img

এক সঙ্গে বিষপান: প্রেমিকের মৃত্যুর পর মারা গেল প্রেমিকাও

প্রকাশিত :  ০৯:৫৫, ০৯ এপ্রিল ২০২৪

এক সঙ্গে বিষপান: প্রেমিকের মৃত্যুর পর মারা গেল প্রেমিকাও

জয়পুরহাটে ক্ষেতলাল উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টার ঘটনায় প্রেমিক মারা যাওয়ার ২২ ঘণ্টা পর মারা গেলেন প্রেমিকাও। 

 মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বগুড়ার শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ  হাসপাতালে প্রেমিকার মৃত্যু হয়। এর আগে সোমবার (৮ এপ্রিল) ভোর ৫টায় জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রেমিক মুরাদ মারা যান।

ক্ষেতলাল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মুরাদ উপজেলার খাঁড়িতা গ্রামের দোলন শেখের ছেলে এবং তাজমিন একই গ্রামের তোজামের মেয়ে। মুরাদ এবার বড়তারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। আর তাজমিন বাকিলা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুরাদের পরিবার তাকে মালেয়শিয়া পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয়। ঈদের পর দেশের বাইরে যাওয়ার কথা ছিল। এরপর তাই দুজন সিদ্ধান্ত নিয়ে গত ৪ এপ্রিল নিজ নিজ বাড়িতে বিষপান করে। পরে তাদের উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট  জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুইদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তারা দুজনেই বাড়ি ফিরেন। গত ৭ এপ্রিল রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদ আবার অসুস্থ হয়ে পড়লে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ভোরের দিকে তার মৃত্যু হয়। প্রেমিক মারা যাওয়ার খবরে প্রেমিকা তাজমিনও আবারও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টায় সেও মারা যায়।

ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন, প্রেমঘটিত কারণে প্রেমিক-প্রেমিকা বিষপান করেছে। প্রেমিক মুরাদ মারা গেছে। আর একদিন পরও তাজমিনও মারা যায়।


img

রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১০:৫৮, ০২ মে ২০২৪

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে একটি গরু। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সদর উপজেলা ও বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়া ও বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপাকারী ইউনিয়ন ও সাজেকের লংথিয়ান পাড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির আহমেদ (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন রুপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) ও সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটি শহরসংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন নজির আহাম্মেদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা জানান, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। এসময় একটি ছাগলও মারা যায়। অন্যদিকে সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ঘরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন।

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নজির আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, অনেক দিন পর বৃহস্পাতিবার সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে বাহারজান বেগম ও সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামে দুজন নিহত হন। নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রায় এক মাস ধরে তীব্র গরমের পর রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বুধবার (১ মে) গভীর রাত থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয়। এরপর ভোর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে বজ্রপাত হচ্ছে। হালকা বাতাসের ঠান্ডার পরশ জনজীবনের শাস্তি নিয়ে আসে। বৃষ্টির কারণে গরমও কমে এসেছে। শহর জুড়ে শীতলতার পরশ নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর এরকম স্বস্তির বৃষ্টিতে অনেককে দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিসে যাচ্ছেন। অনেকে দেখা গেছে বাড়ির ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজছেন। বৃষ্টির ফলে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে; যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল অল্প সময়।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, রাঙ্গামাটিসহ উপজেলাগুলোর অনেক অংশে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।