img

দিরাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাহিত্য মেলা

প্রকাশিত :  ০৮:১৫, ৩০ জুলাই ২০২৩

 দিরাইয়ে বর্ণাঢ্য আয়োজনে সাহিত্য মেলা

বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিরাইয়ে সাহিত্য মেলা ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত সাহিত্য মেলা উপলক্ষ্যে উপজেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‍্যালী বের হয়ে পৌর শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলাস্থ স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী মেলার উদ্বোধন করা হয়।

সকাল ১১ টায় উপজেলা গণমিলনায়তন হলে মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুর রহমান মামুন\'র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী।

বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুনামগঞ্জ জেলা কালচারাল কর্মকর্তা আহমেদ মঞ্জুরুল হক চৌধুরী, দিরাই পৌর মেয়র বিশ্বজিৎ রায় বিশ্ব, কলামিস্ট ও সাহিত্যিক ব্রজেন্দ্র কুমার দাস, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব জগদীশ চন্দ্র রায়, সাংবাদিক আল আজাদ, দিরাই সরকারি কলেজের বাংলা ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের প্রভাষক কবি রফিকুল ইসলাম তালুকদার, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোহন চৌধুরী, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান এডভোকেট রিপা সিনহা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব শাহ আব্দুল তোয়াহেদ, নূপুর চৌধুরী, দিরাই সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাফর ইকবাল। অনুষ্ঠানে দিরাই উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মনিকা দে\'র সঞ্চালনায় বাংলা একাডেমির মহা-পরিচালক মোহাম্মদ নূরুল হুদা\'র লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা শরীফুল আলম।

বেলা ২ টায় দিরাই উপজেলার সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক প্রবন্ধ পাঠ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিকাল ৩ টায় কবিতা, ছড়া, কথাসাহিত্য, নাটক, প্রবন্ধ-গবেষণা প্রভৃতি রচনার কলা-কৌশল ও পদ্ধতিগত দিক বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

বিকাল ৪ টায় সাহিত্য আড্ডায় স্থানীয় লেখকদের স্বরচিত কবিতা, ছড়া পাঠ ও পরিশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশন করেন বাউল শিল্পীবৃন্দ।

img

আজ পর্দা নামছে একুশে বইমেলার

প্রকাশিত :  ০৪:৪৩, ০২ মার্চ ২০২৪

আজ শনিবার (২ মার্চ) পর্দা নামছে অমর একুশে বইমেলার। তবে যে প্রত্যাশা নিয়ে মেলার সময় বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল সে অনুযায়ী বই বিক্রি হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রকাশক ও বিক্রয়কর্মীরা। তাদের ভাষ্য— বেইলি রোডের মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা পাঠকদের আলোড়িত করেছে। এ অবস্থায় মেলা শেষ হওয়ার আগের দিন শুক্রবার হওয়া সত্ত্বেও ভিড় ও বিক্রি ছিল কম।

আবার অনেকে বলছেন, মেলার সময় বাড়ানোর তথ্যটা যে পরিমাণে প্রচার হওয়া দরকার ছিল সেই পরিমাণে হয়নি। তাই অনেকে জানেনই না যে মেলার সময় বেড়েছে।

সাধারণত বইমেলা হয় ২৮ দিনে। তবে এ বছর অধিবর্ষ হওয়ায় মেলা এক দিন বেশি পেয়ে দাঁড়ায় ২৯ দিনে। তার ওপর ২৯তম দিনটি বৃহস্পতিবার হওয়ায় প্রকাশকদের দাবি ছিল মেলার সময় বাড়িয়ে শনিবার পর্যন্ত নেওয়ার। তাদের দাবি মেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ অনুমোদনক্রমে ২৭ ফেব্রুয়ারি ঘোষণা দিয়ে বইমেলার সময় দুদিন বাড়ানো হয়।

এবারের বইমেলা শুরু থেকেই ছিল জাঁকজমকপূর্ণ। প্রথম সপ্তাহের পর থেকে মেলা পুরোদমে জমে ওঠে। এর মধ্যে আবার মেট্রো ট্রেন বইমেলায় যোগ করেছে ভিন্ন মাত্রা। দূরত্ব ও যানজট বিবেচনায় আগে যারা বইমেলায় আসতে নিরুৎসাহ বোধ করতেন এবার মেট্রো ট্রেন তাদেরও নিয়ে এসেছে বইমেলায়। ফলে বিগত বছরগুলোর তুলনায় দর্শনার্থীর ভিড় এবং ভালো বেচাবিক্রি হওয়ায় প্রকাশকদের মুখেও ছিল সন্তুষ্টির ছাপ।

এছাড়া আবহাওয়া ভালো থাকায় প্রকৃতির বিরূপ প্রভাবও পড়েনি মেলায়। ২২ ফেব্রুয়ারি অল্প সময়ের বৃষ্টি মেলার বেচা-বিক্রিতে কিছুটা বিঘ্ন সৃষ্টি করলেও তা প্রকাশক ও পাঠকদের বড় ভোগান্তির কারণ হয়নি। তবে পাঠকের অত্যধিক সমাগমের দিন মেলার ধুলোবালি কিছুটা অস্বস্তিতে ফেলেছে দর্শনার্থীদের।

এদিকে মেলার শেষ সময়েও নতুন বই নিয়ে আসছেন প্রকাশকরা। শুক্রবার বইমেলার ৩০তম দিনেও নতুন বই এসেছে ২১৯টি। শুক্রবার হওয়ায় এদিন মেলা শুরু হয় বেলা ১১টায় আর শেষ হয় রাত ৯টায়। তবে এদিন ছিল না কোনো শিশুপ্রহর। শনিবারও থাকবে না কোনো শিশুপ্রহর।

মেলার শুরু থেকে মূল মঞ্চে প্রতিদিনই থেকেছে আলোচনা এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। লেখক বলছি মঞ্চে থাকতো বই নিয়ে কথোপকথন। বর্ধিত দুই দিনে তা-ও থাকছে না। এই সময়টাতে মূলত বই বিক্রিই মুখ্য বিষয় থাকবে প্রকাশকদের।

শনিবার সমাপনী দিনে মেলা শুরু হবে সকাল ১১টায় এবং চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টায় সমাপনী অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেবেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। প্রতিবেদন উপস্থাপন করবেন ‘অমর একুশে বইমেলা ২০২৪’-এর সদস্য সচিব ডা. কে এম মুজাহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। বিশেষ অতিথি থাকবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। সভাপতিত্ব করবেন বাংলা একাডেমির সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে চিত্তরঞ্জন সাহা স্মৃতি পুরস্কার, মুনীর চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার, রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই স্মৃতি পুরস্কার এবং শিল্পী কাইয়ুম চৌধুরী স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া হবে।