img

ব্রহ্মপুত্রে ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

প্রকাশিত :  ০৬:২৮, ২৬ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩১, ২৬ মার্চ ২০২৪

ব্রহ্মপুত্রে ভাঙনে দিশেহারা মানুষ

কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলায় বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের অসময়ের ভাঙনে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন নদের পাড়ের বাসিন্দারা। স্রোত অনেক কম থাকলেও ভাঙন দেখে হতবাক স্থানীয়রা। ক্রমেই ভাঙনের তীব্র আকার ধারণ করছে। 

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, প্রায় ২৫০ বসতবাড়ী এবং ৮০০ বিঘা ফসলি জমি নদের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে নামাজের চর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র, নামাজের চর মহাবিদ্যালয়, নামাজের চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, গুচ্ছগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ (খেয়ার চর) বাজারসহ ফসলি জমি। ফলে ভাঙন আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ।  

গত এক মাসে ভাঙনে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের দক্ষিণ নামাজের চর এলাকার বসতভিটা হারিয়ে অন্যত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে প্রায় আড়াই শতাধিক পরিবার। 

অব্যাহত ভাঙন ঠেকাতে ব্যক্তি ও সামাজিক উদ্যোগে গাছের ডাল ও বস্তা ফেলে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন ব্রহ্মপুত্র পাড়ের বাসিন্দারা।


ভাঙন কবলিত এলাকার ববিতা খাতুন জানান, শুধুমাত্র বসতভিটা ও জমাজমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা করতে বাড়ির সব কাজ ফেলে দিনরাত বস্তায় বালু ভর্তি করে নদীতে ফেলছি। এমনও দিন গেছে সারাদিন রোজা থেকে নদীর পাড়েই পানি দিয়ে ইফতার করেছি।

খেয়ার চর এলাকার হযরত আলী জানান, বাপ-দাদার জনমে দেখিনি অসময়ে এভাবে নদী ভাঙে। যেভাবে ভাঙছে তাতে শুকনো মৌসুমে ভাঙন ঠেকানো না গেলে খেয়ার চর বিলীন হওয়ার শংকা রয়েছে।

কৃষক আনছার আলী জানান, ৪৫ শতাংশ ভুট্টা, ৯ শতাংশ কচু খেত নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এছাড়াও বেগুন, মরিচ, লাউ, লাল শাকসহ বিভিন্ন সবজি খেত ভাঙনের কবলে। কিভাবে সন্তানের মুখে খাবার দেবে সেই চিন্তায় এখন দিন কাটছে।

সাহেবের আলগা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বারি মোল্লা জানান, ব্রহ্মপুত্র ভাঙন রোধে এলাকাবাসী নিজ অর্থায়নে সেচ্ছাশ্রমে ১৪ হাজার বালু ভর্তি বস্তা নদীতে ফেলেছি। তবুও ভাঙন রোধ করা যাচ্ছে না।

এ নিয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু বলেন, এমপির উদ্যোগে পানি উন্নয়ন বোর্ড এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিংয়ের কাজ চলমান রয়েছে। আশা করছি খুব দ্রুত ভাঙন স্থায়ীভাবে রোধে কাজ শুরু হবে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ভাঙন রোধে স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং শুরু হয়েছে। প্রয়োজনে আরও ফেলা হবে। চলতি সপ্তাহে টেন্ডারের ৮০০ মিটার কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবা বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাঙন রোধে সাড়ে ছয় কোটি টাকা বাজেট দিয়েছেন। যা টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। ভাঙন রোধে ইতিমধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। চলতি সপ্তাহে টেন্ডারে কাজ শুরু হবে।

স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে গবার পদক্ষেপে আপদকালীন সময়ে ভাঙন কবলিত এলাকায় এক হাজার জিও ব্যাগ ডাম্পিং কাজের পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা গোলাম হোসেন মন্টু, ভাইস চেয়ারম্যান আবু সাঈদ সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মতি শিউলী, ব্রহ্মপুত্র ভাঙন থেকে হাতিয়া ইউনিয়ন বাঁচাও কমটির সভাপতি বিএম আব্দুল ওহাব শাহসহ স্থানীয় নেতারা।

img

বরিশালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট একই পরিবারের ৩ জনের মৃত্যু

প্রকাশিত :  ০৯:৪৬, ২৭ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৪৯, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

বরিশালের বাকেরগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নে ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। 

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিয়ামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হুমায়ূন কবির। তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিস্তারিত জানাতে পারব।

বাকেরগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, আজ বেলা ১১টার দিকে নিয়ামতি ইউনিয়নের ডালমারা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এতে গৃহবধূ সোনিয়া বেগম (৩১), তার ৯ বছরের মেয়ে রেজমি আক্তার ও ৫ বছরের ছেলে সালমান মোল্লা নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।