img

আমরা কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত :  ০৭:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৫৩, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

আমরা কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির সময়ে এ দেশে খাদ্য ঘাটতি ছিল। এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে দেশ। আমরা কারও কাছে মুখাপেক্ষী হয়ে থাকব না। নিজেরাই নিজেদের খাদ্য উৎপাদন করব।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) সকালে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।  

তিনি বলেন, ৭৫ পরবর্তী যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তাদের কারও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা ছিল না। জাতির পিতা বেঁচে থাকলে বহু আগেই বাংলাদেশ আরও উন্নত হতো। কিন্তু অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে যারা বারবার ক্ষমতায় এসেছে, তারা এ দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি, এটাই দুর্ভাগ্য।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে আমি যখন সরকার গঠন করলাম, তখন রিজার্ভ মানিও তেমন ছিল না। এশিয়াতে তখন খাদ্য মন্দা। আমাদের লক্ষ্য ছিল আমরা কারও কাছে হাত পেতে চলব না। নিজের ফসল নিজে উৎপাদন করব।

‘জাতির পিতা সবসময় বলতেন- আমরা কারও কাছে ভিক্ষা চাইব না, কারণ ভিক্ষুক জাতির ইজ্জত থাকে না। আমরা মান-সম্মান নিয়েই বিশ্ব দরবারে মাথা উঁচু করে চলতে চাই। সেই আদর্শে আমরা দেশকে এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ নিয়েছি।’-বলেন শেখ হাসিনা।

অনুষ্ঠানে প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের পক্ষ থেকে ১৮ থেকে ২২ এপ্রিল দেশব্যাপী প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এতে সভাপতিত্ব করছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান।

প্রাণিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ও প্রদর্শনীর অংশ হিসেবে ১৮ ও ১৯ এপ্রিল দুই দিন প্রাণিসম্পদ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া দেশব্যাপী ৬৪টি জেলার ৪৬৬টি উপজেলায় এই প্রদর্শনী একযোগে অনুষ্ঠিত হবে। এসব প্রদর্শনীতে স্ব স্ব উপজেলা থেকে উন্নত জাতের এবং অধিক উৎপাদনশীল জাতের গবাদিপশু যেমন- গাভী, বাছুর, ষাঁড়, মহিষ, ছাগল, ভেড়া, মুরগি, হাঁস, দুম্বা, কবুতর, সৌখিন পাখি, পোষা প্রাণি এবং বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শন ইত্যাদি স্থান পাবে।

img

মহান মে দিবস আজ

প্রকাশিত :  ২০:৫০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

আজ বিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের অধিকার আদায়ের দিন, মহান মে দিবস। ১৮৮৬ সালের এই দিনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরের ‘হে’ মার্কেটের শ্রমিকরা ৮ ঘণ্টা কাজের দাবিতে জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। ওইদিন তাদের আত্মদানের মধ্যদিয়ে শ্রমিক শ্রেণির অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

মহান মে দিবস উদযাপন উপলক্ষে জাতীয় পত্রিকাগুলো বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বেসরকারি টিভি চ্যানেলগুলো দিনটি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান ও টক শো সম্প্রচার করবে। বাংলাদেশে এবারের মে দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শ্রমিক মালিক গড়ব দেশ, স্মার্ট হবে বাংলাদেশ।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। মহান দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বাংলাদেশসহ সমগ্র বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়েছে।

বাণীতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, বিশ্বব্যাপী আর্থসামাজিক উন্নয়নে শ্রমজীবী মানুষের কঠোর পরিশ্রম, ত্যাগ ও ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাই দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হলে শ্রমিকের অধিকার ও উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, জাতির পিতা মে দিবসে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন। তিনি শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করতে মজুরি কমিশন গঠন করেন এবং নতুন বেতনকাঠামো ঘোষণা করেন।

মে দিবসে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তার বাণীতে বলেন, ‘আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সব শ্রমজীবী মেহনতি মানুষকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। তাদের সুখ, স্বাচ্ছন্দ্য, সমৃদ্ধি ও নিরাপদ জীবন কামনা করি।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে জাতীয় পার্টি—জেপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মঞ্জু এবং দলের মহাসচিব ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী শেখ শহীদুল ইসলাম বাংলাদেশের মেহনতি মানুষদের একই সঙ্গে বিশ্বের মেহনতি সব মানুষকেও আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বিবৃতিতে জেপির নেতৃদ্বয় বলেন, ‘মেহেনতি মানুষের শ্রম ও ঘামে আমাদের এই সভ্যতা গড়ে উঠেছে। মহান মে দিবস শ্রমজীবী মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা সংগ্রামের এক অনন্য দিন। আমরা এই দিনে বাংলাদেশের তথা বিশ্বের সব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য সংগ্রামের প্রতি এবং তাদের শ্রমের ন্যায্য মূল্যের দাবির প্রতি দ্ব্যর্থহীন সমর্থন ঘোষণা করছি। আমরা এই দিনে সব মেহনতি মানুষের সর্বাঙ্গীণ সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করছি এবং মহান মে দিবসে যারা আমেরিকার শিকাগোতে আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, সেই শহরের শ্রমিকদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

মহান মে দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে শ্রমিকসমাবেশ, শোভাযাত্রা, আলোচনাসভা, সেমিনার ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। আজ বেলা ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনকেন্দ্রে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। আজ বেলা ৩টায়  বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় শ্রমিক লীগের উদ্যোগে এক শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।