img

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

প্রকাশিত :  ১৩:১৮, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৪৪, ১৬ এপ্রিল ২০২৪

অস্ত্রসহ কেএনএফের আরও ৮ সদস্য আটক

বান্দরবান রিজিয়নের ১৬ ইস্ট বেঙ্গলের ধুপানিছড়া পাড়া এলাকা থেকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) আরও ৮ সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে নেতৃত্ব দেন সুংসাং পাড়া আর্মি ক্যাম্পের মেজর রাজীব।

জানা যায়, কেএনএফ সন্ত্রাসীদের অবস্থানের গোপন খবর পেয়ে এলাকাটি ঘেরাও করে সেনাবাহিনীর সদস্যরা। পরে আটজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৯টি এলজি, ১৯টি এলজি কার্টিজ, ২টি মোবাইল ফোন ও ২টি আইডি কার্ড উদ্ধার হয়। 

গত ২ এপ্রিল রাতে রুমায় সোনালী ব্যাংকে সশস্ত্র হামলা চালিয়ে পুলিশ ও আনসার সদস্যদের অস্ত্র লুট করে কেএনএফ। ওই সময় ব্যাংক ম্যানেজার নেজাম উদ্দিন রাসেলকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরদিন ৩ এপ্রিল দুপুরে তিনটি গাড়িতে চড়ে কেএনএফের সশস্ত্র সদস্যরা থানচি উপজেলা সদরে অবস্থিত সোনালী ব্যাংক ও কৃষি ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ক্যাশ কাউন্টারে থাকা প্রায় ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। এসব ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রুমা ও থানচি থানায় আটটি এবং সদর থানায় একটি মামলা  করা হয়। এসব মামলায় এ পর্যন্ত ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী সদস্য রয়েছে।  

কেএনএফের সঙ্গে শান্তি সংলাপ চলাকালে সমঝোতা স্মারকের শর্ত অমান্য করে সংগঠনটির সামরিক শাখার সদস্যরা ব্যাংকে সন্ত্রাসী হামলা, অস্ত্র ও টাকা লুট এবং ব্যাংক ম্যানেজারকে অপহরণ করায় সরকার ও কেএনএনফের সঙ্গে আলোচনা মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করে ‘শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি’।

অন্যদিকে, সেনাবাহিনী, র‍্যাব, পুলিশ, বিজিবি, এপিবিএন ও আনসার বাহিনীর সমন্বয়ে বান্দরবানের রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সন্ত্রাসবিরোধী যৌথ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। 

img

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি একথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে, এটাই তার প্রমাণ।

বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এখন কার যে কী আদর্শ, কে যে কতটুকু বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? তবে ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সচেতন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা  করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি।

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