img

এক মাসে সড়কে নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

প্রকাশিত :  ১৯:০৩, ১৭ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৩:১৯, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

এক মাসে সড়কে নিহত ৫৬৫, আহত ১২২৮ : যাত্রী কল্যাণ সমিতি

চলতি বছরের মার্চ মাসেই সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৬৫ জন নিহত এবং ১ হাজার ২২৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।এসব ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১২২৮ জন।

বুধবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরীর পাঠানো এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। 

যাত্রী কল্যাণ সমিতির প্রতিবেদনে জানানো হয়, এ সময়ে ১৮১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২০৩ জন নিহত ও ১৬৬ জন আহত হয়েছেন, যা মোট দুর্ঘটনার ৩২.৭৮ শতাংশ। একই সময়ে রেলপথে ৩৮টি দুর্ঘটনায় ৩১ জন নিহত ও ৮৬ জন আহত হয়েছেন। নৌ-পথে সাতটি দুর্ঘটনায় ১৬ জন নিহত ও ১৭ জন আহত হয়েছে। সড়ক, রেল ও নৌ-পথে সর্বমোট ৫৯৭টি দুর্ঘটনায় ৬১২ জন নিহত ও ১৩৩১ জন আহত হয়েছেন।

মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, প্রকাশিত এই তথ্য দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার প্রকৃত চিত্র নয়। এটি কেবল গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য। দেশে সংগঠিত সড়ক দুর্ঘটনার একটি বড় অংশ প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত গণমাধ্যমে স্থান পায় না। তাই এসব তথ্য প্রতিবেদনে তুলে ধরা সম্ভব হয় না। দেশে সড়ক দুর্ঘটনার প্রাথমিক উৎসস্থল দেশের হাসপাতালগুলোতে দেখলে এমন ভয়াবহ তথ্য মেলে। 

বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণে মার্চ মাসে সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলো হচ্ছে—ট্রাফিক আইনের অপপ্রয়োগ, দুর্বল প্রয়োগ, মোটরসাইকেল, ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি ও এসব যানবাহন সড়ক-মহাসড়কে অবাধে চলাচল, সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং, সড়কে বাতি না থাকা, রাতের বেলায় ফগ লাইটের অবাধ ব্যবহার, সড়ক-মহাসড়কে নির্মাণ ক্রটি, ফিটনেস যানবাহন ও অদক্ষ চালকের হার ব্যাপক বৃদ্ধি, ফুটপাত বেদখল, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা, উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি এবং অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন ও বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো।   


img

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ১৫:৩৭, ৩০ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:৫৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

অতি বাম আর অতি ডান মিলে সরকার উৎখাতে কাজ করছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় তিনি একথা বলেন। 

আওয়ামী লীগ যখনই ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশে রাজনৈতিকভাবে দেউলিয়া যারা তারা, আর কিছু বুদ্ধিজীবী অনবরত গিবত গাইছে।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতুতে ইতোমধ্যেই এক হাজার ৫০০ কোটি টাকা টোল উঠেছে। বাংলাদেশ যে পারে, এটাই তার প্রমাণ।

বিশ্ব যখন প্রশংসা করছে তখন কিছু মানুষ সমালোচনা করছে। যে যাই বলুক, শত্রুর মুখে ছাই দিয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

তিনি বলেন, এখন কার যে কী আদর্শ, কে যে কতটুকু বিচ্যুত হলো, সেটাই প্রশ্ন। অতি বামদের আদর্শ নেই, তারা বলে সরকারকে উৎখাত করতে হবে। আমাদের অপরাধটা কী? তবে ভোট চুরি করলে এ দেশের মানুষ মেনে নেয় না। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার জনগণের হাতে ফিরিয়ে দিয়ে তাদের সচেতন করেছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, করোনার সময় আমরা বিনা পয়সায় ভ্যাকসিন দিয়েছি। পৃথিবীর ধনী দেশগুলো দেয়নি, কিন্তু বাংলাদেশ দিয়েছে। টেস্ট আমরা বিনা পয়সায় করেছি, কোনও ধনী দেশও করেনি। আমরা দুই হাতে পানির মতো টাকা খরচ করে মানুষকে বাঁচাতে পদক্ষেপ নিয়েছি। খুব কম দেশই সেটা  করতে পেরেছে। আমরা সেখানে সাফল্য অর্জন করেছি।

সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আজ দেশের মানুষের দিন বদল হয়েছে৷ দারিদ্র্যের হার এখন গ্রামে নয় শহরে দেখা যাচ্ছে৷ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ গড়া যাবে৷