img

তপ্ত ঢাকায় বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রকাশিত :  ১৯:৫৫, ০৫ মে ২০২৪

তপ্ত ঢাকায় বজ্রসহ শিলা-বৃষ্টি

প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছিল নগরবাসী। অবশেষে ঢাকায় কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। ঝড়-বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে নগরে। রাজধানীর কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টিও হয়েছে।

আজ রোববার (৫ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় এ শিলা-বৃষ্টি। এর আগে রাত ৯টার দিকে শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া।

সারাদেশে কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাত হতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। দিয়েছিল, সোমবার থেকে বৃষ্টিপাত বেড়ে তাপপ্রবাহ কমার তথ্য। এরপর রাত ৯টার দিকে রাজধানীতে শুরু হয় ঝড়ো হাওয়া। সঙ্গে নামে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। আর সাড়ে ১০টার দিকে শুরু হয় শিলাবৃষ্টি।

আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলেন, রোববার বিকেল ৪টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে দেশের ওপর দিয়ে বজ্রপাত ও বিচ্ছিন্নভাবে শিলাবৃষ্টিসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যেতে পারে। সেজন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এ ছাড়া কাল সোমবার থেকে সারা দেশে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে। এতে করে যেসব জায়গায় তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছিল সেগুলো ধীরে ধীরে প্রশমিত হবে। 


img

‘চাকরির পেছনে না ছুটে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে’

প্রকাশিত :  ০৭:৪৭, ১৯ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪৯, ১৯ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘চাকরির পেছনে ছুটে না বেড়িয়ে নিজে উদ্যোক্তা হয়ে চাকরি দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। 

রোববার (১৯ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় এসএমই পণ্যমেলা-২০২৪ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

নারী উদ্যোক্তা আরও বাড়াতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নারীদের আরও বেশি সুযোগ করে দিতে হবে। তাহলে নারী-পুরুষ সমান তালে এগিয়ে যাবে। নারীদের গৃহস্থালী কাজের স্বীকৃতি দিতে হবে।’এজন্য আমরা নানান সুযোগ-সুবিধা দিচ্ছি। এসব সুবিধা আমাদের ছেলে-মেয়েদের নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০০৯ সালে সরকার গঠন করে ২০১০ থেকে ২০২১ সালের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা করে বাস্তবায়ন করেছি। এরই মধ্যে আমরা স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সুপারিশ পেয়েছি। ২০২৬ সাল থেকে আমরা উন্নয়নশীল দেশ হবো।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া উচিত। একসময় এসব ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাই বড় হবে। তারা উপকৃত হবে, দেশ উপকৃত হবে।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নানান পণ্য উৎপাদন হয়। এগুলো দেশের অভ্যন্তরে বাজারজাত করার সুযোগ তৈরি করতে হবে। নিজের দেশের চাহিদা বাড়ছে। মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানি করার সুযোগ তৈরি করে দিতে হবে। রপ্তানি বহুমুখী করতে হবে। পাশাপাশি দেশের ভেতরে বাজার সৃষ্টি করতে হবে। পদ্মার ওপারে বিশাল কর্মক্ষেত্র তৈরি হয়েছে। সেখানে এসএমই উদ্যোক্তারা কাজ করতে পারেন।’

শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে তিনি বলেন, ‘শ্রমিকদের জীবনমান উন্নত করা, তাদের সুযোগ সুবিধা দেখা, এসব করলে তাদের থেকে বেশি কাজ করিয়ে নিতে পারবেন।’

শিল্পের প্রসারে পরিবেশ সুরক্ষার তাগিদ দিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, ‘জলবায়ুর অভিঘাতে যেন আমরা ক্ষতিগ্রস্ত না হই। শিল্পের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে হবে। সামান্য কয়টা টাকা বাঁচাতে গিয়ে যেন পরিবেশ নষ্ট না হয়। আমরা চাই শিল্প কারখানা গড়ে উঠুক, কিন্তু পরিবেশ নষ্ট না করে।’

তিনি বলেন, ‘করোনা মাহমারি, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, এখন আবার যুক্ত হয়েছে ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের হামলা। এসবের ফলে নানান সংকটে আমদানি ব্যয় বেড়েছে। দ্রব্যমূল্যও বেড়েছে। আমরা সেটি কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছি।’

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমি এখানে দেখছি উদ্যোক্তাদের ৬০ ভাগ নারী। এটা দেখে আমি খুব খুশি। কারণ একটা দেশের বড় অংশকে পেছনে ফেলে দেশকে এগিয়ে নেওয়া যায় না। তাদের সঙ্গে নিয়েই চলতে হবে। উভয়ে সমান তালে এগোলো দেশ এগোবে। পুরুষরাও চাইলে স্ত্রী, মায়ের নামে উদ্যোগ নিয়ে এসএমই ঋণের সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ তারা নিজের নামে তো ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন না। নারীদের নামে করলে পাবেন। আমি বলবো, পুরুষরা চাইলে সে সুযোগটা নিতে পারেন। কারণ আমরা চাই, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা বাড়ুক।’

তিনি বলেন, ‘মানুষের কর্মক্ষমতা ও উদ্যম কাজে লাগাতে পারলে তারা সোনার মানুষ হবে। এরাই সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবে। আমরা এরই মধ্যে ১০০টা ইকোনমিক জোন করেছি। শুধু বিদেশি বিনিয়োগ নয়, দেশি বিনিয়োগও চাই। ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ইকানমিক জোনে জায়গা নিয়ে কাজ করতে পারেন।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘২০০১ সালে গ্যাস বিক্রির মুচলেকা দেইনি বলে ক্ষমতায় আসতে পারিনি। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, দেশের স্বার্থ অন্যের হাতে তুলে দিতে পারি না। বিরোধীদলে থাকতে আমাদের পরিকল্পনা করি। সরকারে এসে সেটি বাস্তবায়ন শুরু করি। ২০০৯ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত আজকের বাংলাদেশ কিন্তু বদলে গেছে। বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। কৃষি, শিল্পসহ নানান খাতে ব্যাপক এগিয়েছি। কৃষিতে গবেষণায় গুরুত্ব দিয়েছি। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরের পর কোনো সরকার দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নেয়নি। বরং পিছিয়েছে। আমরা ক্ষমতায় আসার পর কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও উদ্যোক্তা তৈরির নানান পদক্ষেপ নেই। বেসরকারি খাত উন্মুক্ত করি। ব্যাংক, বিমা, টেলিকম, এয়ারলাইন্সসহ বিভিন্ন খাতে বেসরকারি উদ্যোগের সুযোগ করে দেই। বিদ্যুতেও বেসরকারি খাতকেও সুযোগ দিয়েছি। যাতে উৎপাদন বাড়ে এবং মানুষের কাজের সুযোগ হয়। শুধু উৎপাদন করলে হবে না, এটার সঠিক বাজারজাতকরণেও নজর দেই।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা, এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মাসুদুর রহমানসহ মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা এবং সংশ্লিষ্ট খাতের উদ্যোক্তারা।