img

সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রকাশিত :  ১৮:১২, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:১২, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

সারাদেশে তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি

প্রচণ্ড গরমে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে জনজীবন। এ অবস্থায় সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে তাপপ্রবাহের এক সতর্ক বার্তায় এই তথ্য জানানো হয়।

সতর্ক বার্তায় বলা হয়, এই অ্যালার্ট তিন দিনের জন্য জারি করা হয়েছে। এই সময় সবাইকে গরম থেকে বাঁচতে সতর্ক থাকতে হবে। তবে সারা দেশে হিট অ্যালার্ট জারি থাকলেও কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে বলে জানান তিনি।

 আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় কুমিল্লা ও কিশোরগঞ্জ অঞ্চলসহ ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

তাপপ্রবাহের বিষয়ে বলা হয়, রাজশাহী, পাবনা ও টাঙ্গাইল জেলাসহ খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ এবং চাঁদপুর ও মৌলভীবাজার জেলাসহ ঢাকা ও রাজশাহী বিভাগের অবশিষ্টাংশ ও বরিশাল বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

আগামীকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। কালও বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। জলীয়বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

এদিকে রবিবারের পূর্বাভাসে বলা হয়, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। একই সঙ্গে বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে।

চিকিৎসকদের মতে, অতিরিক্ত গরমে যে কারও হিটস্ট্রোক হতে পারে। তবে শ্রমজীবী মানুষ, যেমন- পোশাক কারখানার শ্রমিক, কৃষক, রিকশাচালকসহ যারা খোলা ও বদ্ধ জায়গায় কাজ করেন, তাদের এই শঙ্কা বেশি।

আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ (আইসিডিডিআর,বি) হিটস্ট্রোক প্রতিরোধে কিছু সুপারিশ করেছে।সেখানে বলা হয়, কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই হিটস্ট্রোক প্রতিরোধ করা সম্ভব।

তাপপ্রবাহের সময় ডায়রিয়া, আমাশয়সহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। আর এ সময় সুস্থতা নিশ্চিতে দিনের বেলায় যথাসম্ভব বাইরে বের না হতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আর যদি বের হতেই হয়, তাহলে রোদ এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে।

আইসিডিডিআর,বি বলছে, বাড়ির বাইরে বের হলে ছাতা, টুপি-ক্যাপ বা কাপড় দিয়ে যথাসম্ভব মাথা ঢেকে রাখতে হবে। হালকা রঙের, ঢিলেঢালা এবং সম্ভব হলে সুতির পোশাক পরতে হবে। প্রচুর বিশুদ্ধ পানি পান করতে হবে। এমন সব খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়। বাসি ও খোলা খাবার খাওয়া উচিত হবে না।

একটানা পরিশ্রম হয় এমন কাজ দিনের বেলায় না করতে পরামর্শ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বলা হয়েছে, সম্ভব হলে একাধিকবার পানির ঝাপটা নিতে হবে বা গোসল করতে হবে।

প্রত্যেককে তাদের প্রস্রাবের দিকে খেয়াল রাখতে পরামর্শ দিয়ে বলা হয়েছে, রঙ হলুদ বা গাঢ় হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়াতে হবে।

এছাড়া ঘরের পরিবেশ যেন অতিরিক্ত গরম বা ভ্যাপসা না হয়ে ওঠে সেদিকেও খেয়াল রাখতে বলেছে আইসিডিডিআর,বি। অসুস্থ বোধ করলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়েছে।

img

মানুষ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৬:১৬, ০২ মে ২০২৪

সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবদানের কারণে আমার পক্ষে দেশের সার্বিক উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা আনা সম্ভব হয়েছে। মানুষের জীবন মান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সংসদ অধিবেশনে ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল হাইয়ের মৃত্যুতে উপস্থাপিত শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, অনেক সংগ্রামের পথ বেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। আওয়ামী লীগ সরকারে এসেছে বলেই বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়ন হয়েছে। মানুষের জীবনমান উন্নত হয়েছে। বাংলাদেশের জনগণ এখন মর্যাদা নিয়ে বিশ্ব দরবারে চলতে পারেন।

তিনি বলেন, ঝিনাইদহ এমন একটা সন্ত্রাসী এলাকা ছিল যেখানে গ্রামের মানুষ টিকতে পারতো না। সেখানে নির্বাচন করা, রাজনীতি করা অত্যন্ত কঠিন ছিল। সেই অবস্থার মধ্যেও আব্দুল হাই অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে সংগঠন ধরে রাখেন এবং সংগঠনকে সুসংগঠিত করে। আব্দুল হাই অত্যন্ত সাহসী ছিলেন, ভালো সংগঠক ছিলেন। তাই সফলতার সঙ্গে তিনি সংগঠনকে দাঁড় করাতে পারেন।

শেখ হাসিনা বলেন, একসময় ওই এলাকায় গ্রামে মানুষ টিকতে পারত না, অস্ত্রের ঝনঝনানি ছিল। বিএনপি নামক যে দলটি সৃষ্টি হয়েছিল, আন্ডার গ্রাউন্ড পার্টির বেশির ভাগ লোক কিন্তু এই বিএনপিই করতো। সেখানে প্রতিনিয়ত আমাদের নেতাকর্মীর ওপর হামলা হতো। কত লাশ যে পড়েছে, তার হিসাব নেই। সেই অবস্থায় সংগঠনকে গড়ে তোলা এবং বারবার নির্বাচিত হয়ে এসে একটা বিরাট দক্ষতার পরিচয় তিনি দিয়েছিলেন।

সংসদ নেতা বলেন, এটাই সবচেয়ে কষ্ট লাগছে, তিনি এই সংসদে বসতে পারলেন না। এবারও তাকে গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চালানো হয়েছিল। আবার একজন রিট করলো, তার সংসদ সদস্য পদ স্থগিত করা হলো। সেটা আবার আপিল করে স্থগিত করা হয়েছিল বলেই তিনি এই সংসদে বসতে পেরেছিলেন। যিনি বারবার নির্বাচিত হয়ে আসেন, তার ওপর এই ধরনের আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তারপরে তিনি আসতে পেরেছিলেন। তবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নিলেন।

এ সময় নতুন প্রজন্মকে আব্দুল হাইয়ের মতো ত্যাগী নেতাদের অনুসরণের আহ্বান জানান তিনি।

স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরও অংশ নেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক, রেলপথ মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ, তৌহিদুজ্জামান, নাসির শাহরিয়ার প্রমুখ।

এদিন সংসদ সদস্য আব্দুল হাই ছাড়াও সাবেক সংসদ সদস্য শামছুল হক ভূঁইয়া, আবুল হাসেম খান, পিনু খান, নজির হোসেন ও মোখলেছুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষা সৈনিক, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর একুশের পদকপ্রাপ্ত গোলাম আরিফ টিপু, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রবীণ সাংবাদিক ও প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য ও একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ড. প্রণব কুমার বড়ুয়ার মৃত্যুতে সংসদ অধিবেশনে শোক প্রকাশ করা হয়।