img

এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা

প্রকাশিত :  ০৫:২৮, ২০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩০, ২০ এপ্রিল ২০২৪

এবার পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ২৭ বস্তা টাকা
দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে

কিশোরগঞ্জের আলোচিত পাগলা মসজিদের দানবাক্স এবার ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছে। নয়টি দানবাক্স খুলে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে।

অন্যান্য সময় আটটি থাকলেও দুই বার থেকে আরেকটি বাড়ানো হয়েছে। ফলে নয়টি দান সিন্দুক থেকে এবার পাওয়া গেলো ২৭ বস্তা টাকা। জেলা শহরের ঐতিহাসিক মসজিদটিতে রাখা দানবাক্সগুলো প্রতি তিন মাস পরপর খোলা হয়। রমজানের কারণে এবার এবার খোলা হয়েছে চার মাস ১০ দিন পর।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে নয়টি দানবাক্স খোলা হয়েছে। নয়টি দানবাক্সে ২৭ বস্তা টাকা পাওয়া গেছে। এখন গণনার কাজ চলছে। গণনা শেষে কী পরিমাণ টাকা জমা পড়েছে সেটা বলা যাবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ রাসেল শেখ জানান, কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো হয়েছে। টাকা গণনা শেষে ব্যাংকে পৌঁছে দেওয়া পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। 

টাকা গণনা কাজে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, কর্মচারীরা ছাড়াও মাদরাসার ১১২ ছাত্র, ব্যাংকের ৫০ স্টাফ, মসজিদ কমিটির ৩৪ জন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ১০ জন সদস্য অংশ নিয়েছেন।

দানবাক্সগুলো খোলার পর গণনা দেখতে মসজিদের আশপাশে ভিড় করছেন উৎসুক মানুষ। তাদের মধ্যে অনেকে এসেছেন দূর-দূরান্ত থেকে।

উল্লেখ্য, জেলা শহরের হারুয়া এলাকায় নরসুন্দার তীরে প্রায় ১০ শতাংশ জমিতে পাগলা মসজিদ গড়ে ওঠে। বর্তমানে সেটি সম্প্রসারিত হয়ে ৩ একর ৮৮ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।

এর আগে ২০২৩ সালের ৯ ডিসেম্বর তিনমাস ২০ দিন পর দানবাক্সগুলো খোলা হয়েছিল। তখন ২৩ বস্তায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। ঐতিহাসিক এই মসজিদের দানবাক্সে একসঙ্গে এতো টাকা পাওয়াটা তখন ছিল নতুন রেকর্ড। এবার সে রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও মসজিদে নিয়মিত হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগলসহ বিভিন্ন ধরনের জিনিসপত্র দান করেন বিভিন্ন জেলা থেকে আসা অসংখ্য মানুষ।

img

কামারখন্দে বয়লার বিস্ফোরণে শ্রমিক নিহত

প্রকাশিত :  ০৭:৪২, ০৩ মে ২০২৪

দানবাক্সের টাকা গণনা চলছে

চাতালে ধান সেদ্ধ করার সময় সিরাজগঞ্জের কামারখন্দে বয়লার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে  ফজল আলী (২৬) নামে এক শ্রমিক নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হন আরও দুই শ্রমিক।

শুক্রবার (৩ মে) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে জামতৈল পশ্চিমপাড়ার মেসার্স আজাহার চালকলে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজল আলী (২৬) উপজেলার জামতৈল পশ্চিমপাড়ার রবিয়াল হোসেনের ছেলে।

আহত শ্রমিকরা হলেন- উপজেলার জামতৈল পশ্চিমপাড়ার মৃত পলান শেখের ছেলে জহুরুল শেখ (২৬) ও কর্ণসূতি পশ্চিম পাড়ার মৃত সুরুত মন্ডলের ছেলে জিন্নাহ মন্ডল (৩০)।

আহত শ্রমিক জহুরুল শেখ জানান, ধান সেদ্ধ করার এক পর্যায়ে ভোর সাড়ে ৪টার দিকে বিকট শব্দে বয়লার বিস্ফোরণ হয়। এতে আমিসহ ফজল ও জিন্নাহ আহত হই। আমি আর জিন্নাহ হাসপাতালে ভালো চিকিৎসা না পেয়ে বাড়িতে চলে এসেছি আর ফজলের অবস্থা খুবই খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

জহুরুল আরও জানান, আমি গত এক বছরের বেশি সময় ধরে এই চালকলে কাজ করছি। এর মধ্যে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হলেও বয়লার পরিবর্তন করা হয়নি।

নিহত ফজলের ভাই আসলাম হোসেন জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে ধান সেদ্ধ করার এক পর্যায়ে বয়লার বিস্ফোরণে ফজল গুরুতর আহত হয়। প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর সেখানকার চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

মেসার্স আজাহার চালকলের স্বত্বাধিকারী আজাহার আলী রাজা দাবি করেন, গত ছয় মাস আগে বয়লার ও কয়েক দিন আগে বয়লারের পাইপ পরিবর্তন করা হয়েছে। বয়লার কেন বিস্ফোরণ হলো বুঝতে পারছি না।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সুমনুল হক জানান, বয়লার বিস্ফোরণে আহত তিনজন শ্রমিককে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। দু’জনকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়ে। এদের মধ্যে ফজল নামে একজন শ্রমিকের মুখের অনেকাংশ থেতলে গেছে। তার অবস্থা খুবই গুরুতর।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাহীন সুলতানা জানান, মেসার্স আজাহার চালকলে বয়লার বিস্ফোরণের খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে যাচ্ছি, এ ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে।