img

দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

প্রকাশিত :  ০৫:১৫, ২৪ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:৩৮, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

দুপুরের মধ্যে ঝড়-বৃষ্টির আভাস, নদীবন্দরে সতর্কতা

কয়েক দিনের প্রবল তাপপ্রবাহে ওষ্ঠাগত প্রাণ-প্রকৃতি। এ পরিস্থিতিতে সিলেটের ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় বয়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। উক্ত এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়া অফিসের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সিলেট জেলার ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এদিকে বৈশাখের শুরু থেকেই সারাদেশে বইছে তীব্র দাবদাহ। এর ফলে জনজীবনে হাঁসফাঁস অবস্থা। শুধু তাই নয় মঙ্গলবারই (২৩ এপ্রিল) দেশের বিভিন্ন এলাকায় হিটস্ট্রোকে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। দেশের বিস্তীর্ণ এলাকায় চলমান তাপপ্রবাহে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে উঠলেও শিগগির কোনো সুখবর মিলছে না। আবহাওয়াবিদরা বলছেন, বৃষ্টি ছাড়া এমন পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ মিলবে না। 

বুধবার (২৪ এপ্রিল) থেকে তাপমাত্রার আরও বাড়তে পারে। আগামী পাঁচদিনেও আবহাওয়ার অবস্থায় উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই।

গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল পাবনার ঈশ্বরদীতে ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া খুলনা ও যশোরে ৪০ দশমিক ৪, পটুয়াখালীর খেপুপাড়া ও রাজশাহীতে ৪০ দশমিক ২ ও মোংলায় ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আরও জানায়, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বিরাজমান তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। জলীয় বাষ্পের আধিক্যের কারণে অস্বস্তি বিরাজ করতে পারে।


img

নীলফামারীতে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, আহত ২০

প্রকাশিত :  ০৯:৪৩, ০৪ মে ২০২৪

উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে নীলফামারী ডোমার উপজেলার পাঙ্গা বাজারে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ জন আহত হয়েছেন। 

ঘটনাটি শুক্রবার(৫ মে) রাত ১১টার দিকে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে পাঙ্গা বাজারে ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেকের নির্বাচনী পথসভা চলছিল। এসময় ওই বাজারে টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি তার সমর্থকদের নিয়ে একটি নির্বাচনী মিছিল বের করেন। একই সঙ্গে একই স্থানে দুই প্রার্থীর প্রচারণায় এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা টেলিফোন মার্কার প্রার্থীকে মিছিল শেষ করার অনুরোধ করেন। এ ঘটনায় প্রথমে বাকবিতন্ডা শুরু হয় ও পরে তা সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন কর্মী-সমর্থক আহত হন। 

পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে ডোমার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন ডোমার থানা পুলিশ। এছাড়াও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সহকারি পুলিশ সুপার (ডোমার-সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুল আলম।

এদিকে ঘটনাস্থল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের একাউন্ট থেকে লাইভে আসেন টেলিফোন প্রতীকের প্রার্থী সরকার ফারহানা আকতার সুমি। ফেসবুক লাইভে তিনি বলেন, আমরা পাঙ্গায় এসেছিলাম, এখানকার প্রার্থী আগে থেকে পরিকল্পনা নিয়ে ছিল তারা আমাদের উপর হামলা করবে। আমাদের দুইটা ছেলেকে খুবই আঘাত করেছে, কয়েকজনের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। আমার উপরেও হামলা করার চেষ্টা করেছেন। গাড়ী ভাঙচুর করেছে, ১৫ থেকে ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। তারা যে পরিকল্পনা নিয়েছিল আমাকে পুরোপুরি মেরে ফেলার। আমি শুনেছি কারো না কারো ইন্ধনে তারা এটা করেছে। অনেকে বলছে, এমপি সাহেবের ইন্ধনে তারা এটা করেছে।

ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশের কাছে অনুমতি নিয়ে পূর্ব নিধারিত নির্বাচনী পথসভায় আমি বক্তব্য  দিচ্ছিলাম। এসময় খবর আসে আমার নির্বাচনী অফিসে আগুন লাগানো হয়েছে ও ভাঙচুর করা হচ্ছে। অফিসে থাকা আমার কয়েকজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হচ্ছে। তারপর আমরা সেখানে গিয়ে আমাদর আহত কর্মীদের হাসপাতালে পাঠিয়েছি। বাজারের সিসি ক্যামেরাগুলো ফুটেজ চেক করলে সবকিছু পরিস্কার হবে৷ আমি এর সুষ্ট বিচার দাবি করছি। 

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মহসিন আলী বলেন, এ বিষয়ে দুপক্ষের কেউ অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।