img

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট সম্মাননা পেলেন গোলাম ফারুক শাহীন

প্রকাশিত :  ১১:১১, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট সম্মাননা পেলেন গোলাম ফারুক শাহীন

কমিউনিটি সার্ভিস, নান্দনিক ও মানবিক কাজের জন্য সম্মাননা পেয়েছেন নিউইয়র্কে বাংলাদেশী কমিউনিটি এক্টিভিস্ট গোলাম ফারুক শাহীন। গত এক দশকের বেশী সময় নানাভাবে কমিউনিটির মানুষের জন্য কাজ করছেন এই সংগঠক। কোভিড থেকে শুরু করে রমজান এবং বিভিন্ন সময় কমিউনিটির মানুষের জন্য নিরলসভাবে কাজ করায় এবার নিউইয়র্ক স্টেট সিনেট  লংআইল্যানড এলাকার নিউইয়র্কের ফোর্থ সিনেট ডিস্ট্রিক্টের সিনেটর মনিকা আর মার্টিনেজের পক্ষ থেকে সম্মাননা দেয়া হয়েছে গোলাম ফারুক শাহীনকে। খবর বাপসনিঊজ ।

নিউইয়র্কের লংআইল্যান্ডের হাগপ্যাক সিটিতে নিউইয়র্ক স্টেট বিল্ডিংয়ে আড়ম্বরপূর্ণ অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। কমিউনিটিতে অবদান রাখায় লং আইল্যান্ডের সাফোক কাউন্টিতে প্রথমবারের মত কোন বাংলাদেশী নিউইয়র্ক স্টেটের এমন সম্মাননা পেয়েছেন।

উল্লেখ্য, কোভিডের সময় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কমিউনিটির মানুষকে সেবা দিয়েছিলেন গোলাম ফারুক শাহীন। তাছাড়া প্রতিবারই তিনি পবিত্র রমজানে লংআইল্যান্ডের ব্যাবিলন সিটিতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য ইফতারের আয়োজন করে থাকেন গোলাম ফারুক শাহীন ও তাঁর সংগঠন। সেই ধারাবাহিকতায় এবারো পবিত্র রমজানে মুসল্লীদের জন্য ইফতারের আয়োজন করেছেন।

জাতিসংঘের বিভিন্ন কাজে নিজেকে সম্পৃক্ত রেখে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় গুরুত্বপূর্ন অবদান রাখছেন তিনি। এসব কাজের স্বীকিৃত স্বরুপ তাঁকে এই সম্মাননা দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্ক স্টেট বিল্ডিংয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডিরেক্টর অব ডিস্ট্রিক্ট অপারেশন্স এন্ড প্রোগ্রামস মিস আডিনা বিডেনবেন্ডার। এই সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সিনেটরের সহকর্মীবৃন্দ।

এমন অসাধারণ মুহুর্তে সবার কাছ থেকে অভিনন্দিত হয়েছেন গোলাম ফারুক শাহীন। এক প্রতিক্রিয়ায় এই সম্মাননা পর গোলাম ফারুক শাহীন জানান, এই সম্মাননা পাওয়ার পর দায়িত্ব বেড়ে গিয়েছে। ভবিষ্যতে আরো মানবিক কাজ করুতে অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে এই সম্মাননা।

এর আগে সেন্সাস অর্থাৎ আদম সুমারীর কাজও করেছেন তিনি। মসজিদে মসজিদে গিয়ে মুসলমানদের নাম অর্ন্তভূক্ত করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশী কমিউনিটির উদ্যেগে ফ্রি ফুড বিতরন করেছেন। লংআইল্যান্ড বাংলাদেশীদের প্রথম ফেসটিভ্যাল উপলক্ষ্যে চমৎকার স্মরনিকা প্রকাশিত হয় “হদয়ে লাংআইল্যান্ড নামে। এর সম্পাদক  ছিলেন গোলাম ফারুক শাহীন। প্রতি বছর বাংলাদেশীসহ বিভিন্ন কমিউনিটির মানুষ নিয়ে স্ট্রিট ফেয়ার করে থাকেন গোলাম ফারুক শাহীন।

কমিউনিটি এর আরও খবর

img

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের আলোচনা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত :  ১০:৩৪, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৫২, ০৫ মে ২০২৪

গাজা যুদ্ধে প্রথম দুই মাসে পরিবেশের ক্ষতি ২০টি দেশের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান

জলবায়ু পরিবর্তনের সংকটকালে পরিবেশগত বিপর্যয় রোধে গণমাধ্যমের বিশাল ভূমিকা রয়েছে । বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে 'পরিবেশ সংকটে সাংবাদিকতা' শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলার পাশাপাশি পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকতার জন্য কর্মক্ষেত্রের স্বাধীনতার গুরুত্ব তুলে ধরেন।

