img

ঢাকার তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১০:২০, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

ঢাকার তাপমাত্রা বিবেচনা করে সারা দেশের বিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত নয়: শিক্ষামন্ত্রী

শুধু ঢাকার তাপমাত্রা বিবেচনায় নিয়ে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া যুক্তিযুক্ত হবে না বলে মন্তব্য করেছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী।

তিনি বলেন, দেশের মাত্র পাঁচটি জেলার তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রিতে যাওয়ার সম্ভাবনা জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এই তাপমাত্রা দেশের জন্য নতুন নয়।

রবিবার সকাল ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে মহিলা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষা সপ্তাহ ২০২৪-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, স্কুল বন্ধের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। তাপমাত্রার দোহাই দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমে অভিভাবকরা স্কুল বন্ধের দাবি জানান। অথচ একই সময় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালিত হচ্ছে। আলোচনা-সমালোনার ভিত্তিতে রাষ্ট্র পরিচালিত হয় না।

এই অযুহাতে অভিভাবকদের চাপে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত অনেক স্কুলও বন্ধ করে দিতে হয়েছে। ফলে জনপ্রিয়তার নিরিখে নয়, বাস্তবতার ভিত্তিতে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যেসব জেলায় তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রির বেশি হবে, সেখানকার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারসহ সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ওই এলাকার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দিতে পারে।

মহিবুল হাসান বলেন, এরই মধ্যে আমাদের ১০ দিনের পাঠদান ব্যাহত হয়েছে।

এ ছাড়া বিভিন্ন শ্রেণিতে নতুন কারিকুলাম বাস্তবায়নের বাড়তি চাপ রয়েছে। এসব ঘাটতি পূরণে শনিবারও স্কুল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নতুন কারিকুলামের ধরন অনুযায়ী সারা বছর শনিবার বন্ধ দেওয়া উচিত হবে কি না, সে নিয়ে আলোচনা আছে। তবে পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুযায়ী এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


img

জিপিএ-৫ ও পাসের হারে এগিয়ে মেয়েরা

প্রকাশিত :  ০৯:২৩, ১২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪২, ১২ মে ২০২৪

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফলাফলে জিপিএ-৫ অর্জনের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। পাসের গড় হারের দিক দিয়ে এগিয়ে ছাত্রীরা। ১১টি বোর্ডে এবার গড় পাসের হার ৮৩ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ। সেখানে ছাত্রীদের পাসের হার ৮৫ শতাংশ এবং ছাত্রদের পাসের হার ৮২ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারে ছাত্রদের চেয়ে ছাত্রীরা ২ দশমিক ৬১ শতাংশ এগিয়ে।

এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন মোট ২০ লাখ ১৩ হাজার ৫৯৭ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পাস করেছেন ১৬ লাখ ৭২ হাজার ১৫৩ জন। উত্তীর্ণদের মধ্যে ছাত্রী ৮ লাখ ৬৫ হাজার ৬০০ জন এবং ছাত্র ৮ লাখ ৬ হাজার ৫৫৩ জন। সেই হিসাবে ৫৯ হাজার ৪৭ জন ছাত্রী বেশি পাস করেছে।

অন্যদিকে, জিপিএ-৫ অর্জনের দিকে দিয়েও বেশ এগিয়ে রয়েছে ছাত্রীরা। এ বছর এসএসসিতে সব বোর্ড মিলিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন। তাদের মধ্যে মেয়ে ৯৮ হাজার ৭৭৬ এবং ছেলে ৮৩ হাজার ৩৫৩ জন। সেই হিসাবে ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা জিপিএ-৫ বেশি পেয়েছে ১৫ হাজার ৪২৩ জন।

আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটির সভাপতি এবং ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ছাত্রীরা কয়েক বছর ধরেই এগিয়ে। হঠাৎ এবারই যে তারা ভালো করেছে, তা নয়। তাই ছাত্রীদের এগিয়ে থাকা নিয়ে প্রশ্ন না তুলে ছাত্ররা কেন পিছিয়ে যাচ্ছে, সেটা নিয়ে ভাবা উচিত।

তিনি বলেন, দেখুন, এবার ছাত্রদের চেয়ে প্রায় ৩৬ হাজার ছাত্রী বেশি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে। ছাত্রীরা একাডেমিক পড়ালেখায় সবসময় ভালো। ছাত্ররা অনেক সময় মেধাবী হওয়া সত্ত্বেও হেলায় সময় নষ্ট করে দু-একটা বিষয়ে খারাপ করায় পুরো ফলাফলে প্রভাব পড়ে। হয়তো সে আর জিপিএ-৫ পেতে পারে না। পড়ালেখা থেকে ছাত্রীদের চেয়ে এখন ছাত্রদের ঝরে পড়ার হারও বাড়ছে। সবমিলিয়ে ফলাফলে হয়তো সেটারই প্রভাব পড়েছে।

চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়। পরীক্ষা শেষ হয় ১২ মার্চ। এরপর ১৩ থেকে ২০ মার্চ পর্যন্ত হয় ব্যবহারিক পরীক্ষা। এতে সারাদেশের ৩ হাজার ৭০০ কেন্দ্রে ২৯ হাজার ৭৩৫ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়। এবছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড এবং মাদরাসা ও কারিগরি বোর্ডের অধীনে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২০ লাখ ২৪ হাজার ১৯২ জন।