img

‘৫০ লাখ ডলার দিয়ে’ ছাড়া পেল এমভি আবদুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১২:৩৭, ১৪ এপ্রিল ২০২৪

‘৫০ লাখ ডলার দিয়ে’ ছাড়া পেল এমভি আবদুল্লাহ

৫০ লাখ ডলার নিয়ে ২৩ নাবিকসহ সোমালিয়ার জলদস্যুদের হাতে জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজ ‘এমভি আব্দুল্লাহ’কে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে। দুই জলদস্যুর বরাত দিয়ে রোববার (১৪ এপ্রিল) বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

আবদুরাশিদ ইউসুফ নামে এক জলদস্যু রয়টার্সকে বলেন, আমাদের কাছে দুই রাত আগেই মুক্তিপণের অর্থ এসেছে। সেগুলো জাল কি না তা পরীক্ষা করে দেখেছি। তারপর আমরা নিজেদের মধ্যে ভাগ করে সরকারি বাহিনীকে এড়িয়ে চলে যাই।

সব নাবিকসহ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ জাহাজটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান জলদস্যু আবদিরাশিদ ইউসুফ।

রয়টার্স ছাড়াও সোমালিয়ার গণমাধ্যম দ্য ডেইলি সোমালিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে একই তথ্য জানিয়েছে।

তবে এ বিষয়ে সোমালিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

ডেইলি সোমালিয়া ওই পোস্টে জানায়, মার্চে ভারত মহাসাগরে জিম্মি হওয়া বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ এমভি আবদুল্লাহর মুক্তি জন্য জলদস্যুরা ৫০ লাখ ডলার নিয়েছে বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, গত ১২ মার্চ দুপুরে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে বাংলাদেশের কবির গ্রুপের এসআর শিপিংয়ের মালিকানাধীন জাহাজ এমভি আবদুল্লাহ। মোজাম্বিক থেকে ৫৫ হাজার টন কয়লা নিয়ে কয়লা নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাচ্ছিল জাহাজটি। জিম্মি ২৩ নাবিকের সবাই বাংলাদেশি।

অস্ত্রের মুখে জাহাজের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর সোমালিয়া উপকূলে নিয়ে যায় জলদস্যুরা। সেখানে পৌঁছানোর পর বারবার জাহাজের অবস্থান পরিবর্তন করা হয়। ছিনতাইয়ের ৯ দিনের মাথায় জলদস্যুদের সাথে তৃতীয় পক্ষের মাধ্যমে যোগাযোগ হয় জাহাজের মালিকপক্ষের।


img

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি একথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে, এটাই তার প্রমাণ।

বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এখন কার যে কী আদর্শ, কে যে কতটুকু বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? তবে ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সচেতন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা  করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি।

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