img

গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

প্রকাশিত :  ০৬:৩৪, ০৬ এপ্রিল ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৬:৩৭, ০৬ এপ্রিল ২০২৪

গরমে হিট স্ট্রোক থেকে বাঁচার উপায়

প্রতিদিন গরমের মধ্যে থাকলে শরীরে সমস্যা দেখা দেওয়া স্বাভাবিক। গ্রীষ্মের কাকফাটা গরমে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। এই পরিস্থিতিতে শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে গিয়ে ঘাটতি তৈরি হয়। এছাড়া ব্লাড প্রেশার কমে যাওয়া, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে।  তীব্র তাপদাহ চৈত্রের শেষে গ্রীষ্মের আগমনী জানান দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ জুড়ে বইছে লু হাওয়া। ভোর রাত থেকে সকাল পর্যন্ত তাপমাত্র কিছুটা কম থাকে। বেলা বাড়ার সঙ্গে বাড়ছে গরমের তীব্রতা। এই সময়ে ঘরের বাইরে বের হয়ে অনেকেই হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হচ্ছে। জানুন হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়িয়ে সুস্থ থাকার উপায়।

হিট স্ট্রোক কী?

গ্রীষ্মের দিনে অত্যধিক তাপমাত্রাজনিত কারণে শরীর অতিরিক্ত গরম হয়ে যায়। এই সমস্যাকে বলা হয় হিট স্ট্রোক। অনেকক্ষণ তীব্র রোদে থাকার কারণে এই সমস্যা হয়। হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে শরীরের তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পেরে।

এই অসুখে আক্রান্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিতে হয়। নইলে প্রাণ নিয়ে টানাটানি পড়তে পারে। তাই দেরি না করে এই অসুখের লক্ষণ ও প্রতিরোধের কৌশল জেনে নেওয়া দরকার।

হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ

১. শরীরের তাপমাত্রা খুবই বেড়ে যায়। এই সময় তাপমাত্রা ১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট ছাড়িয়ে যেতে পারে

২. আক্রান্ত অদ্ভুত ব্যবহার শুরু করতে পারেন, তাঁর খিঁচুনি হতে পারে

৩. খুব ঘাম হয়

৪. বমি বমি ভাব বা বমি হতে পারে

৫. দ্রুত শ্বাসপ্রশ্বাস

৬. হার্টরেট বেড়ে যায়

৭. মাথা ব্যথা হয়

8. আক্রান্ত সংজ্ঞাহীন হয়ে যেতে পারেন

এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে অবশ্যই সচেতন হয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।


হিট স্ট্রোক কেন হয়?

এই অসুখ মূলত খুব গরমে থাকার জন্য হয়। তাই যারা গরমের সময় একান্তই বাইরে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন, তারা সতর্ক হন। আসলে আবহাওয়া উতপ্ত হলে শরীর নিজের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা আর নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে না। তখন এই জটিলতা তৈরি হয়।

এছাড়া যারা এই গরমে খুব পরিশ্রম করছেন, এক্সারসাইজ করছেন, তাদেরও এই সমস্যা হতে পারে। তাই দুপুরের দিকে অতিরিক্ত শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে যেতে হবে।

হিট স্ট্রোক প্রতিরোধের উপায়

১. হালকা জামাকাপড় পরতে হবে

২. সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন

৩. পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে

৩. বাইরে বেশি সময় না কাটানোই ভালো

৪. খুব সকালে বা রাতের দিকে বাইরের কাজ সেরে ফেলুন,

৫. ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন

৬. ইউরিনের রঙের দিকে নজর রাখুন, তা হলুদ বা গাঢ় রঙের হলে অবশ্যই পানি পানের পরিমাণ বাড়ান

৭. কফি, মদ্যপান ইত্যাদি থেকে দূরে কাটাতে হবে।


হিট স্ট্রোক এড়াতে ঘরোয়া টোটকা 

১. প্রচুর পানি পান করুন

২.প্রয়োজন দেশি ফলের শরবত খান

৩.খুব বেশি প্রয়োজন না হলে ঘরেই থাকুন

৪.ক্ষেত-খামারে, মাঠে কাজ করতে হলে ছাতা ব্যবহার করুন

৫. পানিশূন্যতা পূরণে স্যালাইন খেতে পারেন

৬. রোদ থেকে এলে মুখে পানির ঝাপটা দিন

৭. গরমে প্রশান্তি পেতে ডাবের পানি, অ্যালেভেরার রস, তেঁতুলের শরবত, পুদিনা পাতার শরবত পান করুন

