img

রুমায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফ’র ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

প্রকাশিত :  ১২:২৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:৪৮, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

রুমায় ছাত্রলীগ সভাপতিসহ কেএনএফ’র ৭ সদস্য গ্রেপ্তার

বান্দরবানের রুমায় সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে যৌথ অভিযানে রুমা উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এএসএম এমরানের আদালত এ আদেশ দেন। এর আগে, সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আসামিরা হলেন, ভান নুন নোয়াম (৩৩), বান্দরবানের রুমা উপজেলার মুনলাই পাড়ার বাসিন্দা লাল নুন নোয়াম (৬৮), লাল দাভিদ বম (৪২), চমলিয়ান বম (৫৬), লাল পেক লিয়ান (৩২), লাল মিন বম (৫০) এবং বান্দরবান সদর উপজেলা লাইমি পাড়ার বাসিন্দা ভান বিয়াক বম (২৩)।

বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পুলিশ পরিদর্শক ফজলুল হক বলেন, রুমায় ব্যাংক ডাকাতি, হামলা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অস্ত্র লুটের মামলায় গ্রেপ্তার ৭ জনকে দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত অভিযোগ শুনে আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এর আগে কেএনএফের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সোমবার রাতে ভান মুন নোয়াম বমকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।

এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পুলু মারমা বলেন, কেএনএফের সঙ্গে তার সম্পৃক্ততা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে, এজন্য তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

img

ডিবি কার্যালয়ে মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৮:০৩, ০৫ মে ২০২৪

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবিতে ডাকা হয়েছে ‘চাইল্ড অ্যান্ড ওল্ড এজ কেয়ার’ আশ্রমের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার মিল্টন সমাদ্দারের স্ত্রী মিঠু হালদারকে। 

রোববার (৫ মে) বেলা ১১টার দিকে ডিবি কার্যালয়ে আসেন তিনি। ডিবি পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

গোয়েন্দা মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মানস কুমার পোদ্দার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এরআগে শনিবার (৪ মে) দুপুরে মিন্টো রোডের নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, মিল্টন সমাদ্দার রিমান্ডে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ সেসব বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার আশ্রমের বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে মিল্টনের স্ত্রীকে রোববার দুপুরে ডিবিতে ডাকা হয়। তার স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করবো।

তিনি বলেন, নিজের বাবাকে পিটিয়ে গ্রাম ছেড়ে ঢাকায় এসে মিল্টন সমাদ্দার সাইকোতে পরিণত হয়েছে। তার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয়ে তার কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে। তার উত্থান কীভাবে হলো, তথাকথিত মানবতার ফেরিওয়ালা কীভাবে হলেন, তার অর্থের উৎস কীভাবে আসে, কীভাবে সে দরিদ্র মানুষকে সংগ্রহ করতো এবং কেনইবা তাদেরকে টর্চার সেলে এনে পেটাতেন সবকিছু বিষয় জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে মিল্টন কীভাবে অর্থ উপার্জন করতেন এবং কারা তাকে সহায়তা করতেন তাদেরকেও শনাক্ত করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।

মিল্টন সমাদ্দারের তিন-চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান মিলেছে। সেসব অ্যাকাউন্টে কারা টাকা পাঠাতেন তদন্ত করে জানানো হবে বলেও জানান হারুন অর রশীদ।

এর আগে গত বুধবার (১ মে) রাতে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে মিল্টন সমাদ্দারকে আটক করে গোয়েন্দা-মিরপুর বিভাগ।

পরে রাতে তার বিরুদ্ধে মিরপুর মডেল থানায় বিভিন্ন অভিযোগে তিনটি মামলা হয়। সেসব মামলায় আদালতে সোপর্দ করলে মিল্টনকে তিনদিনের রিমান্ড দেন আদালত।

সম্প্রতি কিছুদিন ধরে মিল্টনের বিরুদ্ধে নানা প্রতারণার অভিযোগে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। মিল্টন ফেসবুকে ভিডিও দিয়ে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন। এরই মধ্যে তার সঙ্গে কাজ করা এবং সংশ্লিষ্ট কয়েকজন তার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ আনেন।