img

পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত

প্রকাশিত :  ০৩:০৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:০৫, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

 পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিলো ভারত

বাংলাদেশসহ এশিয়ার ছয়টি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে ভারতের সরকার।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দেশটির ভোক্তা, খাদ্য ও জন বিতরণ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে ৯৯ হাজার ১৫০ জন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়ার খবর দিয়েছে দেশটির গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।

বাংলাদেশ ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, ভুটান, বাহরাইন, মরিশাস ও শ্রীলঙ্কায় পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে ভারত। তবে কোন দেশে কী পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি করা হবে তা জানা যায়নি।

লোকসভা নির্বাচন সামনে রেখে গত ৮ ডিসেম্বর থেকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশটি এ পণ্যটি রপ্তানি বন্ধ রেখেছিল। তখনকার ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা ছিল।

পরে ২৩ মার্চ রপ্তানি বন্ধের মেয়াদ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য করা হয়। তবে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞার মধ্যেও দুই দেশের আলোচনার ভিত্তিতে বাংলাদেশকে ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। অন্য চার দেশেও স্বল্প পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।

অভ্যন্তরীণ বাজারে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে ভারতের সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। গত বছরের ২৮ অক্টোবর দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি টন পেঁয়াজের সর্বনিম্ন মূল্য ৮০০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করে দেয়। সেই সময় নতুন এই মূল্যসীমা ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কার্যকর থাকবে বলে জানানো হয়।

এদিকে দেশটির কৃষি মন্ত্রণালয় চলতি মৌসুমে আড়াই কোটি টনের বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হতে পারে বলে আগাম তথ্য দিয়েছে। আগের বছর যা ছিল ৩ কোটি টন। অন্যতম প্রধান উৎপাদনকারী অঞ্চল মহারাষ্ট্রে ৩৪ লাখ টন কম হওয়ার কারণেই এবার উৎপাদন কমেছে।

আগের অর্থবছরে বিশ্বের বৃহত্তম রপ্তানিকারক দেশ ভারত রেকর্ড পরিমাণ ২৫ লাখ টন পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল। এপ্রিল থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত ৪৩ কোটি ১৮ লাখ ডলারের পেঁয়াজ রপ্তানি করেছিল, যার মধ্যে বাংলাদেশ ১৮ কোটি ৭৫ লাখ এবং শ্রীলঙ্কা ৪ কোটি ৮১ লাখ ডলারের পেঁয়াজ কিনেছিল।


জাতীয় এর আরও খবর

img

বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে : স্পিকার

প্রকাশিত :  ১৪:৩৮, ১৩ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৪, ১৩ মে ২০২৪

জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের সমাজের মূল ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। অটিজম একটি বিশেষায়িত বিষয়, সমাজের সকলকে এ বিষয়ে সচেতন করতে যথাযথ প্রচারণা চালাতে হবে। 

সোমবার (১৩ মে) বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পরিচালিত বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের স্কুল ‘ব্লু স্কাই’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্পিকার এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান এবং ঢাকা মার্কেন্টাইল কো-অপারেটিভ ব্যাংক লিমিটেডের চেয়ারম্যান গ্রুপ ক্যাপ্টেন (অব.) আবু জাফর চৌধুরী বক্তব্য দেন। বাফওয়া কেন্দ্রীয় পরিষদের সভানেত্রী তাহমিদা হান্নান এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানে শিশুদের অধিকার সংরক্ষণ করেছেন। বঙ্গবন্ধু শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন আইন প্রণয়ন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশুদের জন্য সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ গড়ে তুলতে কাজ করে চলেছেন এবং তিনি বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মকা- গ্রহণ করেছেন।

তিনি বলেন, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন প্রতিটি শিশুকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে। তাদের প্রতিভা ও মেধাকে বিকশিত করার সুযোগ করে দিতে হবে। সমাজের সকলকে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু ও তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে হবে। 

স্পিকার বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক মানবিক সমাজ গঠনে সকলকে এক হয়ে কাজ করতে হবে। এসময় তিনি অটিস্টিক শিশুদের নিয়ে কাজ করার জন্য সায়েমা ওয়াজেদ পুতুলকে এবং বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ‘ব্লু স্কাই’ স্কুল নির্মাণের জন্য বিমানবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। 

পরে স্পিকার ‘কবিতায় মুজিব’ ও ‘বঙ্গমাতা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন এবং ‘ব্লু স্কাই’ স্কুলের শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। এসময় স্পিকারকে ক্রেস্ট ও সম্মাননা দেয়া হয়।

বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও তাদের পরিবারবর্গ, আমন্ত্রিত অতিথি, গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং গণমাধ্যম কর্মীরা এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।