img

রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশিত :  ১৯:০৬, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

রাজশাহীসহ কয়েকটি জেলায় মৃদু ভূমিকম্প অনুভূত

রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন অঞ্চলে মৃদু ভূমিকম্প সংঘটিত হয়েছে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৪ দশমিক ৪। গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অ্যালার্ট সিস্টেমের তথ্য বলছে, রাত ৮টা ৫ মিনিটে এই ভূমিকম্প হয়। হালকা ভূমিকম্প হওয়ায় কোনো ক্ষয়ক্ষতির তথ্য পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী ছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর, মেহেরপুর, কুষ্টিয়া ও পাবনা জেলায় ভূকম্পন অনুভূত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। মৃদু ভূমিকম্প হওয়ায় এর কম্পন অনুভূত হয়নি অনেকের।

ভারতের নদীয়া জেলার উত্তমপুর শহর থেকে পাঁচ কিলোমিটার দূরে ছিল ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল। এখন পর্যন্ত এই ভূমিকম্পে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, রাত আটটার পরে মৃদু ভূমিকম্প হয়েছে কিনা, এটার মাত্রা কত এ বিষয়ে জানতে অনেকেই যোগাযোগ করেছেন। তবে আমাদের এখানকার সেন্সরে ভূমিকম্প রেকর্ড হয়নি। বিষয়টি ঢাকা অফিস নিশ্চিত করেছেন।


img

আলোচিত 'সানভীস বাই তনি'র ভয়ংকর প্রতারণা, শোরুম সিলগালা

প্রকাশিত :  ১০:৩৩, ১৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৪৫, ১৪ মে ২০২৪

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের বেশ আলোচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনি। যিনি পরিচিত ‘সানভিস বাই তনি’র নামে। রাজধানীতে পোশাক ও কসমেটিক্সের কয়েকটি শোরুম আছে তার। এছাড়া অনলাইনে ড্রেস বিক্রি করেন তিনি। এবার তিনি আলোচনায় এসছেন কোনো পোশাক বা কসমেটিক্স নিয়ে নয়, বরং  প্রতারণার অভিযোগে।

পাকিস্তানি বলে বেশি দামে দেশি পোশাক বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পরিচিত মুখ রোবাইয়াত ফাতেমা তনির বিরুদ্ধে। এ অভিযোগে গুলশানে ‘সানভীস বাই তনি’র শোরুম সিলগালা করা হয়েছে।

সোমবার গুলশান শুটিং ক্লাব এলাকায় পুলিশ প্লাজা মার্কেটে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।

রোবাইয়াত ফাতেমা তনির রাজধানীতে কয়েকটি শোরুম আছে । অনলাইনেও বিক্রি করেন পোশাক এবং কসমেটিক্স। তবে এবার আলোচনায় আসলেন প্রতারণার অভিযোগে।

ভোক্তা অধিকার অধিদফতর জানায়, তৈরি পোশাক বিক্রির লাইসেন্স নিয়ে অবৈধভাবে কসমেটিক্স বিক্রি করা হতো এই আউটলেটে।

ভোক্তা অধিদফতরের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মণ্ডল বলেন, ভোক্তা অধিদফতরের অভিযোগের সফটওয়্যারে এ প্রতিষ্ঠান নিয়ে কিছু অভিযোগ আসার পর প্রতিষ্ঠানটিকে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছিল। তারা দীর্ঘদিন ধরে অনলাইনে এবং এ দোকানে দেশি পোশাকগুলো বিদেশি বলে চড়া দামে বিক্রি করে আসছিল।

আব্দুল জব্বার মণ্ডল বলেন, তারা অনলাইনে পাকিস্তানি ড্রেস বিক্রি করে। কিন্তু ডেলিভারি দেওয়ার সময় দেশি ড্রেস দেয়। শত শত কাস্টমার এভাবে প্রতারিত হচ্ছে।

তিনি বলেন, প্রতারণার বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের শুনানির জন্য নোটিশ করা হয়েছে। তারা সেটি দেখেও জবাব দেয়নি। তারা যেহেতু কোনো জবাব দেয়নি, উপস্থিত হয়নি, আমাদের কাছে মনে হয়েছে এসব অভিযোগের সত্যতা রয়েছে। এখানে এসে সেটার প্রমাণ পেয়েছি। তারা পাকিস্তানি ড্রেসের পক্ষে কোনো কাগজপত্র, প্রমাণ দেখাতে পারেনি। তাদের শুধু ট্রেড লাইসেন্স আছে, সেটা সাধারণ পোশাক বিক্রেতা হিসেবে।’

তিনি আরো বলেন, আমরা তাদের শোরুম বন্ধ করে দিয়েছি। এখন তারা কাগজপত্র নিয়ে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে হাজির হয়ে প্রমাণ দেবে। এ ছাড়া কতগুলো কাস্টমারকে এসব ড্রেস সরবরাহ করা হয়েছে, সেসব তথ্য দেবে।