img

ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ

প্রকাশিত :  ১৩:৩৫, ১৭ এপ্রিল ২০২৪

ইরান-ইসরায়েল পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতির নির্দেশ

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ পরিস্থিতির পরিস্থিতির দিকে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে নজর রাখার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় সবাইকে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি সব ধরনের আগাম প্রস্তুতি নিতে বলেছেন সরকারপ্রধান।

বুধবার মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন।

সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, মিডলইস্টে এখন যে পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে সেদিকে নজর রাখার জন্য সবগুলো মন্ত্রণালয়কে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সম্ভাব্য রিয়্যাকশন কী হতে পারে, সে বিষয়ে প্রস্তুতি নিতে বলেছেন। সংঘাত দীর্ঘমেয়াদি হলে সেটা মোকাবিলা কিভাবে করা হবে, সেজন্য প্রস্তুতি নিতে বলেছেন।

মাহবুব হোসেন বলেন, ঘটনা প্রবাহের দিকে নজর রাখতে বলেছেন। প্রধানমন্ত্রী নিজেও পর্যালোচনা করছেন। মন্ত্রণালয়গুলোকেও পর্যালোচনা করতে বলেছেন। 

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, সংঘাত যদি দীর্ঘমেয়াদি হয় তখন বিভিন্ন সেক্টরে যে ইমপ্যাক্ট পড়তে পারে, সেটি যেন সংশ্লিষ্ট সেক্টর থেকে এক্সারসাইজ করে তা মোকাবিলার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছেন। যার যার সেক্টরে সবাই যেন প্রস্তুতি নেয়। ক্রাইসিস (সংকট) তৈরি হলে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে, তখন কী করা যায়, সেসব বিষয়ে পরিকল্পনা রাখতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

মাহবুব হোসেন জানান, বৈঠকে ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন উপস্থাপন পর্বে প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের দীর্ঘদিন ধরে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পগুলো পুনর্বিবেচনার নির্দেশ দিয়েছেন।

সচিব বলেন, যেসব প্রকল্প বারবার প্রতিবেদনে বাস্তবায়নাধীন লেখা হচ্ছে সেগুলো দ্রুত শেষ করতে হবে। হয় বাস্তবায়ন করতে হবে, অথবা সেগুলো আবার মন্ত্রিসভায় নিয়ে আসতে হবে। বলতে হবে যে, এই এই কারণে এগুলো বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না। এ ব্যাপারে দ্রুত মন্ত্রিসভাকে অবহিত করতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। হয় বাস্তবায়ন করবে, না হয় বিলম্বের কারণ আমাদের জানতে হবে।

img

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি একথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে, এটাই তার প্রমাণ।

বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এখন কার যে কী আদর্শ, কে যে কতটুকু বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? তবে ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সচেতন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা  করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি।

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