img

ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করে যে বার্তা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ

প্রকাশিত :  ১৯:৫০, ২৩ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৯:৫৫, ২৩ এপ্রিল ২০২৪

ইসরাইলি ড্রোন ভূপাতিত করে যে বার্তা দিচ্ছে হিজবুল্লাহ

লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহ দেশটির আকাশসীমা লঙ্ঘনকারী ইহুদিবাদী ইসরাইলের পাঁচটি ড্রোন ভূপাতিত করেছে ভূপাতিত করেছে।  ৬০ লাখ ডলার মূল্যের ড্রোনটি ভূপাতিত করার ভিডিও চিত্রও প্রচার করেছে হিজবুল্লাহ।

ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ স্থানীয় টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এ তথ্য দিয়েছেন।

হানি আল-দালি নামের ওই বিশেষজ্ঞ আল মায়েদিন টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযানের মাত্রা বাড়িয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের সরকার ও সামরিক বাহিনীর জন্য এর রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাব রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ইসরাইলকে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দিল হিজবুল্লাহ।

হানি আল-দালি বলেন, সামরিক এসব পদক্ষেপের মাধ্যমে ইসরাইলের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে হিজবুল্লাহ। ইসরাইলের অব্যাহত হামলার মুখে হিজবুল্লাহ নিজেদের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর চেষ্টা করছে বলে মনে করেন তিনি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বিদ্যমান এ পরিস্থিতির মাধ্যমে এটা বোঝা যাচ্ছে যে ড্রোনসহ আকাশযান শনাক্তের উন্নত ব্যবস্থা রয়েছে হিজবুল্লাহর হাতে। আর এতে হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা প্রতিপক্ষের আকাশযান সহজে শনাক্ত করতে পারছে।

হানি আল-দালির মতে, আকাশপথে ইসরাইল নিজেদের যতটা শক্তিশালী মনে করে থাকে, হিজবুল্লাহর এই সামরিক সক্ষমতা বৃদ্ধির কারণে তা কিছুটা হলেও বাধার মুখে পড়েছে। এতে হিজবুল্লাহর নেতা ও যোদ্ধাদের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে ইসরাইলি ব্যবস্থাও বিকল হয়ে গেছে।

ইসরাইলকে অনেক কিছু করার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত করছে। একই সঙ্গে এসব বিষয় হিজবুল্লাহ ও গোষ্ঠীটির সমর্থকদের মনোবল বাড়িয়েছে।




img

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় হাজার হাজার ইসরায়েলি

প্রকাশিত :  ০৫:১৭, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:২০, ০৫ মে ২০২৪

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।

শনিবার (৪ মে) রাতে তেল আবিবের বিভিন্ন সড়কে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা নেতানিয়াহু ও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করেন। এছাড়া জিম্মিদের মুক্ত করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি জানান তারা।

তেল আবিব ছাড়াও জেরুজালেমে নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ হয়। জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা প্যারিস স্কয়ারে জড়ো হন। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। জেরুজালেম থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

বিক্ষোভাকারীরা তেল আবিবের বিভিন্ন সড়ক আটকে দিয়েছিলেন। তবে সড়কে অবস্থান শেষে তারা আবার চলে যান। এরপর সেগুলো গাড়ি চলাচলের জন্য আবারও স্বাভাবিক হয়।


এদিকে গতকাল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের আলোচনা হয়। মিসরের রাজধানী কায়রোতে হওয়া এই আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির একটি ভালো সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।

তবে দখলদার ইসরায়েল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করতে রাজি না হওয়ায় আলোচনাটি ফলপ্রসু হয়নি। আলোচনাটি আবার পুরোপুরি ভেস্তেও যায়নি। ফলে আজ রোববার ফের তাদের মধ্যে বৈঠক হবে।

শনিবারের আলোচনা শেষে হামাস জানায় যদি ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তাহলে তারা কোনো ধরনের চুক্তি করবে না।

দখলদার ইসরায়েল এখন পরিকল্পনা করছে চুক্তির মাধ্যমে প্রথমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নেবে। পরে গাজায় আবারও বর্বরতা শুরু করবে।