img

তাইওয়ানে ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত

প্রকাশিত :  ০৪:০৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

তাইওয়ানে ৮০টির বেশি ভূমিকম্প অনুভূত

তাইওয়ানে তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে দফায় দফায়  ৮০টির বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে। স্থানীয় সময় সোমবার (২২ এপ্রিল)  রাত থেকে মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) ভোররাত পর্যন্ত একে একে ৮০টিরও বেশি ভূকম্পন অনুভূত হয়।

এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার রাত থেকে শুরু করে মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত তাইওয়ানের পূর্ব উপকূলে ৮০টিরও বেশি ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে বলে দ্বীপ ভূখণ্ডটির আবহাওয়া প্রশাসন জানিয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী কম্পনটি ছিল ৬ দশমিক ৩ মাত্রার।

এছাড়া একের পর এক আঘাত হানা এসব ভূমিকম্পের কয়েকটি আবার রাজধানী তাইপেইর ভবনগুলোতেও কম্পন সৃষ্টি করেছিল।

তাইওয়ানের আবহাওয়া প্রশাসন বলেছে, পূর্বাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত হুয়ালিয়েন কাউন্টি ছিল এসব ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল। ওই এলাকায় চলতি মাসের শুরুর দিকে রিখটার স্কেলে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটে।

হুয়ালিয়েনের দমকল বিভাগ মঙ্গলবার ভোরে জানিয়েছে, গত ৩ এপ্রিল ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া একটি হোটেল আরও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ঝুঁকে পড়েছে। অবশ্য আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কারণে এটি বন্ধই ছিল। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ্য, দু’টি টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে অবস্থিত হওয়ায় তাইওয়ান অত্যন্ত ভূমিকম্প প্রবণ।

এর আগে, ২০১৬ সালে দক্ষিণ তাইওয়ানে শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে। তারও আগে ১৯৯৯ সালে এই দ্বীপ ভূখণ্ডে ৭ দশমিক ৩ মাত্রার ভূমিকম্পে ২ হাজারের বেশি মানুষ মারা যান।


img

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় হাজার হাজার ইসরায়েলি

প্রকাশিত :  ০৫:১৭, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:২০, ০৫ মে ২০২৪

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।

শনিবার (৪ মে) রাতে তেল আবিবের বিভিন্ন সড়কে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা নেতানিয়াহু ও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করেন। এছাড়া জিম্মিদের মুক্ত করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি জানান তারা।

তেল আবিব ছাড়াও জেরুজালেমে নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ হয়। জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা প্যারিস স্কয়ারে জড়ো হন। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। জেরুজালেম থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

বিক্ষোভাকারীরা তেল আবিবের বিভিন্ন সড়ক আটকে দিয়েছিলেন। তবে সড়কে অবস্থান শেষে তারা আবার চলে যান। এরপর সেগুলো গাড়ি চলাচলের জন্য আবারও স্বাভাবিক হয়।


এদিকে গতকাল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের আলোচনা হয়। মিসরের রাজধানী কায়রোতে হওয়া এই আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির একটি ভালো সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।

তবে দখলদার ইসরায়েল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করতে রাজি না হওয়ায় আলোচনাটি ফলপ্রসু হয়নি। আলোচনাটি আবার পুরোপুরি ভেস্তেও যায়নি। ফলে আজ রোববার ফের তাদের মধ্যে বৈঠক হবে।

শনিবারের আলোচনা শেষে হামাস জানায় যদি ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তাহলে তারা কোনো ধরনের চুক্তি করবে না।

দখলদার ইসরায়েল এখন পরিকল্পনা করছে চুক্তির মাধ্যমে প্রথমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নেবে। পরে গাজায় আবারও বর্বরতা শুরু করবে।