img

মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়

প্রকাশিত :  ০৮:১১, ২৩ মার্চ ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৮:১৭, ২৩ মার্চ ২০২৪

মিষ্টি তরমুজ চেনার উপায়

গ্রীষ্মের ফলের মধ্যেই শুরুতেই আসে তরমুজের নাম। বাইরে সবুজ আর ভেতরে টুকটুকে লাল তরমুজ খেতে পছন্দ করেন না, এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া মুশকিল। বাজারে এসেছে রসালো ফল তরমুজ। যদিও দামে বেশ চড়া, তবুও রোজার সময় তরমুজের চাহিদা রয়েছে ভালোই। অনেকে অভিযোগ করছেন অপরিপক্ক তরমুজ বিক্রি হচ্ছে বাজারে। কীভাবে চিনবেন মিষ্টি তরমুজ। জেনে নিন ভালো ও মিষ্টি তরমুজ চেনার কিছু উপায় সম্পর্কে।

বাইরে থেকে দেখে তরমুজ চেনার উপায় কী? অনেকেই না বুঝে কিনে নিয়ে বাসায় গিয়ে দেখেন তরমুজের ভেতরটা সাদা! অর্থাৎ এখন পরিপক্ব হয়নি। কিন্তু অসাধু ব্যবসায়ীরা বেশি লাভের আশায় আগেভাগেই বাজারে তরমুজ নিয়ে আসেন। আপনি যদি সুমিষ্ট ও পরিপক্ক তরমুজ কিনতে চান তাহলে জেনে নিতে হবে কিছু টিপস-

চকচকে জিনিসের প্রতিই আমাদের আকর্ষণ বেশি থাকে। তবে তরমুজের ক্ষেত্রে এমনটা করতে যাবেন না যেন। চকচকে দেখে কিনলে তা মিষ্টি ও পাকা না হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। বাইরে থেকে চকচকে দেখায় এমন তরমুজ না কিনে কিছুটা ফ্যাকাশে বর্ণের তরমুজ বেছে নিন। এতে সুমিষ্ট তরমুজ পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি।


তরমুজের গায়ের ছোপ দেখেও কিন্তু বুঝতে পারা যায় যে এটি মিষ্টি হবে কি না। তাই কেনার আগে দেখে নিন যে তরমুজটি কিনতে চাচ্ছেন সেটির গায়ে হলদে ছোপ রয়েছে কি না। যদি থাকে তাহলে সেটি কিনতে পারেন। কারণ তরমুজের গায়ে হলদে ছোপ থাকলে তা মিষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।


তরমুজ কেনার আগে এর গায়ে হালকা হাতে টোকা দিতে দেখবেন অনেককেই। এর কারণ কী বলুন তো? এই টোকার মাধ্যমেও কিন্তু বোঝা যেতে পারে যে তরমুজটি পরিপক্ক কি না। আপনিও তাই যে তরমুজটি কিনতে চাচ্ছেন তার গায়ে হালকা করে টোকা দিয়ে দেখুন। শব্দ যদি গভীর হয় এবং ফাঁপা না হয় তবে সেটি কিনতে পারেন। এ ধরনের তরমুজ রসালো ও মিষ্টি হয়ে থাকে।

img

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের সম্পর্ক

প্রকাশিত :  ১৩:৪৯, ২৫ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ১৩:৫৭, ২৫ এপ্রিল ২০২৪

টাইপ টু ডায়বেটিসের সঙ্গে রয়েছে ঘুমের অত্যন্ত নিবিড় সম্পর্ক। প্রতি রাতে যারা ছয় ঘণ্টার কম ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্যা ইনডিপেনডেন্টের প্রতিবেদনে জামা নেটওয়ার্ক ওপেন জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাপত্রের বরাতে বলা হয়েছে, যারা প্রতিদিন ছয় ঘণ্টার কম সময় ঘুমান তাদের টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৬ শতাংশ। এই ক্ষতি স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেও পূরণ করা যাবে না।

যুক্তরাজ্যের প্রায় দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার প্রাপ্তবয়স্কের উপর গবেষণায় দেখা গেছে, যারা রাতে সাত ঘণ্টার বেশি ঘুমান তাদের তুলনায় যারা তিন থেকে চার ঘণ্টা ঘুমান তাদের ডায়াবেটিস আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা ৪১ শতাংশ বেশি। যুক্তরাজ্যে আনুমানিক ৪.৪ মিলিয়নেরও বেশি মানুষ টাইপ-টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এবং ১৩.৬ মিলিয়ন মানুষ তীব্র ঝুঁকিতে রয়েছেন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টাইপ-টু ডায়াবেটিস শরীরের চিনি বা গ্লুকোজ প্রক্রিয়ার ক্ষমতায়কে প্রভাবিত করে এবং শরীরে ইনসুলিন শোষণে বাধা দেয়; যার ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। সময়ের সাথে সাথে এটি গুরুতর শারীরিক ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে স্নায়ু এবং রক্তনালির।

 যুক্তরাজ্যের বায়োব্যাঙ্কে সংরক্ষিত ২ লাখ ৪৭ হাজার ৮৬৭ জন প্রাপ্তবয়স্ক মানুসের চিকিৎসা এবং জীবনযাত্রার ১২ বছরের সংগৃহীত তথ্যের ভিত্তিতে গবেষণাটি করা হয়েছে।

এতে গবেষকরা দেখেছেন, যারা স্বাস্থ্যকর খাবার যেমন, সপ্তাহে দুইবারের কম লাল মাংস, প্রতিদিন চার চামচের বেশি শাকসবজি, প্রতিদিন দুই বা তিন টুকরার বেশি ফল গ্রহণ করেন এবং সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন মাছ খান, এমন ৭,৯০৫ জনের টাইপ-টু ডায়াবেটিস দেখা দিয়েছে।

সুইডেনের উপসালা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গবেষক ক্রিশ্চিয়ান বেনেডিক্ট বলেন, স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাস মেনে চলা ব্যক্তিদের টাইপ-টু ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি ২৫ শতাংশ কম এবং যারা এই খাদ্যাভাস মেনে চলেছেন কিন্তু ৬ ঘণ্টার কম ঘুমিয়েছেন তাদের আক্রান্ত হওয়ার মাত্রা বেশি।