img

রেকর্ড বৃষ্টি, দুবাই-শারজাহ থেকে ঢাকার ১০ ফ্লাইট বাতিল

প্রকাশিত :  ০৭:৪১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৭:৪২, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

রেকর্ড বৃষ্টি, দুবাই-শারজাহ থেকে ঢাকার ১০ ফ্লাইট বাতিল

সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) দুবাইয়ে রেকর্ড বৃষ্টিপাত  ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে দুবাই ও শারজাহ থেকে ঢাকাগামী ১০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।  তবে ঢাকা থেকে এই দুই রুটের ফ্লাইট বাতিল না করে রিশিডিউল করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে আজ এয়ার অ্যারাবিয়া এয়ারলাইন্সের পাঁচটি ফ্লাইট, এমিরেটস এয়ারলাইন্সের তিনটি ও ফ্লাই দুবাইয়ের দুইটি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল থেকে আজ (বৃহস্পতিবার) সকাল পর্যন্ত এ তথ্য পাওয়া গেছে। তবে ঢাকা থেকে এই দুই রুটের কোনো ফ্লাইট বাতিল হয়নি, রিশিডিউল করা হয়েছে।

এদিকে মঙ্গলবার ও বুধবার মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় দেশগুলো ঝড় ও ব্যাপক ভারী বৃষ্টিপাতের শিকার হয়েছে। এর ফলে প্রাণঘাতী আকস্মিক বন্যার পাশাপাশি বিশ্বের দ্বিতীয়-ব্যস্ততম বিমানবন্দর তথা দুবাই বিমানবন্দরে ফ্লাইট চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।


ফ্লাইট বাতিল-বিলম্ব ও যাত্রীদের নানা বিড়ম্বনার মধ্যে দুবাই বিমানবন্দরে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর বলেছে, তারা ‘খুবই চ্যালেঞ্জিং অবস্থার’ সম্মুখীন হয়েছে। এছাড়া দুবাইয়ের অনেক এলাকা পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় কিছু যাত্রীকে বিমানবন্দর থেকে না যাওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

বিবিসি বলছে, বুধবার গ্রিনিচ মান সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার রাত ৩টায়) ফ্লাইট অ্যাওয়্যারের ডেটা অনুসারে, দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে প্রায় ২৯০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরটি সারা বিশ্বের যাত্রীদের জন্য ব্যস্ততম এয়ার হাব হিসেবে পরিচিত।

ডেটা অনুসারে, ওই একই সময়ে আরও ৪৪০টি ফ্লাইট বিলম্বিত ছিল। বিমানবন্দরটি গত বছর ৮০ মিলিয়নেরও বেশি যাত্রীদের পরিষেবা দিয়েছে এবং যাত্রী পরিষেবার দিক থেকে এটি যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টার পরেই দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সতর্ক করে বলেছে, পরিষেবা পুনরুদ্ধারে আরও ‘কিছু সময়’ লাগবে। এছাড়া বিমানবন্দর থেকে দেওয়া সর্বশেষ আপডেটে এয়ারলাইন্স থেকে নিশ্চিতকরণ ছাড়া ১ নং টার্মিনালে যাওয়া এবং বিমানবন্দরে ভ্রমণ এড়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ সতর্ক করেছে যে, আরও বজ্রপাত, ভারী বৃষ্টি এবং শক্তিশালী বাতাসের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে, অনেক নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে রয়েছে।

img

‘যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি’

প্রকাশিত :  ০৯:০৭, ০১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৩, ০১ মে ২০২৪

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানার মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।