img

গরমে শরীর ঠান্ডা থাকবে যেসব পানীয়তে

প্রকাশিত :  ০৫:২৬, ২২ এপ্রিল ২০২৪

গরমে শরীর ঠান্ডা থাকবে যেসব পানীয়তে

বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র দাবদাহে জনজীবন বিপর্যস্ত হবার উপক্রম হয়েছে। বেশি গরমে শারীরিক সমস্যা হওয়া ছাড়াও দীর্ঘস্থায়ীভাবে কিডনির রোগ, ফুসফুসের রোগ, হৃদরোগ, চর্মরোগ ইত্যাদি হতে পারে। এ জন্য শরীরকে যতটা সম্ভব ঠান্ডা রাখা জরুরি।

প্রচণ্ড দাবদাহে নিজেকে সতেজ রাখতে কোন পানীয়কে বেছে নিতে পারেন। 

• আমলকির শরবত: আধা কাপ আমলকির রস একটি গ্লাসে ঢালুন। এক চামচ মধু ও স্বাদ মতো বিট লবণ ভালো করে মিশিয়ে নিন। পরিমাণ মতো পানি মিশিয়ে দিন। খুব সহজেই তৈরি হয়ে যাবে আমলকির শরবত। 

• তরমুজ-অ্যালো ভেরার শরবত: কয়েক টুকরো তরমুজের রসের সঙ্গে কয়েকটি তুলসী পাতা, ২ চামচ অ্যালো ভেরার রস আর কয়েকটা বরফ দিয়ে ভালো করে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। এ বার মিশ্রণে সামান্য বিট লবণ, গোলমরিচ আর লেবুর রস দিয়ে দিন। গ্লাসে তরমুজের কুচি আর পুদিনা পাতা দিয়ে ঠান্ডা ঠান্ডা পরিবেশন করুন তরমুজ-অ্যালো ভেরার শরবত। 

• গন্ধরাজ ঘোল: দই, পানি, কিছু পুদিনা পাতা, একটু জিরে গুঁড়া, একটু লাল লঙ্কাগুঁড়ো এবং বিট লবণ দিয়ে মিক্সারে ঘুরিয়ে নিন। এ বার সেই মিশ্রণে গন্ধরাজ লেবুর রস, লেবুর নির্যাস আর কয়েকটি বরফ মিশিয়ে নিন। পরিবেশন করুন গন্ধরাজ ঘোল।  

• শিকঞ্জি: পুদিনা পাতা বেটে নিন। তাতে একে একে পাতিলেবুর রস, বিট লবণ, চিনি আর ভাজা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। এ বার ওপর থেকে সোডা কিংবা ঠান্ডা পানি ঢেলে অল্প নেড়ে বরফ কুচি সহযোগে পরিবেশন করুন শিকঞ্জি। 

• তেঁতুলের শরবত: তেঁতুলের খোসা ও বীজ ছাড়িয়ে ক্বাথ বার করে রাখুন। গন্ধরাজ লেবুর রস বের করে নিন। এ বার মিক্সিতে একসঙ্গে তেঁতুলের ক্বাথ, লেবুর রস, বরফের কুচি, পুদিনা পাতা কুচি, লবণ আর ভাজা জিরে গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। পরিবেশন করার পাত্রে তেঁতুলের শরবত ঢেলে ওপর থেকে পুদিনা পাতা কুচিয়ে ও বরফ দিয়ে পরিবেশন করুন। 

img

এই গরমে কী খাবেন চা না কফি?

প্রকাশিত :  ০৬:৩২, ০২ মে ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৫, ০২ মে ২০২৪

তীব্র গরমে দেশজুড়ে অতিষ্ঠ মানুষ। গরমে কীভাবে শীতল থাকা যায় তা নিয়ে চলছে চর্চা। বিশেষ করে খাওয়া-দাওয়ার ওপর নজর কম-বেশি সবারই। গরমে চা না কফি পান করা ভালো তা নিয়েও চলছে বিতর্ক। এই গরমে এই দুই পানীয়ের মধ্যে কোনটা বেশি উপকারী? আর দিনে কত কাপ কাপ চা বা কফি খাওয়া উচিত? 

গরমে চা সেরা​


আমাদের অতি পরিচিত চা হল একটি রিফ্রেশিং ড্রিংক। তাই চা খেলে কমে দুশ্চিন্তা, কাজে বশে মন। তবে শুধু মনের হাল ফেরানোই নয়, সেই সঙ্গে ডায়াবিটিস, প্রেশারকে বশে রাখাসহ একাধিক জরুরি কাজেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চা। আর সেই কারণেই তো সারা বিশ্বের প্রথমসারির সব পুষ্টিবিদেরা চায়ের এত গুণগান করেন। তাই আর মনে প্রশ্ন না রেখে নিয়মিত চা খাওয়া চালু করে দিন।

কফিও উপকারী

​কফির মূল উপাদান হল ক্যাফিন। আর এই উপাদান কিন্তু মনের হাল ফেরানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। শুধু তাই নয়, এই উপাদানের গুণে হার্টও থাকে সুস্থ-সবল। সেই সঙ্গে মেলে ইনস্ট্যান্ট এনার্জি। আর এই কারণেই নিয়মিত কফির কাপে চুমুক দিয়ে দিন কাটান গোটা বিশ্বের অগণিত মানুষ। তাই শরীরে কোনও ক্রনিক অসুখ না থাকলে নিয়মিত কফি খেতেই পারেন। তাতে খুব একটা সমস্যা হবে না বললেই চলে।

কফি না চা, গরমে কোনটায় দেবেন চুমুক?​

এই গরমে কফির বদলে চা খাওয়াই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কারণ কফিতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ব্লাড প্রেশার বাড়ানোর কাজে সিদ্ধহস্ত। আর এই গরমে প্রেশার বাড়লে যে আদতে শরীরেরই বারোটা বাজবে, এই বিষয়টা আলাদা করে বলতে হবে না নিশ্চয়ই। তাই দাবদাহের মধ্যে সুস্থ থাকতে চাইলে চায়ের উপরই রাখুন ভরসা।


​কত কাপ চলতে পারে?​

এই গরমে সারাদিনে ৩ থেকে থেকে ৪ কাপ লিকার চা চলতে পারে। আর যারা দুধ চা খেতে পছন্দ করেন, তারা দিনে ১ থেকে ২ কাপ লো ফ্যাট মিল্কে তৈরি চায়ে চুমুক দিন। এই নিয়মটা মেনে চললে কিন্তু সমস্যার ফাঁদে পড়ার আশঙ্কা কমবে। তবে সকলে আবার কফির বদলে চা খেয়ে দিন কাটাতে পারবেন না। তাই আপনারা দিনে ১ কাপ ব্ল্যাক কফি খান। এই কাজটা করলে কিন্তু সুস্থ থাকবেন।

প্রচুর পানি পান করুন

এমন দাবদাহ পরিস্থিতিতে দিনে অন্ততপক্ষে ৪ লিটার পানি পান করতেই হবে। পারলে পানির পাশাপাশি ওআরএস এবং ডাবের পানি খান। সেই সঙ্গে পাতে থাকুক হালকা খাবার এবং মৌসুমি ফল। এড়িয়ে চলুন ফাস্টফুড।