img

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

প্রকাশিত :  ১৭:৪৪, ০৬ মে ২০২৪

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।

 সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে আমাদের কিছুটা লোডশেডিং করতে হচ্ছে। বিশেষত গ্রামাঞ্চলে অনেক জায়গায়। এটি আমরা এক মাস ধরে পর্যবেক্ষণ করছি। আমাদের বেশকিছু পাওয়ার প্ল্যান্ট (বিদ্যুৎকেন্দ্র), বিশেষত অয়েল বেইজড (তেলভিত্তিক) পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো বন্ধ আছে। সেগুলো আমরা ধীরে ধীরে চালু করছি। তেলের স্বল্পতা ছিল, অর্থস্বল্পতা ছিল-এ বিষয়গুলোকে নজরদারি করে আমরা এখন একটি ভালো পরিস্থিতিতে আছি।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘এ বিষয়গুলো সংসদে আলোচনা হয়েছে। সার্বিকভাবে সবাই, যারা সংসদ-সদস্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও ওয়াকিবহাল। প্রধানমন্ত্রী আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন যেন গ্রামাঞ্চলে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ যত দ্রুত পারা যায় ব্যবস্থা করতে। আমরা সেই ব্যবস্থা করছি।’

উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ডের পরও লোডশেডিং কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড আবার সর্বোচ্চ চাহিদাও আছে। সেটার মধ্যে তো একটা পার্থক্য আছে। কারণ, এবার আপনারা দেখেছেন বিগত ৫০ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল। সেই তাপমাত্রার জন্য তো আমরা কেউ প্রস্তুত ছিলাম না।’

তিনি বলেন, ‘আমাদের যতটুকু পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব, তার সবটুকুই করা হয়েছে। এর ওপরে যাওয়ার জন্য আমাদের চেষ্টাও ছিল। আমরা করতেও পারতাম। কিন্তু মুশকিলটা হলো অর্থ এবং তেলের সংস্থান। এ দুটো জিনিসকে সমন্বয় করতে হবে। সেটা করতে আমাদের যে সময়টুকু লেগেছে, তখন বেশকিছু জায়গায়, গ্রামাঞ্চলের অনেক জায়গায় লোডশেডিং করতে হয়েছে।’

নসরুল হামিদ বলেন, সোমবার দেখেন জিরো লোডশেডিং। আস্তে আস্তে কিন্তু কমে আসছে। আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো আসছে। যারা তেল আনার কথা তারা আনতে পারছিলেন না। তারা দেরি করছিলেন। আমদানি করা তেলের সংকটের কারণে দেড় হাজার মেগাওয়াট উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। আমরা অভ্যন্তরীণ সোর্স (বিপিসি) থেকে জ্বালানি সমন্বয় করে উৎপাদন বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছি। জ্বালানি স্বল্পতার কারণে বন্ধ থাকা বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো ধীরে ধীরে উৎপাদনে আসছে।

অর্থ ও জ্বালানি সমস্যা আছে উল্লেখ করে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বলেন, এ সমস্যা অনেকটা কমে যাচ্ছে। গ্রামে লোডশেডিংও ধীরে ধীরে কমে যাবে। গরমে বেশি বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়। দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড হয়েছে, আবার চাহিদাও আছে।

গ্রামে বিদ্যুৎ সরবরাহ বাড়ালে শহরে কি লোডশেডিং বাড়বে-এমন প্রশ্নের জবাবে নসরুল হামিদ বলেন, আমার মনে হয় না কোথাও লোডশেডিং করে অন্য জায়গায় দেওয়ার ব্যবস্থাটা করতে হবে। তবে আমি মনে করি, আগের থেকে ভালো অবস্থায় এখন আমরা আছি।

img

কালশীতে পুলিশ বক্সে আগুন দিলো অটোরিকশা চালকরা

প্রকাশিত :  ১২:০৭, ১৯ মে ২০২৪

অটোরিকশা চলাচল বন্ধ করার প্রতিবাদে এবার রাজধানীর মিরপুরের কালশীতে ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দিয়েছে আন্দোলনরত অটোরিকশা চালকরা।

আজ রোববার (১৯ মে) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে কালশী মোড়ে অবস্থিত ট্রাফিক পুলিশের বক্সে আগুন দেয় আন্দোলনকারীরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে পল্লবী থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোখলেসুর রহমান বলেন, কালশীতে আন্দোলনকারীরা সহিংস আন্দোলন করছে। তারা কালশী মোড়ে অবস্থিত একটি পুলিশ বক্সে আগুন দিয়েছে। এটি ট্রাফিক পুলিশের একটি বক্স। আমরা ঘটনাস্থলে আছি, এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিচ্ছি।

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টা থেকে রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে অটোরিকশা চালকরা  বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।

সম্প্রতি বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) কার্যালয়ে সড়ক পরিবহন উপদেষ্টা পরিষদের সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ঢাকায় কোনো ব্যাটারিচালিত রিকশা চালানো যাবে না। এ বিষয়ে শুধু নিষেধাজ্ঞা আরোপ নয়, এগুলো চলতে যেন না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ২২ মহাসড়কে রিকশা ও ইজিবাইক নিষিদ্ধ করা হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করুন।’

বিআরটিএ জানায়, ব্যাটারি অথবা মোটরচালিত রিকশা বা ভ্যান বা অনুরূপ শ্রেণির থ্রি-হুইলারএর কারণে ঢাকা মহানগরীতে সড়ক নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। ফিটনেসের অনুপযোগী, রংচটা, জরাজীর্ণ ও লক্কড়-ঝক্কড় মোটরযান চালানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ গণ্য করে ঢাকাতে ফিটনেসবিহীন অটরিকশা বন্ধ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। অন্যথায় এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।