img

অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

প্রকাশিত :  ১৯:০৫, ২৭ মার্চ ২০২৪

অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধে মন্ত্রণালয়ের নতুন নির্দেশনা

স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ সারাদেশের হাসপাতালে অ্যানেসথেসিয়াজনিত দুর্ঘটনা প্রতিরোধ এবং অ্যানেস্থেসিয়া ব্যবহারে ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকরণের বিষয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে ।

স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব জসীম উদ্দীন হায়দারের সই করা প্রজ্ঞাপনে বুধবার (২৭ মার্চ) এসব নির্দেশনা দেয়া হয়।

এতে বলা হয়েছে- সাম্প্রতিক সময়ে অ্যানেসথেসিয়ার কারণে কতিপয় রোগীর মৃত্যু ও আকস্মিক জটিলতা প্রতিরোধে এবং অ্যানেসথেসিয়ার ব্যবহৃত ওষুধের গুণগতমান নিশ্চিতকল্পে অ্যানেসথেসিয়াতে হ্যালোজেন ব্যবহার ও এর বিকল্প নির্ধারণে এবং অ্যানেসথেসিয়াজনিত মৃত্যু ও এর অপপ্রয়োগ প্রতিরোধে সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্দেশনাগুলো হলো:

 ১. সারাদেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে অপারেশন থিয়েটারে ইনহেলেশনাল অ্যানেসথেটিক হিসেবে হ্যালোমেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন ব্যবহার করতে হবে।

 ২. মোট হ্যালোথেন/আইসোফ্লুরেন ও সেভোল্লুরেন ভেপোরাইজারের সংখ্যা এবং বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজার পরিবর্তন করে আইসোফ্লুরেন ও সেভোক্রুরেন ভেগোরাইজার প্রতিস্থাপন করতে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দের প্রাক্কলন করতে হবে।

 ৩. ডিজিডিএ’র অনুমোদন ব্যতীত হ্যালোজেন ক্রয় বিক্রয় ও ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

 ৪. সারাদেশের সব অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের (সরকারি/বেসরকারি) নিয়ে হ্যালোথেনের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ব্যবহার সংক্রান্ত নির্দেশনা প্রতিপালনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

 ৫.  সব সরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানে থেকে বিদ্যমান হ্যালোথেন ভেপোরাইজারের পরিবর্তে আইসোফ্লুরেন ভেপোরাইজার প্রতিস্থাপনের জন্য চাহিদা মোতাবেক ব্যবস্থা নিতে হবে।

 ৬.  নতুন অ্যানেসথেসিয়া মেশিন কেনার ক্ষেত্রে স্পেসিফিকেশন নির্ধারণে স্পষ্টভাবে আইসোফ্লুরেন ও সেভোফ্লুরেন ভেপোরাইজারের অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।

img

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে ৬ ধাপ পেছালো বাংলাদেশ

প্রকাশিত :  ১৩:২৬, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

মোবাইল ইন্টারনেটের গতিতে বৈশ্বিক র‌্যাংকিংয়ে ৬ ধাপ পিছিয়েছে বাংলাদেশ। সবশেষ মার্চ মাসে বাংলাদেশের অবস্থান ১১২তম। এর আগের মাস অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারিতে এ তালিকায় দেশের অবস্থান ছিল ১০৬তম। একই সময়ে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেটেও এক ধাপ পিছিয়ে ১০৭তম থেকে ১০৮-এ নেমে গেছে বাংলাদেশ।

অন্যদিকে, প্রতিবেশী দেশ ভারত মোবাইল ইন্টারনেটে ১৬তম অবস্থানে রয়েছে। এই ইন্টারনেট সেবায় মিয়ানমার, জিম্বাবুয়ে, ইরাক ও নাইজেরিয়ার মতো দেশগুলো বাংলাদেশের ওপরে অবস্থান করছে।

সূচক অনুসারে, মার্চে বাংলাদেশে মোবাইল ইন্টারনেটে ডাউনলোডের গড় গতি পাওয়া গেছে ২৪ দশমিক ৫৯ এমবিপিএস। পাশপাশি আপলোডের স্পিড ছিল ১১ দশমিক ৫৩ এমবিপিএস। এছাড়া ব্রডব্যান্ডে ডাউনলোডের গতি ছিল ৪৪ দশমিক ২৫ এমবিপিএস। যেখানে প্রতিবেশী দেশ ভারতে ডাউনলোডের গড় গতি ১০৫.৮৫ এমবিপিএস।

মধ্যপ্রাচ্যের তিন দেশ মোবাইল ইন্টারনেট গতি সূচকে শীর্ষে অবস্থান করছে। ৩১৩.৩০ এমবিপিএস গতি নিয়ে কাতার ১ নম্বরে, ২৯৬ এমবিপিএস গতি নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাত ২ নম্বরে এবং ২২৮.৬৪ এমবিপিএস গতি নিয়ে কুয়েত তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, স্পিডটেস্ট গ্লোবাল ইনডেক্স নিজেদের স্পিডটেস্ট অ্যাপের মাধ্যমে পাওয়া লাখ লাখ ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেটওয়ার্ক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ধারণা দেয়।