৮. ভাজাপোড়া খাবার, অতিরিক্ত চর্বি বা বেশি মিষ্টিজাতীয় পরিহার করুন

img

গরমে বাইক চালাতে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

প্রকাশিত :  ১০:৩০, ২৮ এপ্রিল ২০২৪

জীবন ও জীবিকার প্রয়োজনে এই প্রচণ্ড রোদে অনেককে বাইরে বের হতে হচ্ছে । অনেকের ক্ষেত্রে চলাচলের জন্য মাধ্যম হলো বাইক বা মোটর সাইকেল। সূর্যের কড়া তাপে তাদের বাইক চালাতে হয়। কেবল রোদই নয়, সেইসঙ্গে থাকে গরম বাতাসও। যারা প্রতিদিন তীব্র রোদে বাইক চালাচ্ছেন, তাদের কিছু সতর্কতা মেনে চলতে হবে।

হেলমেট ব্যবহার করুন

বাইক চালানোর সময় নিরাপত্তার জন্য তো বটেই, এছাড়া রোদ থেকে বাঁচার জন্যও হেলমেট ব্যবহার করুন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এগুলোতে কালার চেঞ্জিং গ্লাস ব্যবহার করা হয়ে থাকে, যে কারণে তীব্র রোদে চোখও আরাম পায়। সেইসঙ্গে ফুলহাতা ও সুতির পোশাক পরলে রোদের তাপ থেকেও বাঁচতে পারবেন।

ফুয়েল ট্যাঙ্ক

গরমের সময়ে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্ক পুরোপুরি ভরবেন না। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে ডিজেল কিংবা পেট্রল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তেল লিক করলে তা মারাত্মক দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে। তাই গরমের সময়ে ফুয়েল ট্যাঙ্কের অর্ধেক বা চার ভাগের তিন ভাগ তেল নিন।

হাইড্রেটেড থাকুন

মোটরসাইকেল হোক বা সাইকেল, গিয়ারের চাপে গরম অসহ্য হবেই। এজন্য সঙ্গে পানি রাখুন। তীব্র রোদে গাড়ি চালালে ত্বকের ক্ষতি হয়। সেক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারেন সানস্ক্রিন। গরমে দীর্ঘসময় বাইরে থাকলে হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই হিট স্ট্রোকের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে নিন। 

বাইকের কুল্যান্ট নিয়ে ভাবুন

গরমের সময় বাইকের কুল্যান্ট ঠিক আছে কী না দেখা জরুরি। এই কুল্যান্ট আসলে কী। কুল্যান্ট এক ধরনের তরল যা বাইকের ইঞ্জিনের মধ্যে তাপের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। সোজা ভাষায় এটি বাইকে কুলিং সিস্টেম হিসেবে কাজ করে। অ্যান্টিফ্রিজ ও পানির মিশ্রণে তৈরি এই তরল গরমে বাইক সুরক্ষিত রাখে। এ কুল্যান্টের অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখুন। কুল্যান্ট খারাপ হলে ইঞ্জিনে সমস্যা দেখা দিতে পারে।

ইলেকট্রিক পার্টস

তাপদাহে বাইকের ইলেকট্রিক পার্টস ক্ষতি হতে পারে। কমিউটার মোটরসাইকেল হোক অথবা স্পোর্টস বাইক সব রকম টু হুইলারে থাকে একাধিক ইলেকট্রিক পার্টস। তাই রাইড করার সময় অতিরিক্ত ফিউজ সঙ্গে রাখতে পারেন। ব্যাটারির বিষয়টিও মনে রাখবেন।

টায়ারের ক্ষতি হতে সাবধান

গরমে টায়ার প্রেশার সাধারণ সময়ের থেকে একটু কম রাখা ভালো। চাকায় যদি বাতাসের বেগ বেশি থাকে তাহলে গরমকালে চাকা ফেটে যেতে পারে। যারা হাই স্পিডে বাইক চালান তাদের চাকা সরাসরি রাস্তার সংস্পর্শে আসলে অত্যধিক হিট তৈরি হয়। তাই সাবধান না থাকলে টায়ারের ক্ষতি হতে পারে।

ফুয়েল ট্যাংক

গরমে ফুয়েল ট্যাংকের দিকে বাড়তি নজর দিন। গরমের সময় ফুয়েল ট্যাংক সম্পূর্ণ পূর্ণ করা উচিত নয়। কারণ তাপ সৃষ্টি হলে পেট্রল কিংবা ডিজেল দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গ্রীষ্মকালে ফুয়েল ট্যাংক ভরা থাকলে জ্বালানি উপচে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। তাই গরমকালে ফুয়েল ট্যাংক অর্ধেক অথবা চার ভাগের তিন ভাগ পূর্ণ করার চেষ্টা করুন।

চেইন লুব্রিকেট

গরমের সময় বাতাসে ধুলাবালি একটু বেশি থাকে। তাই কিছুদিন পর পর বাইকের চেইন পরিষ্কার ও লুব্রিকেট করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এটি করার ফলে বাইক আরও মসৃণভাবে চালানো যায়। লুব্রিকেটিং করার আগে বাইকের সব মোটরপার্টস অবশ্যই পরিষ্কার করে নিতে হবে।