img

৮২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার : সিপিডি

প্রকাশিত :  ১২:৫২, ১৬ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৫:২৫, ১৬ মার্চ ২০২৪

৮২ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি সরকার : সিপিডি

সরকার ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বড় অংকের রাজস্ব ঘাটতির মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বলে মনে করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। বিগত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের চলমান ধারা পর্যবেক্ষণ করে অর্থবছর শেষে ৮২ হাজার কোটি টাকা ঘাটতি হবে বলে দাবি করছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ।

আজ শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে ‘২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের জাতীয় বাজেটে সিপিডির সুপারিশমালা’ শীর্ষক মিডিয়া ব্রিফিংয়ের আয়োজন করে সিপিডি। সেখানে সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন সম্ভাব্য রাজস্ব ঘাটতির বিষয়টি জানান।

ফাহমিদা খাতুন বলেন, এমন একটা সময় বাজেট প্রণয়ন হতে যাচ্ছে যখন সামষ্টিক অর্থনীতি নেতিবাচক ধারায় রয়েছে। দেশে উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যাংকের তারল্য সংকট, বাজেট বাস্তবায়নে নিম্ন ও শ্লথ গতি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ নিম্নগামী এবং রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স নিচের দিকে। এই প্রেক্ষিতে আমাদের সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা যেটা আমরা দেখতে চাই বিশেষ করে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ও নিম্ন মূল্যস্ফীতিসহ অন্যান্য সূচক যেখানে থাকার কথা সেটা নেই। বরং চরমভাবে চাপের মুখে পড়েছে। এর কারণ আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ দুটোই।

তিনি বলেন, আগামী ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের বাজেটের মূল লক্ষ্য হবে কীভাবে সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা যায়। ওই চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলা করে কীভাবে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার করা যায়, সেটা বড় বিষয়। যেমন- গত ছয় মাসের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩৬.৩ শতাংশ। কিন্তু ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রাপ্তি মাত্র ১৩.৯ শতাংশ। আমরা যদি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চাই, তাহলে বাকি ৬ মাসে রাজস্ব আহরণে ৫৪.৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। যা অত্যন্ত কঠিন বিষয়। বিগত দিনের ধারা লক্ষ্য করলে দেখা যায় রাজস্ব ঘটতি আগের মতোই চলমান থাকবে। যার পরিমাণ ৮২ হাজার কোটি টাকা হবে বলে মনে করছি।

অন্যদিকে সরকারি ব্যয়ে সংযম লক্ষ্য করছি। ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যয় ২৫.৫ শতাংশ দেখতে পাচ্ছি। গত বছরে ২৭ শতাংশের মতো ছিল। যেখান থেকে আরও কমেছে। নিজস্ব আর্থিক ব্যবস্থা ও আইএমএফ-এর পরামর্শে ব্যয় কমেছে। ওই সময় বাজেট ঘাটতি বেশ কমেছে, বাজেট ঘাটতি ৭ হাজার ৮৮৫ কোটি টাকা। যেখানে গত অর্থবছরের এই সময়ে ঘাটতি ছিল ২০ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাজেট ঘাটতি পূরণে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে ঋণ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে ব্যক্তিখাতে ঋণ প্রবাহ কমে গেছে।

মূল্যস্ফীতি প্রসঙ্গে ফাহমিদা বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দেখতে পাচ্ছি মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের বেশি ছিল। যেখানে খাদ্য মূল্যস্ফীতি শহর ও গ্রামে দুটো জায়গায়ই বেশি ছিল। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারেনি বাংলাদেশ ব্যাংকের পদক্ষেপ।

 

img

টানা চতুর্থ দফায় কমল সোনার দাম

প্রকাশিত :  ১২:৪৮, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

আবারও সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়েছে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৬৩০ টাকা কমানো হয়েছে। ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমে দাঁড়াচ্ছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। টানা চতুর্থ দফায় দেশের বাজারে সোনার দাম কমানো হয়েছে। 

বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস) শ‌নিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে ।

বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পাকা সোনা) দাম কমেছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বাজারে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

সোনার নতুন দাম অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটের এক ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) সোনার দাম কমে হয়েছে ১ লাখ ১২ হাজার ৯৩১ টাকা। যা আগে ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৬১ টাকা।

২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৭ হাজার ৭৯৯ টাকা। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৯২ হাজার ৪০২ টাকা।

ত‌বে সনাতন পদ্ধতির সোনার দাম বাড়ানো হয়েছে।এই মানের এক ভরি সোনার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৬ হাজার ৮৪২ টাকা।

এ ছাড়া অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে রুপার দাম। ক্যাটাগরি অনুযায়ী, ২২ ক্যারেটে প্রতি ভরি রুপার দাম ২ হাজার ১০০ টাকা, ২১ ক্যারেটের দাম ২ হাজার ৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের দাম ১৭১৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির রুপার দাম ১ হাজার ২৮৩ টাকা রাখা হয়েছে।

এর আগে তিন দফায় সোনার দাম কামানো হয়। এরমধ্যে ২৩ এপ্রিল তিন হাজার ১৩৮ টাকা, ২৪ এপ্রিল ২০৯৯ টাকা, ২৫ এপ্রিল ৬৩০ টাকা ও ২৭ এপ্রিল ৬৩০ টাকা কমায় বাজুস। অর্থাৎ টানা চার দিনে ভ‌রি‌তে সোনার দাম ক‌মেছে ৬ হাজার ৪৯৮ টাকা।

তার আগে গত ৬, ৮ ও ১৮ এপ্রিল সোনার দা‌ম বাড়ানো হয়েছিল। এর ম‌ধ্যে ৬ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা, ৮ এপ্রিল ১৭৫০ টাকা ও ১৮ এপ্রিল ২০৬৫ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। পরে ২০ এপ্রিল ৮৪০ টাকা কমানোর একদিন পর ২১ এপ্রিল ফের ৬৩০ টাকা বাড়ানো হয়েছিল।