img

নীলফামারীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত :  ০৯:৪৩, ০৪ মে ২০২৪

নীলফামারীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীলফামারী ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। 

ঘটনাটি শুক্রবার(৫ মে) রাত ১১টার দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেকের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এসময় ওই বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। 

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ডোমার থানা পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়ে ছিল তারা আমাদের উপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার উপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ী ভাঙচুর করেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারো না কারো ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্ব নিধারিত নির্বাচনী পথসভায় আমি বক্তব্য  দিচ্ছিলাম। এসময় খবর আসে আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদর আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলো ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিস্কার হবে৷ আমি এর সুষ্ট বিচার দাবি করছি। 

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহসিন আলী বলেন, এ বিষয়ে দুপক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

img

সাতক্ষীরায় ট্রাক উল্টে ২ শ্রমিক নিহত, আহত ১০

প্রকাশিত :  ০৬:১৯, ১৮ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:২০, ১৮ মে ২০২৪

সাতক্ষীরার নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রাক খাদে পড়ে দুই ধান কাটা শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো অন্তত ১০ শ্রমিক।

শনিবার (১৮ মে) ভোরে সাতক্ষীরার তালা-পাইকগাছা সড়কের হরিশচন্দ্রকাটি এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

নিহতরা হলেন, খুলনার কয়রা উপজেলার বগা গ্রামের তালেব গাজীর ছেলে সাইদুল ইসলাম (৩৮) ও একই উপজেলার মাদারবাড়ীয়া গ্রামের তোফাজ্জল সরদারের ছেলে মনিরুল ইসলাম (৩০)।

আহত শ্রমিক জাহিদুল ইসলাম জানান, তারা গোপালগঞ্জে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। কাজ শেষে পারিশ্রমিক হিসেবে পাওয়া ধান নিয়ে ট্রাকে করে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে হরিশ্চন্দ্রকাটি এলাকায় পৌঁছে ট্রাকটি উল্টে যায়।

তালা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।