৩ মে, শুক্রবার লন্ডন বাংলা প্রেসক্লাব অফিসে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  এতে আলোচক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন সিনিয়র সাংবাদিক, প্রথম আলোর সাবেক কনসাল্টিং এডিটর কামাল আহমেদ ও এটিনএন বাংলার প্রেজেন্টার মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ঊর্মি মাজহার ।

প্রেস ক্লাবের জেনারেল সেক্রেটারি ও সাপ্তাহিক দেশ সম্পাদক তাইসির মাহমুদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্লাব প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের।

আলোচনায় অংশ নিয়ে সাংবাদিক কামাল আহমেদ বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস বিষয়ে আলোচনা করার আগে সাংবাদিকতা করতে গিয়ে যারা প্রাণ দিয়েছেন তাদের স্মরণ করা এবং তাদের হত্যার বিচারের দাবি জানানো বেশি প্রয়োজন। তিনি বলেন, গাজা এবং ইসরাইলের সংঘাতে গাজায় যতজন সাংবাদিক মারা গেছেন এক দশকেও তত সাংবাদিক মারা যাননি।  গাজা-ইসরাইল সংঘাত

বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কী পরিমান প্রভাব পড়ছে সেই বিষয়ে ইউনিভার্সিটি অব লন্ডনের কুইন মেরি কলেজের এক গবেষণার কথা তুলে ধরে কামাল আহমেদ জানান, গাজা যুদ্ধের প্রথম দুই মাসে আকাশপথে বা সাগরে উষ্ণায়নের জন্য দায়ী ক্ষতিকর কার্বন গ্যাসের যতটা উদ্‌গিরণ ঘটেছে, তা জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা ২০টি দেশের বার্ষিক কার্বন নিঃসরণের সমান।

সাংবাদিক কামাল আহমেদ আরো বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সাংবাদিকতা করতে গিয়ে বাংলাদেশে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ক্ষমতাসীনদের প্রভাবে নিগ্রহের শিকার হয়েছেন।

সাংবাদিক ও টিভি প্রেজেন্টার উর্মি-মাজহার বলেন, পরিবেশ নিয়ে সংবাদ পরিবেশন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা অনেক সময় প্রতিবন্ধকতার শিকার হন । কখনো কখনো সমাজের রাঘব বোয়ালরা এমনকি সরকারও এর প্রতিপক্ষ হয়ে দাঁড়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিকদের নির্যাতনের উদাহরণও তুলে ধরেন তিনি । উর্মি-মাজহার আরো বলেন, পরিবেশ নিয়ে সাংবাদিকতার জন্য পড়াশোনার প্রয়োজন রয়েছে।  

ক্লাব প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ জুবায়ের বলেন, পরিবেশ রক্ষায় সর্বক্ষেত্র থেকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে সাংবাদিকতার পাশা-পাশি টিভিতে লাইভ প্রোগ্রাম ও কমিউনিটির বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।

ক্লাব সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ বলেন, স্বাধীন সাংবাদিকতা আমাদের অধিকার । তবে সৎ ও দায়িত্বশীল সাংবাদিকতাও সময়ের দাবী । সাংবাদিকতা পেশায় অর্ধসত্য মিথ্যার চেয়ে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়ায়।  তিনি কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট (সিপিজে) এর সাম্প্রতিক প্রকশিত তথ্য উল্লেখ করে বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বছরের ৭ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ৩ মে পর্যন্ত গাজায় কমপক্ষে ৯৭জন সাংবাদিক মারা গেছেন । এরমধ্যে ৯২জনই হচ্ছেন ফিলিস্তিনী সাংবাদিক।

অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন ক্লাবের সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, সাপ্তাহিক সুরমা সম্পাদক শামসুল আলম লিটন, লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাবের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাসিক দর্পণ সম্পাদক রহমত আলী, কবি ও সাংবাদিক হামিদ মোহাম্মদ, বায়ান্ন বাংলা টিভির এডিটর আনোয়ারুল ইসলাম অভি, কবি ও কমিউনিটি নেতা মজিবুল হক মনি, ক্লাবের সাবেক নির্বাহী সদস্য আহাদ চৌধুরীর বাবু  ও সদস্য জি আর সোহেল।

আলোচনা শেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার তারেক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে ফিলিস্তিনের গাজায় নিহত সাংবাদিকদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়‌।

অনুষ্ঠানে ক্লাবের নেতৃবৃন্দ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি রেজাউল করিম মৃধা, অর্গানাইজিং এবং ট্রেনিং সেক্রেটারি আকরামুল হোসাইন, মিডিয়া এবং আইটি সেক্রেটারি মোঃ আব্দুল হান্নান, এক্সিকিউটিভ মেম্বার আনোয়ার শাহজাহান ও ফয়সল মাহমুদ। অনুষ্ঠান শেষে ক্লাবের পক্ষ থেকে সাংবাদিক কামাল আহমদের হাতে কিছু উপহার তুলে দেওয়া হয়।


কমিউনিটি এর আরও খবর