img

হত্যা মামলায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হবিগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ০৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫১, ০৮ এপ্রিল ২০২৪

 হত্যা মামলায় র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হবিগঞ্জের ইউপি চেয়ারম্যান

আলোচিত হাজী রফিক হত্যা মামলার প্রধান আসামি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বামকান্দি এলাকার স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান কায়সার রহমানকে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব-৩ এর স্টাফ অফিসার (মিডিয়া) সহকারী পুলিশ সুপার মো. আজাহার হোসেন এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, শুক্রবার গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব-৩ ও র‌্যাব-৯ এর যৌথ অভিযানে কায়সারকে রাজধানীর খিলগাঁও থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এএসপি আজাহার হোসেন বলেন, এ বছর ৬ মার্চ রাতে বামকান্দি এলাকার একটি মাজারে ওরস অনুষ্ঠানে নাগরদোলায় চড়া নিয়ে নিহত রফিকের ভাতিজা নাদিম এবং স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গ্রেপ্তারকৃত কায়সারের ভাগ্নে মোশারফের মধ্যে ঝগড়া হয়। পরদিন এই ঘটনা নিয়ে বামকান্দি বাজারে রফিক ও কায়সারের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে কায়সার ও তার লোকজন রফিকের ওপর হামলা চালায়।

পরে মুমূর্ষু অবস্থায় রফিককে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে ১০ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় রফিক মারা যান।

সহকারী পুলিশ সুপার বলেন, এ ঘটনায় নিহত রফিকের ছেলে বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পর পর অভিযুক্ত কায়সারসহ অন্যরা আত্মগোপনে চলে যায়।

সিলেটের খবর এর আরও খবর

img

হবিগঞ্জে হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন ১০

প্রকাশিত :  ১৫:১৮, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

হবিগঞ্জে হারুন আহমেদ হত্যা মামলায় ৭ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টায় হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ আদালতের বিচারক মো. আজিজুল হক এ রায় ঘোষণা করেন।  

মোট ৪৭ আসামির মধ্যে সাজার আদেশপ্রাপ্ত একজন পলাতক। সাজাপ্রাপ্ত বাকি ১৬ জনসহ ৩৮ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মামলা চলাকালে মারা গেছেন আটজন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি আসামিরা খালাস পেয়েছেন।   

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- হুরগাঁও গ্রামের রফিক মিয়া, আব্বাস উদ্দিন, জাকির হোসেন, ফজল মিয়া, রুহুল আমিন মিলন, জালাল মিয়া ও কুতুব উদ্দিন।

 যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-জজ মিয়া, ইব্রাহিম মিয়া, ইছাক মিয়া, জিয়াউর রহমান, কালাম মিয়া, কুতুব উদ্দিন, আব্দুল মতলিব, মিজাজ মিয়া, আয়াত আলী ও সায়েদ আলী। তাদের মধ্যে আয়াত আলী পলাতক।

বিকেলে সাড়ে ৫টায় হবিগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর সালেহ উদ্দিন আহমেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। 

তিনি জানান, পূর্ব বিরোধের জেরে ২০০৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার হুরগাঁও গ্রামে সামাজিক বিচারক ও এলাকার মুরুব্বি হারুণ মিয়াকে রাস্তায় পথরোধ করে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় নিহত হারুন মিয়ার ভাই সুমন আহমেদ ৪৭ জনের নামে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে মঙ্গলবার এ রায় দেন আদালত।

রায় ঘোষণার সময় আদালতপাড়ায় সহস্রাধিক মানুষের ভিড় ছিল। পরে কঠোর নিরাপত্তায় আসামিদের কারাগারে পাঠানো হয়।