img

১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা

প্রকাশিত :  ১৬:১৭, ২১ এপ্রিল ২০২৪

১৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৪ হাজার কোটি টাকা

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১২৮ কোটি ১৫ লাখ মার্কিন ডলার। দেশীয় মুদ্রায় যা ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।  

রোববার (২১ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।

প্রতিবেদন বলছে, এসময়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১১ কোটি ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৭ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১০৮ কোটি ৮১ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৯ লাখ ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। 

এর আগে মার্চ মাসে দেশে রেমিট্যান্স আসে ১৯৯ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে এসেছে ২১০ কোটি ডলার এবং ফেব্রুয়া‌রি‌তে আসে ২১৬ কো‌টি ৬০ লাখ ডলার।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স আসে ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। 

এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। যা সর্বোচ্চ পরিমাণ রেমিট্যান্স।

img

তীব্র তাপপ্রবাহে লবণ উৎপাদনে রেকর্ড

প্রকাশিত :  ১৪:২০, ০৪ মে ২০২৪

তাপপ্রবাহে লবণ উৎপাদনে ৬৩ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড গড়ার দ্বারপ্রান্তে দেশ। তীব্র তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকলে চলতি মৌসুমের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েও কয়েক লাখ টন বাড়তি লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিক। 

কক্সবাজার ও চট্টগ্রামের বাশখালী উপকূলে লবণ চাষে আশীর্বাদ হয়ে এসেছে চলমান তীব্র তাপপ্রবাহ। মাঠে গরমের তাপ আর বাতাস আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে লবণের উৎপাদন।

মৌসুমের শেষ পর্যায়ে এসে গড়ে প্রতিদিন উৎপাদিত হচ্ছে ৩৫ হাজার মেট্রিকটন লবণ। গত বছর এই সময়ে যা ছিল গড়ে ৩০ থেকে ৩২ হাজার মেট্রিকটন।

২০২২-২৩ মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হয়েছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। আর গেল ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত উৎপাদিত হয় ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন। অর্থাৎ ওইদিনই আগের বছরের বার্ষিক উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যায়। আগামী এক সপ্তাহ বৃষ্টি না হলে চলতি বছর লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা সকলের।

রেকর্ড লবণ উৎপাদনে খুশি মাঠ পর্যায়ের চাষি, ব্যবসায়ী ও লবণে নির্ভরশীল কক্সবাজারের মানুষ। 

তারা জানান, উৎপাদন হলেও দাম পাওয়া যাচ্ছেনা। গরম বেশি পড়ছে তাতে তিনদিনের মধ্যে আমরা লবণ তুলতে পারছি।

লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হলে লবণ আমদানির কোনো প্রয়োজনই হবে না।

বাংলাদেশ লবণ চাষি কল্যাণ পরিষদ সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী বলেন, “লবণ উৎপাদনে কোনো সময়ই আমরা ২২ ক্রস করতে পারিনি। এবার হয়তো সেটা সম্ভব হবে।”

চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদিত হচ্ছে ৬৮ হাজার ৩৫৭ একর জমিতে। গত বছর যা ছিল ৬৬ হাজার ৪২৪ একরে। চাষির সংখ্যাও এক হাজার ২২৮ জন বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪০ হাজার ৬৯৫ জনে। 

কক্সবাজার বিসিক উপ-মহাব্যবস্থাপক মো: জাফর ইকবাল ভুঁইয়া বলেন, “মওসুমটা প্রলম্বিত, এর সঙ্গে জমির পরিমাণও এবছর বৃদ্ধি পেয়েছে। যেটা ১৯ একরের বেশি। আমরা আশাবাদি, এই আবহাওয়াটা যদি আরও কয়েকদিন থাকে তাহলে টার্গেট ২৫ লাখ ২৮ হাজার মেট্রিক টন অর্জিত হবে।”

লাভবান হতে চাষিদেরকে ধীরে ধীরে ক্রুড লবণ বিক্রির পরামর্শ বিসিকের।