img

বোনকে সামলান, সামনে পড়লে থাপড়াবো: বুবলীকে পরীমণি

প্রকাশিত :  ১০:১৮, ০৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১০:৩০, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

বোনকে সামলান, সামনে পড়লে থাপড়াবো: বুবলীকে পরীমণি

ঢালিউডের আলোচিত দুই নায়িকা শবনম বুবলী ও পরীমণির মধ্যে বেশ কিছুদিন থেকে ভার্চুয়াল দ্বন্দ্ব চলছে। গত ২১ মার্চ ছিল শাকিব-বুবলীর সন্তান বীরের জন্মদিন। ওই দিন সন্তানকে নিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন বুবলী। ভিডিওটির থিম কপি বলে ইঙ্গিতমূলক স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন পরীমণি। এরপরই শুরু হয় তাদের দ্বন্দ্ব। এরপর আরেকটি রহস্যজনক পোস্ট দেন বুবলীও। এরপর পরীও নতুন করে পোস্ট দেন। কেউ কারও নাম নেননি, তবে ঢাকাই ছবির দুই নায়িকার এই ‘ভার্চ্যুয়াল যুদ্ধ’-এ সরগরম হয়ে ওঠে অন্তর্জাল।

এর রেশ ধরে সম্প্রতি কলকাতার একটি সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজেকে ‘বেয়াদব’ বলে মন্তব্য করেন পরীমণি। এই নায়িকা আরও বলেন, সবসময় এমন হয়েই থাকতে চান তিনি। বদলাতে চান না ‘বেয়াদবী’ তকমা।

পরীমণির এমন বক্তব্যের পরই একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকার দেন বুবলী। যেখানে পরীর নাম না নিলেও পরোক্ষভাবে নায়িকার ওই বক্তব্যের সমালোচনায় মেতে ওঠেন তিনি।

সাক্ষাৎকারের একটি অংশে বুবলী বলেন, ‘শিল্পীদের মধ্যে কেউ যদি আমার আবেগের জায়গাকে অন্যভাবে আনেন, সেটি আমার জন্য কষ্টের। কেউ যদি কারোর সঙ্গে অসভ্যতা করেন, কাউকে কষ্ট দেন, সেটি যদি তার কাছে মনে হয় সে স্পষ্টবাদী, তাহলে তো একসময় বড়দেরও অসম্মান করবেন। বড়দেরও হুটহাট কিছু বলে ফেলবেন। এটা বেয়াদবিই।’

বুবলীর এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ হওয়ার পরেই শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে ফেসবুকে আবারও একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন পরীমণি। যেখানে তিনি লিখেছেন— আপনার বড় বোনকে আগে সভ্য হতে বলেন আপা। গালিগালাজ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় স্টাটাস দেয় কেন বিদেশ বসে? সামনে আসতে বলেন। আগে নিজে এবং নিজের পরিবারের সভ্যতা নিশ্চিত করেন। দল পাকায়েন না এতো।

পরী আরও লেখেন, আমি তাও তো আপনাকে আপা বলে কথা বলি। আপনি বলি। কারণ আমি সভ্য, তাই। আপনার বোন আর আপনার মতো তুই-তোকারি গালিগালাজ তো করি নাই। সামনে পরলে এবার থাপড়ায়ে দিবনে তাইলে। বেয়াদবি না করেই এত কথা আপনার আমাকে নিয়ে? এবার এটা করলে কি যায় আসে আর।

স্ট্যাটাসে পরীমণি কারও নাম না প্রকাশ করলেও ভক্তদের বুঝতে সমস্যা হয়নি নায়িকার তীরের নিশানায় কে ছিলেন। বুবলীর বড় বোন সংগীতশিল্পী নাজনীন মিমিকেই ইঙ্গিত করেই কথাগুলো বলেছেন পরী। কারণ গেল ফেব্রুয়ারিতেই ফেসবুকে লাইভে এসে শাকিব খানের প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাসকে ‘টোকাই’সহ অসংখ্য অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন তিনি। এছাড়া বিভিন্ন সময় বোন বুবলীর পাশে দাঁড়িয়ে তার সমালোচকদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি মিমি।


img

বাচ্চার সঙ্গে শাকিবের বাসায় অন্যজন গেলে আমিও যাব: অপু বিশ্বাস

প্রকাশিত :  ১৪:০০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চিত্রনায়ক শাকিবকে নিয়ে বুবলীর নানা মন্তব্যের পর সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে অতীত। এরপর শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব। ছেলের জন্য পাত্রী দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।

