img

স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা, যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

প্রকাশিত :  ১৩:৩৬, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

স্কুলে বন্দুক নিয়ে যেতে পারবেন শিক্ষকরা, যুক্তরাষ্ট্রে বিল পাস

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের আইনপ্রণেতারা একটি বিল পাস করেছেন। এর ফলে সেই অঙ্গরাজ্যের শিক্ষকরা স্কুলে বন্দুক বহন করতে পারবে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে বলেছে যে, রিপাবলিকান পার্টির নিয়ন্ত্রিত টেনেসি হাউসে বিলটি ৬৮-২৮ ভোটে অনুমোদিত হয়।
গত বছর টেনেসির ন্যাশভিলের একটি স্কুলে বন্দুকধারীর হামলায় তিন শিশু এবং তিনজন প্রাপ্তবয়স্ক কর্মী নিহত হন। এরপর থেকেই বন্দুক আইন নিয়ে উত্তপ্ত বিতর্ক হয়েছে টেনেসিতে।
ক্যাপিটলের ভেতরে বিক্ষোভকারীদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন হাউসের কয়েকজন ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা। এর ফলে গত বছর তাদের হাউস থেকে সংক্ষিপ্ত মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

রাজ্যের প্রতিনিধি এবং ডেমোক্র্যাট দলের আইনপ্রণেতা জাস্টিন পিয়ারসন এই বিল পাসের ব্যাপারে সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ক্ষোভ ঝেড়েছেন। এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, এটি টেনেসি, আমাদের বাচ্চাদের, আমাদের শিক্ষকদের এবং সম্প্রদায়ের জন্য একটি ভয়ংকর দিন। বাচ্চাদের রক্ষা করার পরিবর্তে তারা আবারও বন্দুক রক্ষা করেছে!

গত ২৫ বছরে যুক্তরাষ্ট্রের স্কুলগুলোয় সংঘটিত অসংখ্য বন্দুক হামলার প্রতিক্রিয়ায় অস্ত্র আইন কঠোর করার পরিবর্তে শিক্ষকদের সশস্ত্র করার জন্য প্রায়ই চাপ দিয়ে আসছে রিপাবলিকান এবং অন্যান্য রক্ষণশীলরা। তাদের যুক্তি হচ্ছে—শিক্ষকেরা সশস্ত্র হলে তারা বন্দুকধারীদের প্রতিহত করতে পারবেন।

অন্যদিকে এই বিলের বিরোধিতাকারীরা বলছেন যে, স্কুলে বন্দুক নিয়ে আসা শুধুমাত্র হয়তো দুঃখজনক সব দুর্ঘটনার দিকেই শিশুদের পরিচালিত করবে।

গান সেফটি গ্রুপ গিফোর্ডস ল সেন্টারের তথ্যমতে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় অর্ধেক রাজ্যেই শিক্ষক বা স্কুলের অন্যান্য কর্মচারীদের স্কুলের মাঠে আগ্নেয়াস্ত্র বহন করার অনুমতি রয়েছে।

টেনেসি বিলের অধীনে, যে শিক্ষক স্কুলে গোপনে বন্দুক বহন করতে চান তাকে এ সংক্রান্ত কমপক্ষে ৪০ ঘণ্টার প্রশিক্ষণ সম্পন্ন করতে হবে। প্রশিক্ষণ ও আগ্নেয়াস্ত্রের খরচ সেই ব্যক্তিকেই বহন করতে হবে।

বিল অনুযায়ী, বন্দুক বহনকারী শিক্ষক বা কর্মচারীর পরিচয় প্রকাশ করা হবে না। স্কুলের দায়িত্বরতদের অবশ্যই সেই শিক্ষককে বন্দুক বহন করার অনুমতি দিতে হবে এবং স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাছে বন্দুক বহনকারীর পরিচয় জানাতে হবে।

img

ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করবে তুরস্ক: এরদোগান

প্রকাশিত :  ১৪:০২, ০৪ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৪:০৫, ০৪ মে ২০২৪

তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান জানিয়েছেন, ইসরাইলের সঙ্গে তুরস্কের বাণিজ্য স্থগিত করার মূল লক্ষ্য হলো গাজায় ইসরাইলকে যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা।

শুক্রবার ইস্তানবুলে একটি জাতীয় ব্যবসায়িক কমিটির আলোচনার সময় তিনি এ কথা বলেন। খবর আনাদোলুর।

এরদোগান বলেন, আমাদের একমাত্র উদ্দেশ্য হলো— ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী ও নেতানিয়াহু সরকারকে একটি যুদ্ধবিরতিতে বাধ্য করা, যেটি পশ্চিমাদের নিঃশর্ত সমর্থনের কারণে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে।

নেতানিয়াহুর সরকারকে সমর্থন করার জন্য আবারও পশ্চিমা দেশগুলোর সমালোচনা করে এরদোগান বলেন, তিনি আশা করেছিলেন যে, এই দেশগুলো তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে তুর্কিকে ‘আক্রমণ’ করবে।

তিনি বলেন, ইসরাইলের বিরুদ্ধে আমাদের বাণিজ্য বিধিনিষেধের কারণে পশ্চিমারা কীভাবে আমাদের আক্রমণ করবে তা আমরা ভালোভাবে জানি। তুরস্কসহ অন্যান্য দেশের জন্য এটি একটি উদাহরণ সৃষ্টি করবে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, যখন একটি যুদ্ধবিরতি হয়, তখন গাজায় পর্যাপ্ত সাহায্যের অনুমতি দেওয়া হয়। এটি আমাদের লক্ষ্য।

এরদোগান বলেন, আমরা আমাদের অঞ্চলের কোনো দেশের সঙ্গে শত্রুতা বা সংঘাতের দিকে অগ্রসর হই না। আমরা আমাদের ভূগোলে সংঘর্ষ, রক্ত ও অশ্রু দেখতে চাই না।

ফিলিস্তিন ইস্যুতে দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে সব ধরনের বাণিজ্য বন্ধ করে দিয়েছে তুরস্ক। তারা বলেন, ইসরাইল থেকে তুরস্কে আর কোনো পণ্য আসছে না এবং যাচ্ছেও না।

বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গকে এ তথ্য জানিয়েছেন তুরস্কের দুই কর্মকর্তা।

বৃহস্পতিবার ইসরাইলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের বিরুদ্ধে এক্সে একটি পোস্ট করেছেন। এতে তিনি অভিযোগ করেছেন, বন্দর দিয়ে ইসরাইলি পণ্য আমদানি ও রপ্তানি বন্ধ করে দিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোগান বাণিজ্যিক চুক্তি ভঙ্গ করছেন।

তিনি এক্সে লিখেছেন— স্বৈরশাসক এমন ব্যবহার করে থাকে। তুরস্কের মানুষ ও বাণিজ্য এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য চুক্তিকে উপেক্ষা করেছেন তিনি।