img

বৃষ্টি কামনায় রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

প্রকাশিত :  ০৫:৩৪, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৬, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

বৃষ্টি কামনায় রাজধানীতে ইসতিসকার নামাজ আদায়

সারাদেশে তীব্র দাবদাহে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে তাপমাত্রা। এমন অবস্থায় বৃষ্টির আশায় আকাশপানে তাকিয়ে আছে মানুষ। বৃষ্টি কামনায় রাজধানীর আফতাবনগরে ইসতিসকার নামাজ আদায় করেছেন নগরবাসী।

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ১০টায় রাজধানীর আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ মুসল্লিদের নিয়ে সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ আদায় করেন তিনি।

নামাজ শেষে অনাবৃষ্টি এবং গরম থেকে মুক্তির জন্য মহান আল্লাহর রহমত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে মুসল্লিরা অঝোরে চোখের জল ছেড়ে দেন এবং তওবা ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

গতকাল সোমবার নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নামাজে অংশ নেওয়ার জন্য আহ্বানও জানিয়েছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। ওই পোস্টে তিনি লিখেছেন, তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত৷ ওষ্ঠাগত মানুষ ও পশুপাখির জীবন৷ হুমকির মুখে ফল ও ফসল৷ এ সময়ে প্রয়োজন রহমতের বৃষ্টি৷ প্রিয়নবী (সা.) এমন অনাবৃষ্টিতে লোকদেরকে নিয়ে মাঠে বেরিয়ে যেতেন এবং ইস্তিসকা তথা বৃষ্টি প্রার্থনার সালাত আদায় করতেন। (বুখারি, মুসলিম)। তিনি দেশের সকল ইমাম-খতিব ও দায়িত্বশীলদের প্রতি সালাতুল ইস্তিসকার সুন্নাহ জিন্দা করার বিনীত আহ্বান জানান৷

ফেসবুকে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় আফতাবনগর ঈদগাহ মাঠে সালাতুল ইস্তিসকার সালাত আদায় করার কথা জানান তিনি। এজন্য আশপাশের লোকজনকে নামাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

নামাজ চলাকালীন প্রচারিত একটি ভিডিওতে দেখা যায়, মুসল্লিরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করছেন। এতে ইমামতি করেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। পরে আরবিতে খুতবা দেন। যেখানে তীব্র গরমের কথা উল্লেখ করে আল্লাহর কাছে বৃষ্টির প্রার্থনা করেন। আশপাশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা নামাজে অংশ নেন। এ সময় প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে মুক্তিসহ দেশ ও জাতির কল্যাণ প্রার্থনা করা হয়।

img

‘রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা প‌রিচালনার তহ‌বি‌ল অপর্যাপ্ত’

প্রকাশিত :  ২০:১৬, ০৩ মে ২০২৪

গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল এইচ ই দাউদা এ জাল্লো জানিয়েছেন, রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা প‌রিচালনার তহ‌বি‌ল অপর্যাপ্ত।

গাম্বিয়ার স্থানীয় সময় শুক্রবার (৩ মে) বানজুলে দেশ‌টির বিচারবিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এ কথা বলেন। রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলার দ্রুত নিরসনে আশাবাদও ব্যক্ত করেন তিনি।

বানজুলে ওআইসির ১৫তম শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক-প্রস্তুতিমূলক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের সভার সাইডলাইনে হওয়া বৈঠকে গাম্বিয়ার বিচারবিষয়ক মন্ত্রী মিয়ানমার হতে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে মানবিক বিবেচনায় আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রতি আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা পরিচালনার জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করার জন্য তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

সাক্ষাতকালে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর রক্ষণাবেক্ষণে বাংলাদেশ কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরার পাশাপাশি ভবিষ্যত প্রতিবন্ধকতাসমূহও তুলে ধরেন। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানের লক্ষ্যে বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজভূম মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন শুরু করার প্রতিও পররাষ্ট্রমন্ত্রী গুরুত্বারোপ করেন। এর প্রেক্ষিতে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর বর্তমান অবস্থা সরোজমিনে দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী ও অ্যাটর্নি জেনারেল এ সময় রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার বর্তমান চিত্র তুলে ধরেন। এবং মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলার অভিযোগ প্রমাণে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তবে একই সঙ্গে তিনি এ মামলা পরিচালনার জন্য প্রয়োজনের তুলনায় অপর্যাপ্ত ফান্ডের বিষয়টিও তুলে ধরেন। ওআইসিতে গাম্বিয়ার সভাপতিত্ব থাকাকালীন সদস্য রাষ্ট্রসমূহের নিকট হতে আরও সহযোগিতা প্রাপ্তির বিষয়ে গাম্বিয়ার বিচার বিষয়ক মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এর প্রেক্ষিতে ড. হাছান মাহ্‌মুদ এ মামলা পরিচালনার জন্য বাংলাদেশের পক্ষ হতে প্রয়োজনীয় আইনি সাহায্য ও সাক্ষ্য প্রমাণ প্রদানের আশ্বাস দেন।

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে আন্তর্জা‌তিক বিচা‌র আদালতে (আই‌সি‌জে) গাম্বিয়া মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করে।