img

রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে ‘গোলাগুলি’, আতঙ্কে এলাকাবাসী

প্রকাশিত :  ১৫:৫৮, ১৯ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৬:০০, ১৯ এপ্রিল ২০২৪

রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে ‘গোলাগুলি’, আতঙ্কে এলাকাবাসী

বান্দরবান-রাঙ্গামাটির সীমান্তের দুর্গম এলাকা রুমা ও বিলাইছড়ি সীমান্তে প্রচণ্ড গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে এলাকাবাসীর মাঝে, ভয়ে বন্ধ রাখা হয়েছে বাজারের সব দোকানপাট।

শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) বিকেলে বান্দরবানের রুমার প্রাংসা-পাইন্দু ও রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার বড়থলি ইউপি সীমান্তের দুর্গম এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড়থলি ইউপির এক বাসিন্দা জানান, বিকেল থেকে প্রচণ্ড গোলাগুলির শব্দ শুনেছেন এলাকাবাসীরা।

তবে কাদের সঙ্গে এই গোলাগুলি চলছে তা নির্দিষ্ট করে বলতে পারেননি তিনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রুমার বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান, গোলাগুলির কথা শোনার পর বাজারের সব দোকানদার দোকানপাট বন্ধ করে চুপচাপ বসে আছেন। খুবই আতঙ্কে আছেন বলে জানান তিনি।

রুমা উপজেলা চেয়ারম্যান উহ্লা চিং মারমা জানান, কয়েকদিন ধরে রুমা উপজেলায় যৌথবাহিনীর অভিযান চলছে।

স্থানীয়দের বরাতে তিনি জানান, এলাকাবাসীরা তাকে আজ বিকেলে জানিয়েছেন পাইন্দু ইউপি, রুমা সদর ইউপি ও বিলাইছড়ি উপজেলা বড়থলি ইউনিয়নের সীমান্তে দুর্গম এলাকার ভিতরে প্রচণ্ড গুলি-বোমার আওয়াজ এলাকাবাসীরা শুনেছেন। এলাকাবাসীদের ধারনা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে যৌথবাহিনীর গোলাগুলি চলছে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.শাহজাহান জানান, গোলাগুলির সংবাদ পেয়েছি। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

উল্লেখ্য, রুমায় ব্যাংক ডাকাতির ঘটনায় গত ৬ এপ্রিল থেকে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছে যৌথ বাহিনী, যা এখনও চলমান রয়েছে। এতে এই পর্যন্ত গ্রেফতার ৬৬ জন কারাগারে এবং এদের মধ্যে ৫২ জনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

img

রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টি নামলেও বজ্রপাতে ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ১০:৫৮, ০২ মে ২০২৪

রাঙামাটিতে বজ্রপাতে ২ নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন ৭ জন। এছাড়া মারা গেছে একটি গরু। বৃহস্পতিবার সকালে জেলার সদর উপজেলা ও বাঘাইছড়িতে বজ্রপাতে পৃথক স্থানে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

বৃহস্পতিবার (২ মে) সকালে রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়া ও বাঘাইছড়ি উপজেলার রুপাকারী ইউনিয়ন ও সাজেকের লংথিয়ান পাড়ায় বজ্রপাতে মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন রাঙ্গামাটি শহরের সিলেটি পাড়ার বাসিন্দা মো. নজির আহমেদ (৫০), বাঘাইছড়ি উপজেলাধীন রুপাকারী ইউনিয়নের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা বাহারজান বেগম (৫৫) ও সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭)।

জানা গেছে, রাঙ্গামাটি শহরসংলগ্ন সিলেটি পাড়া এলাকায় কাপ্তাই হ্রদে বরশি দিয়ে মাছ ধরার সময় বজ্রপাতে গুরুতর আহত হন নজির আহাম্মেদ (৫০) নামের এক ব্যক্তি। পরে খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

রূপকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যাসমিন চাকমা জানান, ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মুসলিম ব্লকের বাসিন্দা লাল মিয়ার স্ত্রী বাহারজান বেগম গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে নিহত হন। এসময় একটি ছাগলও মারা যায়। অন্যদিকে সাজেক ইউনিয়নের বেটলিং মৌজার লংথিয়ান পাড়ার বাসিন্দা তনিবালা ত্রিপুরা (৩৭) ঘরে কাজ করার সময় বজ্রপাতে নিহত হন।

রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের আরএমও ডা. শওকত আকবর খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘নজির আহাম্মদ নামে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে আনার আগেই মারা যান।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, অনেক দিন পর বৃহস্পাতিবার সকালে বজ্রপাতসহ বৃষ্টি হয়। এতে বাহারজান বেগম ও সাজেকে তনিবালা ত্রিপুরা নামে দুজন নিহত হন। নিহতের পরিবারকে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।

অন্যদিকে প্রায় এক মাস ধরে তীব্র গরমের পর রাঙ্গামাটিতে স্বস্তির বৃষ্টির দেখা মিলেছে। বুধবার (১ মে) গভীর রাত থেকে হালকা ও মাঝারি ধরনের বৃষ্টিসহ বজ্রপাত হয়। এরপর ভোর থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। মাঝে মাঝে বজ্রপাত হচ্ছে। হালকা বাতাসের ঠান্ডার পরশ জনজীবনের শাস্তি নিয়ে আসে। বৃষ্টির কারণে গরমও কমে এসেছে। শহর জুড়ে শীতলতার পরশ নেমে এসেছে।

অন্যদিকে, গত কয়েক দিনের তীব্র গরমের পর এরকম স্বস্তির বৃষ্টিতে অনেককে দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে অফিসে যাচ্ছেন। অনেকে দেখা গেছে বাড়ির ছাদে উঠে বৃষ্টিতে ভিজছেন। বৃষ্টির ফলে জনমনে স্বস্তি নেমে আসে; যদিও বৃষ্টির স্থায়িত্ব ছিল অল্প সময়।

আবহাওয়া অফিস থেকে জানা গেছে, রাঙ্গামাটিসহ উপজেলাগুলোর অনেক অংশে দমকা হাওয়া ও বৃষ্টিসহ বজ্রপাতের সম্ভাবনা আছে।