ডাকেন বরিস জনসন। তবে তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। আবারও সংসদের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ব্রেক্সিট চুক্তি। বাধ্য হয়ে ইইউকে স্বাক্ষরবিহীন এক চিঠির মাধ্যমে ব্রেক্সিট পেছানোর অনুরোধ করেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।

সংসদে এই আইন পাশ করাতে জনসনের সামনে একটি পথই খোলা থাকে। তা হলো- আগাম নির্বাচনের মাধ্যমে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতার মাধ্যমে সরকার গঠন। সে লক্ষ্যে সংসদে আগাম নির্বাচনের আর্তি জানান জনসন। এবার আর সংসদ তাকে বিমুখ করেনি। সিদ্ধান্ত হয় ১২ ডিসেম্বর হবে আগাম নির্বাচন।

সে অনুযায়ী গত ১২ ডিসেম্বর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐতিহাসিক জয় পায় জনসনের কনজারভেটিভ পার্টি। এই জয়কে ব্রেক্সিটের প্রতি যুক্তরাজ্যের মানুষের সমর্থন হিসেবে ধরা হচ্ছে। তাই জনসনের সরকারের এখন মূল লক্ষ্য দ্রুত ব্রেক্সিট চুক্তি সংসদে পাশ করানোর মাধ্যমে যুক্তরাজ্যের নতুন দিনের সূচনা করা। 

ব্রেক্সিট এর আরও খবর

img

অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি স্টেলার আহ্বান

প্রকাশিত :  ০৭:৩১, ০৭ জানুয়ারী ২০২১

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : লন্ডনের আদালতে উইকিলিকস-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত অভিযোগগুলো প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ২০১৯ সালের এপ্রিলে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রত্যাহার করে তাকে ব্রিটিশ পুলিশের হাতে তুলে দেয় ইকুয়েডর। ওইদিনই তাকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের দায়ে দোষী সাব্যস্ত করেন ব্রিটিশ আদালত। এরইমধ্যে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি কম্পিউটার হ্যাক ও গুপ্তচর আইন লঙ্ঘনসহ ১৮টি অভিযোগ দায়ের করা হয়। সোমবার (৪ জানুয়ারি) লন্ডনের একটি আদালতে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণসংক্রান্ত মামলার রায় দেওয়া হয়। বলা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া হবে না। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দুই সপ্তাহের মধ্যে আইনি যুক্তি উপস্থাপনের কথা জানিয়েছে তারা।

বুধবার (৬ জানুয়ারি) অ্যাসাঞ্জের জামিন আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকার দেন তার জীবনসঙ্গী স্টেলা মরিস। জামিন খারিজ হওয়ার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটি প্রচণ্ড হতাশার। জুলিয়ানের বেলমার্শ কারাগারে থাকা ঠিক হবে না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য আমি আইন বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টকেও আহ্বান জানাচ্ছি যেন তারা জুলিয়ানকে ক্ষমা করে দেয়।’

এর আগে গত এপ্রিলেও অ্যাসাঞ্জের জামিন চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন স্টেলা মরিস। জামিন আবেদনের সঙ্গে দেওয়া এক বিবৃতিতে কীভাবে অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়েছিল তাও প্রকাশ করেছিলেন এ আইন গবেষক। মরিস জানান, অ্যাসাঞ্জের সঙ্গে তার দেখা হয় ২০১১ সালে। তখন তাকে সুইডিশ আইন তত্ত্ব নিয়ে গবেষণা করতে বলা হয়েছিল। মরিস বিবৃতিতে লিখেছিলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে জুলিয়ান ও আমার মধ্যে ভালো রকমের বুদ্ধিভিত্তিক ও আবেগী বন্ধন গড়ে ওঠে। আমরা একে অপরের সেরা বন্ধুতে পরিণত হই।’

প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যেও বন্ধুত্ব জোরালো হতে থাকে উল্লেখ করে মরিস জানান, তাদের দুই জনের সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হতে শুরু করে ২০১৫ সাল থেকে। লন্ডনে ইকুয়েডর দূতাবাসে থাকার সময় তাদের দুটি সন্তানও হয়। তাদের একজনের নাম গ্যাব্রিয়েল, অপরজনের নাম ম্যাক্স। অ্যাসাঞ্জ যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা থেকে সন্তানদের আড়াল রাখতে চেয়েছিলেন বলে তখন জানান এ আইন বিশেষজ্ঞ।

ব্রেক্সিট এর আরও খবর