img

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে তিন নারীসহ নিহত ২০

প্রকাশিত :  ০৩:২৯, ০৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৪:৫০, ০৪ মে ২০২৪

পাকিস্তানে বাস খাদে পড়ে তিন নারীসহ নিহত ২০

পাকিস্তানে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে তিন নারীসহ কমপক্ষে ২০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ২১ জন। 

শুক্রবার (৩ মে) সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দেশটির গিলগিট বালতিস্তানের কারাকোরাম হাইওয়েতে এ দুর্ঘটনা ঘটে। খবর সংবাদমাধ্যম ডন’র।আহতদের অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানানো হয়েছে।

‘বাসটি রাওয়ালপিন্ডি থেকে গিলগিটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পথে দিয়ামার জেলার হাইওয়েতে এসে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন এবং বাসটি উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়’- বলেন দিয়ামের জেলা উদ্ধার কর্মকর্তা শওকত রিয়াজ।

এ বিষয়ে দিয়ামারের জেলা প্রশাসক ফাইয়াজ আহমেদ বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় উদ্ধারকারী দল। পরে উদ্ধারকাজে অংশ নেয় সেনা হেলিকপ্টার। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় দুজনকে গিলগিট শহরে নেওয়া হয়েছে।

এ দুর্ঘটনায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, আহতদের প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।


img

ইসরায়েলি বসতকারীদের উপর কানাডার নিষেধাজ্ঞা

প্রকাশিত :  ০৮:৩৯, ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:৪০, ১৮ মে ২০২৪

ফিলিস্তিনের পশ্চিম তীর অঞ্চলে সহিংস কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে চার ইসরায়েলি বসতকারীর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কানাডার সরকার। কানাডার ইতিহাসে এই প্রথম কারো বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলো।

নিষেধাজ্ঞার কোপে পড়া এই চার বসতকারী হলেন ডেভিড চাই চাসদাই, ইয়িনন লেভি, জাভি বার ইউসেফ এবং মোশে শারভিত।

শুক্রবার এক বিবৃতিতে কানাডার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, দেশটিতে প্রচলিত ‘স্পেশাল ইকোনোমিক মেজার্স অ্যাক্ট’ নামের একটি আইনের আওতায় এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রত্যাহার হওয়ার আগ পর্যন্ত এই চারজন কানাডায় প্রবেশ বা সম্পত্তি ক্রয় করতে পারবেন না।

মন্ত্রণালয় বিবৃতি জারির পর কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানিয়ে জোলি এক বার্তায় বলেন, ‘কিছুদিন আগে আমি পশ্চিম তীর সফরে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ইসরায়েলি বসতকারীদের সহিংসতার ব্যাপারে আমরা স্পষ্টভাবে জানতে পারি। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেছেন, নানা অত্যাচার ও সহিংসতার মাধ্যমে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিজ বাড়ি ও কৃষিভূমি থেকে উচ্ছেদের চেষ্টা করছেন বসতকারীরা।’

‘এই নিষেধাজ্ঞা জারির মাধ্যমে আমরা ইসরায়েলকে স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই যে কানাডা কখনও ইসরায়েলি বসতকারীদের সহিংসতা সমর্থন করবে না এবং যেসব বসতকারী এ ধরনের কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্ট, তাদেরকে ফলাফল ভুগতে হবে।’

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যে বিস্তৃত, যথাযথ এবং টেকসই শান্তি স্থাপনে সেখানকার অংশীদারদের সঙ্গে সমন্বয়ের ভিত্তিতে কাজ করতে কানাডা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই শান্তি প্রক্রিয়ার প্রাথমিক ধাপ হলো দ্বিরাষ্ট্র সমাধান এবং পশ্চিম তীর ও পূর্ব জেরুজালেমে অবৈধ বসততি স্থাপান এই সমাধানের পথে বড় একটি বাধা।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কানাডা জাতিসংঘের চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের ঘোষণাকে স্বীকৃতি দানকারী দেশ। সেই ঘোষণায় বলা হয়েছে, দখলকৃত এলাকার জনগণের প্রতি কোনো প্রকার অমানবিক ব্যবহার করা যাবে না।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইসরায়েল-ফিলিস্তিনের সীমানা নির্ধারণ করা হয়। সে সময় ইসরায়েল প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো দখল কার্যক্রম চালানো হবে না। কিন্তু পরে আর সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেনি ইসরায়েল। প্রায় প্রতি বছরই একটু একটু করে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গ্রাস করছে বিশ্বের এই একমাত্র ইহুদি রাষ্ট্রের ক্ষমতাবানরা।

গত ৭ অক্টোবর গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিফ) ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধ বাঁধার পর থেকে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়তে থাকে সহিংসতা। জাতিসংঘের হিসেব অনুযায়ী, গত ৭ মাসে মোট ৮০০টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম তীরের বিভিন্ন শহরে। এসব সহিংসতায় প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক মানুষ।

এর আগে গত ২ ফেব্রুয়ারি পশ্চিম তীরে সহিংসতায় সংশ্লিষ্টতার দায়ে চার ইসরায়েলি বসতকারীকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। বৃহস্পতিবার যে চারজনের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে কানাডা, তাদের মধ্যে দু’জনের বিরুদ্ধে সেই মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। এই দু’জন হলেন ডেভিড চাই চাসদাই এবং ইয়িনন লেভি।

সূত্র : রয়টার্স