img

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান, কে এই বাংলাদেশি নারী?

প্রকাশিত :  ১১:২৯, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় স্থান, কে এই  বাংলাদেশি নারী?

টাইম ম্যাগাজিনে বিশ্বের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশি স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম। বুধবার ২০২৪ সালের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির এ তালিকা প্রকাশ করেছে টাইম।

তালিকায় উদ্ভাবক শ্রেণিতে স্থান পেয়েছেন মেরিনা তাবাসসুম। তার সঙ্গে তালিকায় থাকা প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন রাশিয়ার ইউলিয়া নাভালনায়া, শান্তিতে নোবেলজয়ী ইরানের মানবাধিকারকর্মী নার্গিস মোহাম্মদী, পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্কসহ পরিচিত অনেক মুখ। ভারতের চলচ্চিত্র অভিনেত্রী আলিয়া ভাট শিল্পী শ্রেণিতে এ তালিকায় স্থান পেয়েছেন। 

মেরিনা তাবাসসুম সম্পর্কে টাইম লিখেছে, সাধারণত পুরস্কারজয়ী স্থপতিদের সঙ্গে পরোপকারের বিষয়টি তেমন উল্লেখ করা হয় না; কিন্তু মেরিনা তাবাসসুম সাধারণ নন। তিনি স্থাপত্যচর্চায় এমন একটি রীতি তৈরি করেছেন, যেখানে স্থানীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের পাশাপাশি আমাদের এই ধরিত্রী যে বিপদের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে তা অগ্রাধিকার পায়।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি বাংলাদেশ। টাইম বলছে, জলবায়ু পরিবর্তনের বড় ঝুঁকিতে থাকা বাংলাদেশে মেরিনা তাবাসসুম এমন এক ঘরানার বাড়ি তৈরি করেছেন, যার নির্মাণ ব্যয় যেমন কম, তেমনি এই বাড়ি সহজে স্থানান্তরও করা যায়।

তবে এবারই প্রথম নয়, স্থপতি মেরিনা তাবাসসুম এর আগে ২০২১ সালে মানবিক ঘর তৈরির জন্য যুক্তরাজ্যের মর্যাদাপূর্ণ সন পদক পান। ২০২০ সালে ব্রিটিশ সাময়িকী প্রসপেক্ট-এর ৫০ জন চিন্তাবিদের মধ্যে শীর্ষ ১০য়ের তৃতীয় স্থানে জায়গা করে নেন তিনি।

ঢাকার দক্ষিণখানে বায়তুর রউফ নামে একটি শৈল্পিক নকশার মসজিদের স্থপতি হিসেবে ২০১৮ সালে জামিল প্রাইজ পান তিনি। এর আগে একই নকশার জন্য ২০১৬ সালে পান সম্মানজনক আগা খান পুরস্কার। সুলতানি আমলের স্থাপত্যের আদলে নকশা করা এ মসজিদ ২০১২ সালে ঢাকায় নির্মিত হয়।

 


img

‘যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি’

প্রকাশিত :  ০৯:০৭, ০১ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩৩, ০১ মে ২০২৪

যতবার সরকারে এসেছি ততবার শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করেছি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ৯৬ সালে বিরোধী দলে থাকাকালে আমি শ্রমিকদের দেখেছি তাদের মজুরি ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। তখন সরকারে এসে আমরা মজুরি বাড়িয়েছিলাম। যতবার সরকারে এসেছি ততবারই মজুরি বৃদ্ধি করেছি। শ্রমিকদের আরও উপযুক্ত করে গড়ে তোলা আমাদের লক্ষ্য।

আজ বুধবার দুপুরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মে দিবস উপলক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর মে দিবসকে প্রথমে শ্রমিক সংহতি দিবস হিসেবে ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতিও দিয়েছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, মা যেমন একটা রুগ্ন সন্তানকে বুকে নিয়ে লালন-পালন করে গড়ে তোলেন, ঠিক সেভাবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বাধীনতার পর শূন্য হাতে একটা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার দায়িত্ব হাতে নিয়ে সব কলকারখানা জাতীয়করণ করেন। শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত করার পদক্ষেপ নেন। তাদের কর্মসংস্থান যাতে ঠিক থাকে, সে পদক্ষেপটাই তিনি হাতে নিয়েছিলেন।

শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য মজুরি কমিশন গঠনের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মে দিবসের সরকারি ছুটি ঘোষণা করেন বঙ্গবন্ধু। এদেশে মানুষের মধ্যে যে বৈষম্য, সে বৈষম্য তিনি দূর করতে চেয়েছিলেন।

তিনি বলেন, খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করাই আওয়ামী লীগের একমাত্র লক্ষ্য। আমরা সব সময় সেই পদক্ষেপ নিই। জাতির পিতা যখন দেশটাকে গড়ে তুলেছেন, তখন যে সব মালিক বাংলাদেশে ছিল শিল্প কলকারখানার মালিক তারা হবেন। আর যেগুলো মালিকানাবিহীন সেগুলো সরকার চালাবে। সে ব্যবস্থাও তিনি করেছিলেন, সরকারি খাতকেও গুরুত্ব দিয়েছিলেন।