নানা বিষয় নিয়ে শাকিব ও শাকিবের পরিবারের এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেছেন বুবলী। এবার একই বিষয় নিয়ে কথা বললেন অপু বিশ্বাস। প্রকাশিত খবরে শাকিব ও তাঁর পরিবারের দাবি, দুজনের (অপু ও বুবলী) সিনেমা মুক্তির সময় হলে বা কোনো কারণে আলোচনার বাইরে থাকলে নতুন করে আলোচনায় আসার জন্য শাকিবকে জড়িয়ে দুজনই কথা বলা শুরু করেন গণমাধ্যমে।

এ ব্যাপারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, অন্যজনের (বুবলীকে ইঙ্গিত) মতো আমি কিন্তু শাকিবকে নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাইনি। তবে হ্যাঁ, যখন আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, ছবির খবর নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়। যেহেতু শাকিব খান বাংলাদেশে সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা, সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর নাম টুকটাক আসতেই পারে। অন্য নায়ক-নায়িকাদের নামও তো আসে। এটি অন্যভাবে নেওয়ার কিছু নেই।’

সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করে অপু বলেন, ‘যখন থেকে শাকিব খান দুজনকেই অতীত বলেছেন, তারপরও কেউ যদি বলে, “আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি; আমাদের বাচ্চা অনেক সময় সে সুযোগ করে দেয়।” এরপর কৌশলে শাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে এনে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে সম্পর্ক টিকে আছে, প্রমাণ করতে চায়, সেটিতে অবশ্যই শাকিব ও শাকিবের পরিবার বিরক্ত হবেনই।’

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু ২০১৮ সালের পর টানা চার বছর শাকিবের বাসায় যাইনি। আমি মায়ের সঙ্গে থেকেছি। হাসপাতালে মা মারা যাওয়ার খবরটাও তাদের দিইনি। শুধু মায়ের লাশ যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ায় নিচ্ছিলাম, তখন ফোনে জানিয়েছিলাম। কেন যাইনি, সেটাও অনেকে জানেন। কারণ, আমার সংসারজীবনে অন্য কেউ এসে অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে।’

বুবলীকে ইঙ্গিত অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে পড়লাম। একজন বলেছেন, “আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।” সন্তান যাবে তার বাবার বাড়ি। তা যে কারোর সঙ্গেই যেতে পারে। বাবার কাছে সন্তানের নিরাপত্তাহীনতার মানে কী? এটি একটি হাস্যকর কথা। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, বাচ্চার সঙ্গে সেখানে যাওয়ার অর্থই নিজের স্বার্থ হাসিল করা। তাই বাচ্চাকে নিরাপত্তার অজুহাতে একা দিতে চান না।’

অপু বিশ্বাস বুবলীকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘বাচ্চার সঙ্গে শাকিবের বাসায় অন্যজন (বুবলী) গেলে, আমিও যাব।’

এদিকে প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবারের দাবি, আপনি ও বুবলীর আচরণের কারণেই শাকিবের জন্য মেয়ে দেখছেন তাঁরা। চলতি বছরেই নাকি শাকিবকে বিয়ে দেবেন। আপনি কী বলেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে আমার বলার কী আছে! প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। ভালো লাগা আছে। তবে আমার আচরণে পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত, এটা বিশ্বাস করি না। শাকিবকে নিয়ে অন্য একজনের (বুবলী) কথাবার্তা কেমন, তা এখন সবার জানা।’