img

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৮ জন

প্রকাশিত :  ০৫:৪৬, ০৫ এপ্রিল ২০২৪

১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেলেন ৪৮ জন

মৌলভীবাজারে হতদরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত পরিবারের ৪৮ জন মাত্র ১২০ টাকায় পুলিশে চাকরি পেয়েছেন। 

বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে জেলা পুলিশ লাইন্স ড্রিল শেডে প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত ৪৮ জনের নাম ঘোষণা করেন নিয়োগ বোর্ডের সভাপতি ও জেলার পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান।

কোনো প্রকার হয়রানি, সুপারিশ এবং ঘুস ছাড়া সোনার হরিণ খ্যাত এই চাকরি পেয়েছেন তারা।

বাংলাদেশ পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল (টিআরসি) পদে জেলার ৪৮ জন প্রার্থী প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত হয়েছেন পুরুষ ৪১ জন এবং নারী ৭ জন। নির্বাচিতদের মধ্যে পুলিশ পোষ্য কোটায় ১ জন, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৪, উপজাতি কোটায় ২, নারী সাধারণ কোটায় ৫ জন এবং পুরুষ সাধারণ কোটায় ৩৬ জন। এছাড়া ৭ জনকে অপেক্ষমান হিসেবে রাখা হয়েছে।

জেলা পুলিশ সুপার মো. মনজুর রহমান বলেন, আমরা শতভাগ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও মেধার ভিত্তিতে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছি। শুধু সরকারি ফি ১২০ টাকা ছাড়া আর কোনো টাকা-পয়সা কাউকে কোথাও খরচ করতে হয়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি বিশ্বাস করি যারা পুলিশের কনস্টেবল পদে নির্বাচিত হয়েছেন তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট যুগের স্মার্ট পুলিশ হিসেবে জনগণের কল্যাণে কাজ করবে।

উল্লেখ্য, মৌলভীবাজার জেলা থেকে অনলাইনে মোট ১ হাজার ৭২২ জন প্রার্থী আবেদন করেন। তিন ধাপে শারীরিক সক্ষমতা যাচাই-বাছাই শেষে ৩৭০ জন প্রার্থী লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। পরে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ ৭৯ জন প্রার্থী মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন।


সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

মোট ৪৭ আসামির মধ্যে সাজার আদেশপ্রাপ্ত একজন পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১৬ জনসহ ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে মারা গেছেন আটজন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।   

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হুরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ফজল মিয়া, রুহুল আমিন মিলন, জালাল মিয়া ও কুতুব উদ্দিন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, ইছাক মিয়া, জিয়াউর রহমান, কালাম মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মতলিব, মিজাজ মিয়া, আয়াত আলী ও সায়েদ আলী। তাদের মধ্যে আয়াত আলী পলাতক।

বিকেলে সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামে সামাজিক বিচারক ও এলাকার মুরুব্বি হারুণ মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হারুন মিয়ার ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতপাড়ায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।