img

জলবায়ু পরিবর্তন ও চরম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

প্রকাশিত :  ১০:২৪, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

জলবায়ু পরিবর্তন ও চরম আবহাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এশিয়া

জাতিসংঘ মঙ্গলবার বলেছে, এশিয়া ছিল ২০২৩ সালে জলবায়ু এবং আবহাওয়ার ঝুঁকির কারণে বিশ্বের সবচেয়ে দুর্যোগ-কবলিত অঞ্চল। এতে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা এবং ঝড়। 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার (ডব্লিউএমও) নতুন এক প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়েছে। সম্প্রতি এশিয়ার বেশ কয়েকটি দেশ ভয়াবহ বন্যার কবলে পড়ার প্রেক্ষাপটে এ প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।

ডব্লিউএমও এই প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ২০২৩ সালে এশিয়ায় প্রাণহানি ও অর্থনৈতিক ক্ষতির প্রধান কারণ ছিল বন্যা ও ঝড়। অন্যদিকে তাপপ্রবাহের প্রভাব আরও তীব্র হয়েছে।

বৈশ্বিক গড় উষ্ণতার চেয়ে দ্রুত উত্তপ্ত হচ্ছে এশিয়া। ১৯৬০-১৯৯০ সময়কালের পর থেকে উষ্ণায়নের প্রবণতা প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। বন্যা, ঝড় ও আরও তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে হতাহত এবং অর্থনৈতিক ক্ষতি বৃদ্ধি পেয়েছে।

ডব্লিউএমও বলছে, গত বছর এশিয়ায় ৭৯টি দুর্যোগের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রায় ৮০ শতাংশ ছিল বন্যা ও ঝড়। এর ফলে ২ হাজারের বেশি লোক মারা যায় এবং ৯০ লাখ মানুষ সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি এশিয়ার দেশ হংকংয়ে এক ঘণ্টায় ১৫৮.১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে, যা ১৮৮৪ সালে রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বোচ্চ। এশিয়ার উচ্চ পার্বত্য অঞ্চলের বেশিরভাগ হিমবাহ রেকর্ড পরিমাণ ভাঙা পড়েছে এবং উচ্চ তাপমাত্রা ও শুষ্ক অবস্থার কারণে উল্লেখযোগ্য ভর হারিয়েছে।

২০২৩ সালে হিমালয়, বিশেষ করে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ পর্বতমালায় বৃষ্টিপাত স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল। অন্যদিকে দক্ষিণ-পশ্চিম চীন খরার শিকার হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের মাত্রা বছরের প্রায় প্রতিটি মাসে স্বাভাবিকের চেয়ে কম ছিল।

ডব্লিউএমও প্রতিবেদনে বলছে, ২০২৩ সালে উত্তর-পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে সমুদ্রপৃষ্ঠের তাপমাত্রা ছিল রেকর্ডের সর্বোচ্চ। এমনকি আর্কটিক মহাসাগরও সামুদ্রিক তাপপ্রবাহের শিকার হয়েছিল, যেখানে বরফের চাঁদরে ঢাকা থাকে চারপাশ। আরব সাগর, দক্ষিণ চীন সাগর এবং দক্ষিণ-পূর্ব লাপ্তেভ সাগরসহ অনেক অঞ্চলে সমুদ্রের পৃষ্ঠ বিশ্বের তুলনায় তিনগুণ দ্রুত উষ্ণ হচ্ছে। প্রতিবেদনে ব্যারেন্টস সাগরকে \'জলবায়ু পরিবর্তনের হটস্পট\' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ডব্লিউএমও প্রধান সেলেস্তে সাওলো এক বিবৃতিতে বলেছেন, এশিয়া অঞ্চলের অনেক দেশ ২০২৩ সালে তাদের রেকর্ডে থাকা সর্বোচ্চ উষ্ণতম বছর পার করেছে। পাশাপাশি খরা ও তাপপ্রবাহ থেকে শুরু করে বন্যা ও ঝড়ের মতো চরম পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ঘটনাগুলো বেড়েই চলছে।

তথ্যসূত্র: ডব্লিউএমও, আল-জাজিরা


img

নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় হাজার হাজার ইসরায়েলি

প্রকাশিত :  ০৫:১৭, ০৫ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৫:২০, ০৫ মে ২০২৪

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন হাজার হাজার ইসরায়েলি।

শনিবার (৪ মে) রাতে তেল আবিবের বিভিন্ন সড়কে জড়ো হন বিক্ষোভকারীরা। তারা নেতানিয়াহু ও সরকার বিরোধী বিক্ষোভ করেন। এছাড়া জিম্মিদের মুক্ত করতে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে চুক্তি করার দাবি জানান তারা।

তেল আবিব ছাড়াও জেরুজালেমে নেতানিয়াহু বিরোধী বিক্ষোভ হয়। জেরুজালেমে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এ সময় তারা প্যারিস স্কয়ারে জড়ো হন। সেখান থেকে পরবর্তীতে তাদের সরিয়ে দেওয়া হয়। জেরুজালেম থেকে দুইজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

বিক্ষোভাকারীরা তেল আবিবের বিভিন্ন সড়ক আটকে দিয়েছিলেন। তবে সড়কে অবস্থান শেষে তারা আবার চলে যান। এরপর সেগুলো গাড়ি চলাচলের জন্য আবারও স্বাভাবিক হয়।


এদিকে গতকাল ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে জিম্মি চুক্তি নিয়ে মধ্যস্থতাকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র এবং মিসরের আলোচনা হয়। মিসরের রাজধানী কায়রোতে হওয়া এই আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি চুক্তির একটি ভালো সম্ভাবনাও তৈরি হয়েছিল।

তবে দখলদার ইসরায়েল গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি করতে রাজি না হওয়ায় আলোচনাটি ফলপ্রসু হয়নি। আলোচনাটি আবার পুরোপুরি ভেস্তেও যায়নি। ফলে আজ রোববার ফের তাদের মধ্যে বৈঠক হবে।

শনিবারের আলোচনা শেষে হামাস জানায় যদি ইসরায়েল স্থায়ী যুদ্ধবিরতিতে রাজি না হয় তাহলে তারা কোনো ধরনের চুক্তি করবে না।

দখলদার ইসরায়েল এখন পরিকল্পনা করছে চুক্তির মাধ্যমে প্রথমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নেবে। পরে গাজায় আবারও বর্বরতা শুরু করবে।