img

নিজের আইপি অ্যাড্রেস জানবেন যেভাবে

প্রকাশিত :  ১২:৪৯, ২৯ এপ্রিল ২০২৪

নিজের আইপি অ্যাড্রেস জানবেন যেভাবে

নিজের আইপি অ্যাড্রেস (ইন্টারনেট প্রটোকল) সম্পর্কে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী অনেকেই অবগত নন। আমরা সবাই কোনো না কোনো আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে ইন্টারনেটের সঙ্গে যুক্ত হয়ে থাকি। এই আইপি অ্যাড্রেস থেকে চাইলেই যেকোনো ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর অবস্থানের তথ্য ও ইন্টারনেট ব্যবহারের ইতিহাস জানা যায়। চলুন জেনে নেই কিভাবে নিজের আইপি অ্যাড্রেস জানবেন:

পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস
পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস খুঁজে পাওয়া সহজ। এজন্য কম্পিউটার বা স্মার্টফোন থেকে ব্রাউজারে প্রবেশ করে গুগল সার্চ ইঞ্জিনে যেতে হবে। সেখানে ‘হোয়াট ইজ মাই আইপি অ্যাড্রেস’ লিখে সার্চ করলেই পাবলিক আইপি অ্যাড্রেস দেখা যাবে।

প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস
স্মার্টফোন ও কম্পিউটার থেকে দুটি ভিন্ন উপায়ে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস খোঁজা যায়। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলা কম্পিউটার থেকে প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস খোঁজার জন্য প্রথমে সেটিংস মেনুতে ক্লিক করুন। এরপর নেটওয়ার্ক অ্যান্ড ইন্টারনেট অপশন নির্বাচন করে প্রপার্টিজে চাপুন। নিচে স্ক্রল করলেই আইপিভি৪ অ্যাড্রেস পাওয়া যাবে। এটিই প্রাইভেট আইপি অ্যাড্রেস। স্মার্টফোন থেকে প্রাইভেট অ্যাড্রেস খোঁজার জন্য প্রথমে সেটিংসে প্রবেশ করে কানেকশনসে ক্লিক করুন। এরপর ওয়াইফাই অপশনে ট্যাপ করে নেটওয়ার্কের পাশে থাকা সেটিংস আইকনে চাপুন। এবার ভিউ মোর অপশনে ক্লিক করলেই আইপি অ্যাড্রেস দেখা যাবে।

img

পে-পাল সুবিধা পেলে বাড়তো বৈদেশিক মুদ্রা

প্রকাশিত :  ১২:৪১, ১৬ মে ২০২৪

বিশ্বব্যাপী সমাদৃত ও বিশ্বস্ত আর্থিক লেনদেনের ডিজিটাল প্লাটফর্ম পে-পালকে ২৬ বছরেও বাংলাদেশে আনতে পারেনি আইসিটি বিভাগ। দু’শোরও বেশি দেশে পে-পাল কার্যক্রম পরিচালনা করলেও কিসের বাঁধায় বাংলাদেশে আসছে না, এটাই প্রশ্ন সংশ্লিষ্টদের। বলছেন, প্রায় ১০ লাখ ফ্রিল্যান্সারসহ লাখ-লাখ বাংলাদেশি বিদেশে কাজ করছেন। এসব নাগরিক পে-পাল সুবিধা পেলে দেশে বৈদেশিক মুদ্রা বেশি আসতো। 

এদিকে, পে-পাল না আসার কারণ জানা নেই খোদ আইসিটি বিভাগের সচিবের। 

১৯৯৮ সালে অনলাইন লেনদেনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে যাত্রা শুরু করে মার্কিন প্রতিষ্ঠান পে-পাল। প্রতিষ্ঠার পরপরই লেনদেন কিংবা বিল পরিশোধে মাস্টারকার্ডের পরিবর্তে পে-পাল গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। অল্প সময়েই মানি ট্র্যান্সফার সার্ভিসের ভোগান্তি দূর করে কোটি গ্রাহকের আস্থাও অর্জন করে পে-পাল। 

যেকোনও ব্যক্তি-প্রতিষ্ঠান নির্বিঘ্নে হিসাব খুলে বিশ্বব্যাপী লেনদেন করতে পারছে। এই চিত্র পৃথিবীর উন্নত-অনুন্নত মিলিয়ে ২১০টি দেশে। ফলে সহজলভ্যতায় বিশ্বে শীর্ষে থাকায় উদ্যোক্তা কিংবা কাজ সরবরাহকারিরাও খোঁজেন পে-পাল ব্যবস্থা। কিন্তু বাংলাদেশে পে-পাল এখনও আসেনি, কার্যক্রমও  নেই।  

তথ্য-প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তপন কান্তি সরকার বলেন, “পে-পাল আনলেই তো হবে না, যাদেরকে টাকাটা পেমেন্ট করতে হবে সেটা তো নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়াটা কঠিন। “

ফ্রিল্যান্সার কিংবা আউটসোর্সিংয়ে নিয়োজিত বিশাল একটি জনগোষ্ঠী এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক ক্ষেত্রে লেনদেন অনৈতিক উপায়ে সংঘটিত হয় বলে রাজস্বও বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি এবং তাদের পরিকল্পনা আছে আমাদের দেশে আসার। কিন্তু কবে আসবে সেটা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।”

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে নেতৃত্ব দিতে যাদের কাঁধে ভর করছে সরকার- তাদের ভোগান্তি দূর করতে কেনো এগিয়ে আসছে না মন্ত্রণালয়! যেখানে ব্যবহারকারিদের একাউন্টের নিরাপত্তাসহ পারচেজ প্রটেকশন ও ট্রানজেকশনের সুরক্ষা প্রদান করছে, তবুও কেন তোড়জোড় নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের! 

শামসুল আরেফিন বলেন, “পে-পাল আসলে তাদের সুবিধাটা আমরা ব্যবহার করতে পারবো। তবে এখন আমরা জুম সার্ভিস ব্যবহার করছি। যেটা পে-পালের সাবসিডিয়ারি সার্ভিস হিসেবে জুম চালু আছে।”

পে-পালের মতো ডিজিটাল মানি ট্র্যান্সফারের বিশ্বখ্যাত প্রতিষ্ঠানগুলো দেশীয় বাজারব্যবস্থায় যুক্ত হলে তা হবে দেশের জন্য আর্শীবাদ; উজ্জীবিত হবেন বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারীরা বলছেন তথ্য-প্রযুক্তি বিশ্লেষকরা।