রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেটে ট্রেনে পায়ের আঙুল কাটা পড়েছে তেল, গ্যাস, খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব আনু মুহাম্মদের।
রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।
জানা যায়, খিলগাঁওয়ে ট্রেনে বা পায়ের আঙ্গুল কেটে যাওয়ার পর দ্রুত আনু মুহাম্মদকে নেওয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে। সেখানেই তার চিকিৎসা চলছে। ওই দুর্ঘটনায় তার বা পায়ের সব আঙ্গুল কাটা পড়ে বলে জানা গেছে।
আনু মুহাম্মদ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ছিলেন। ১৯৮২ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে যোগদান করেন। তিনি ২০২৩ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন।
গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল এইচ ই দাউদা এ জাল্লো জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার তহবিল অপর্যাপ্ত।
গাম্বিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) বানজুলে দেশটির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।
বানজুলে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করার জন্য তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।
সাক্ষাতকালে ড. হাছান মাহ্মুদ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রতিবন্ধকতাসমূহও তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূম মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রতিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর প্রেক্ষিতে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা সরোজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।
গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ সময় রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এ মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত ফান্ডের বিষয়টিও তুলে ধরেন। ওআইসিতে গাম্বিয়ার সভাপতিত্ব থাকাকালীন সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নিকট হতে আরও সহযোগিতা প্রাপ্তির বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহ্মুদ এ মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদানের আশ্বাস দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।