সড়ক দুর্ঘটনায় সঙ্গীত শিল্পী পাগল হাসানসহ নিহত ২
বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে কণ্ঠশিল্পী পাগল হাসানসহ দুইজন নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল সাতটার দিকে সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে সুরমা ব্রিজের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
ছাতক থানার ওসি শাহ আলম দুইজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে সুনামগঞ্জের দোয়ারা বাজার উপজেলা থেকে অটোরিকশাযোগে নিজ উপজেলা ছাতকে ফিরছিলেন পাগল হাসানসহ পাঁচজন। অটোরিকশাটি ছাতকের সুরমা সেতু এলাকায় আসার পর গোবিন্দগঞ্জ থেকে দোয়ারাবাজারের উদ্দেশে ছেড়ে আসা একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে পাগল হাসানসহ অটোরিকশার দুই যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন অটোরিকশার অন্য তিন যাত্রী। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে ছাতক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাদের নেওয়া হয় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ওসি শাহ আলম বলেন, নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও একাধিকজন পাগল হাসানের মৃত্যু খবর জানিয়েছেন।
পাগল হাসানের বন্ধু ফ্রান্স প্রবাসী তারেক মিয়া জনি বলেন, রাতেও কথা বলেছি ওর সঙ্গে। আজ হঠাৎ তার মৃত্যু সংবাদ শুনলাম। এ খবর শুনে ওর ফোনে ফোন দিলে কেউ একজন বললেন ও আর নেই। সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে সুরমা ব্রিজের কাছে বাস ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হয়েছে ওর।
তারেক মিয়া আরও জানান, একটি গানের অনুষ্ঠান শেষ করে সুনামগঞ্জ ফিরছিল পাগল হাসান। পথিমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় তার।
সামাজিক মাধ্যমে বেশ কয়েকজন তার মরদেহের ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করেছেন। এতে সংগীতাঙ্গনে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
পাগল হাসানের সহকর্মীদের অনেকেই প্রকাশ করেছেন শোক। পাগল হাসান সুনামগঞ্জের সন্তান। সুরকার গীতিকার ও কণ্ঠশিল্পী হিসেবে সংগীতাঙ্গনে পরিচিতি ছিল তার। শ্রোতাদের মধ্যেও ছিল জনপ্রিয়তা। তার লেখা গান আসিফ আকবরসহ দেশের অনেক জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী গেয়েছেন।
পাগল হাসানেরও একাধিক শ্রোতাপ্রিয় গান রয়েছে। এরমধ্যে আসমানে যাইও না রে বন্ধু, জীবন খাতা, আমি জ্বইলা মরি উল্লেখযোগ্য।