img

জোভান ও মাহির ফেসবুক পেজ গায়েব!

প্রকাশিত :  ১২:০৪, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১২:১৩, ১৮ এপ্রিল ২০২৪

জোভান ও মাহির ফেসবুক পেজ গায়েব!

ঈদ উপলক্ষে প্রকাশিত ‘রূপান্তর’ নাটকে অভিনয়ের জেরে ব্যাপক সমালোচনায় পড়েছেন অভিনেতা জোভান ও অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি।

নাটকটির মাধ্যমে দেশে ‘ট্রান্সজেন্ডার সংস্কৃতি’ প্রমোট করার অভিযোগ এনেছেন নেটিজেনরা। এ কারণে গত তিনদিন ধরে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা জোভানকে অনলাইনে তুলোধোনা করছে নেটিজেনরা।

এখানেই থেমে নেই! জোভান ও সামিরা খান মাহি দুজনের ফেসবুক পেজ গায়েব করে দেয়া হয়েছে। জোভানের ১৯ লাখের পেজ ও মাহির ২৪ লাখের পেজটি আর ফেসবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।

‘রূপান্তর’ নাটকটি ইউটিউবে প্রকাশের পর থেকেই শুরু হয় সমালোচনা। অসংখ্য পোস্ট ও লক্ষাধিক প্রতিক্রিয়া আসে নাটকটির বিরুদ্ধে। তীব্র সমালোচনায় পড়ে নাটকটি ইউটিউব থেকে সরিয়ে ফেলা হয়।

নাটকটিতে অভিনয়ের কারণে জোভানের বিরুদ্ধেও দেওয়া হয়েছে বয়কটের ডাক। এমন আচরণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে মনে করছেন এই অভিনেতা। তার ভাষায়, এটা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কারণ সামগ্রিকভাবে কথা বলার চেয়ে ব্যক্তিগত আক্রমণটা বেশি হচ্ছে।

১৫ এপ্রিল সন্ধ্যা ৭টায় উন্মুক্ত করা হয় ইউটিউবে প্রকাশ করা হয় ‘রূপান্তর’। হরমোনজনিত কারণে একজন মানুষের একা হয়ে যাওয়ার গল্প তুলে ধরা হয়েছে নাটকে। এটি নির্মাণ করেছেন রাফাত মজুমদার রিংকু। জোভান ছাড়াও অভিনয় করেছেন সামিরা খান মাহি, সাবেরী আলম ও সমাপ্তি মাসুক।

img

বাচ্চার সঙ্গে শাকিবের বাসায় অন্যজন গেলে আমিও যাব: অপু বিশ্বাস

প্রকাশিত :  ১৪:০০, ৩০ এপ্রিল ২০২৪

চিত্রনায়ক শাকিবকে নিয়ে বুবলীর নানা মন্তব্যের পর সম্প্রতি বেসরকারি একটি টেলিভিশনে বিরক্তি প্রকাশ করেছেন শাকিব খান ও তাঁর পরিবার। চিত্রনায়ক শাকিব খানের দাবি, অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলী দুজনই তাঁর কাছে অতীত। এরপর শোনা গেছে, বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শাকিব। ছেলের জন্য পাত্রী দেখছেন পরিবারের সদস্যরা।

নানা বিষয় নিয়ে শাকিব ও শাকিবের পরিবারের এ ধরনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে কথা বলেছেন বুবলী। এবার একই বিষয় নিয়ে কথা বললেন অপু বিশ্বাস। প্রকাশিত খবরে শাকিব ও তাঁর পরিবারের দাবি, দুজনের (অপু ও বুবলী) সিনেমা মুক্তির সময় হলে বা কোনো কারণে আলোচনার বাইরে থাকলে নতুন করে আলোচনায় আসার জন্য শাকিবকে জড়িয়ে দুজনই কথা বলা শুরু করেন গণমাধ্যমে।

এ ব্যাপারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘খেয়াল করে দেখবেন, অন্যজনের (বুবলীকে ইঙ্গিত) মতো আমি কিন্তু শাকিবকে নিয়ে আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে যাইনি। তবে হ্যাঁ, যখন আমার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়, ছবির খবর নিয়ে সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কথা হয়। যেহেতু শাকিব খান বাংলাদেশে সিনেমার সবচেয়ে বড় তারকা, সিনেমা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তাঁর নাম টুকটাক আসতেই পারে। অন্য নায়ক-নায়িকাদের নামও তো আসে। এটি অন্যভাবে নেওয়ার কিছু নেই।’

সরাসরি কারও নাম উল্লেখ না করে অপু বলেন, ‘যখন থেকে শাকিব খান দুজনকেই অতীত বলেছেন, তারপরও কেউ যদি বলে, “আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি; আমাদের বাচ্চা অনেক সময় সে সুযোগ করে দেয়।” এরপর কৌশলে শাকিবের সঙ্গে ছবি তুলে এনে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে সম্পর্ক টিকে আছে, প্রমাণ করতে চায়, সেটিতে অবশ্যই শাকিব ও শাকিবের পরিবার বিরক্ত হবেনই।’

অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘আমি কিন্তু ২০১৮ সালের পর টানা চার বছর শাকিবের বাসায় যাইনি। আমি মায়ের সঙ্গে থেকেছি। হাসপাতালে মা মারা যাওয়ার খবরটাও তাদের দিইনি। শুধু মায়ের লাশ যখন অ্যাম্বুলেন্সে করে বগুড়ায় নিচ্ছিলাম, তখন ফোনে জানিয়েছিলাম। কেন যাইনি, সেটাও অনেকে জানেন। কারণ, আমার সংসারজীবনে অন্য কেউ এসে অনেক কষ্ট দিয়েছে আমাকে।’

বুবলীকে ইঙ্গিত অপু বিশ্বাস আরও বলেন, ‘গণমাধ্যমে পড়লাম। একজন বলেছেন, “আমাদের সন্তান আছে, আমার সন্তানের নিরাপত্তা আমার কাছে সবার আগে। কেউ চাইলেই তো আমি আমার সন্তানকে একা কোথাও ছাড়ব না।” সন্তান যাবে তার বাবার বাড়ি। তা যে কারোর সঙ্গেই যেতে পারে। বাবার কাছে সন্তানের নিরাপত্তাহীনতার মানে কী? এটি একটি হাস্যকর কথা। তার মানে বোঝা যাচ্ছে, বাচ্চার সঙ্গে সেখানে যাওয়ার অর্থই নিজের স্বার্থ হাসিল করা। তাই বাচ্চাকে নিরাপত্তার অজুহাতে একা দিতে চান না।’

অপু বিশ্বাস বুবলীকে ইঙ্গিত করে আরও বলেন, ‘বাচ্চার সঙ্গে শাকিবের বাসায় অন্যজন (বুবলী) গেলে, আমিও যাব।’

এদিকে প্রকাশিত খবরে শাকিবের পরিবারের দাবি, আপনি ও বুবলীর আচরণের কারণেই শাকিবের জন্য মেয়ে দেখছেন তাঁরা। চলতি বছরেই নাকি শাকিবকে বিয়ে দেবেন। আপনি কী বলেন?’ এ প্রশ্নের জবাবে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘এখানে আমার বলার কী আছে! প্রত্যেক মানুষেরই ব্যক্তিস্বাধীনতা আছে। ভালো লাগা আছে। তবে আমার আচরণে পরিবারের এমন সিদ্ধান্ত, এটা বিশ্বাস করি না। শাকিবকে নিয়ে অন্য একজনের (বুবলী) কথাবার্তা কেমন, তা এখন সবার জানা।’