img

মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় কোন অভ্যাসে

প্রকাশিত :  ০৯:৩৭, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
সর্বশেষ আপডেট: ০৯:৩৯, ২৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৪

মস্তিষ্কের ক্ষতি হয় কোন অভ্যাসে

মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ মস্তিষ্ক আমাদের স্মৃতি, অনুভূতি এবং চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস আছে যা আপনার অজান্তে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। যেমন-


দীর্ঘক্ষণ বসে থাকা

প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এখন আমাদের দৈনন্দিন কাজে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে কাজ করছি। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  এজন্য সপ্তাহে ৫ দিন আধ ঘণ্টা করে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা জরুরি। এছাড়া একটানা বসে না থেকে প্রতি ১৫ থেকে ৩০ পর পর একটু বিরতি নিন।  


অপর্যাপ্ত ঘুম

ব্যস্ত জীবনে অনেকেই ঘুমের মূল্য উপেক্ষা করেন। কিন্তু পর্যাপ্ত ঘুম স্মৃতিশক্তি উন্নত করে, সারাদিন কর্মক্ষম রাখে। ভালো ঘুমের জন্য সময়মতো ঘুমানো, ঘুমানোর অন্তত এক ঘন্টা আগে অ্যালকোহল এবং ক্যাফেইন থেকে বিরত থাকা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে সব ধরনের ডিভাইস থেকে দূরে থাকতে হবে। 


অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্ত্রিনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ক্লান্তি এবং অনিদ্রার কারণ হতে পারে। বড়দের মতো শিশুরাও যদি স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটায় তাহলে তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এ কারণে সবারই স্ক্রিন টাইম সীমিত করা প্রয়োজন। 


কম পানি খাওয়া

পানি মস্তিষ্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অনেকেই দিনে পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। এই অভ্যাস আপনার স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগকে প্রভাবিত করতে পারে। এ কারণে সারা দিন পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। বিশেষ করে শারীরিক কার্যকলাপের আগে এবং পরে,মস্তিষ্ককে উজ্জীবিত রাখতে পানি পান প্রয়োজন।


সকালের নাশতা এড়িয়ে যাওয়া

সকালের নাশতা মস্তিষ্ককে সারাদিনের জন্য প্রয়োজনীয় শক্তি দেয়। অথচ অনেকেই সকালের নাশতা করেন না। ফাইবার, প্রোটিন এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি সমৃদ্ধ একটি সুষম নাশতা আপনার মন্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে ভূমিকা রাখে। 


জোরে গান শোনা

যদিও সঙ্গীত আমাদের মন ভালো রাখে, তারপরও অতিরিক্ত জোরে গান শোনা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। দীর্ঘমেয়াদে জোরে জোরে গান শোনা মস্তিষ্কের গঠন এবং কার্যকারিতাকে প্রভাবিত করতে পারে। কখনও কখনও জোরে জোরে শব্দ শ্রবণশক্তি হ্রাস করতে পারে। 


অপুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ

অতিরিক্ত পরিমাণে চিনি, লবণ, চর্বি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার গ্রহণ করলে আলঝেইমার এবং পারকিনসনের মতো রোগের ঝুঁকি বেড়ে যায়। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে রেড মিট, দুগ্ধজাত খাবারের পাশাপাশি খাদ্যতালিকায় ফল, শাকসবজি, গোটা শস্য, বাদাম, বীজ এবং মাছ রাখুন। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া


img

এই গরমে শিশুর যত্ন কীভাবে নেবেন

প্রকাশিত :  ১৩:০০, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

দেশজুড়ে বয়ে যাচ্ছে প্রচণ্ড তাপদাহ। এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় পরিবারের ছোট্ট সোনামণি। গরমে ঘেমে শিশুদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। শরীরে অনেক সময় র‌্যাশ বের হয়, ঘামাচি হয়। শিশুদের কিছু অসুস্থতার সঙ্গে তাদের মেজাজও খিটটিটে হয়ে যায়। গরমে শিশুদের সুস্থ রাখতে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন।

জেনে নিন সোনামণিকে সুস্থ রাখতে প্রয়োজনীয় কিছু পরামর্শ:

• শিশুকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন,

• নিয়মিত সাবান দিয়ে গোসল করান,

• গোসলের পর শিশুর শরীর ভালো করে মুছে পাউডার দিন,

• গরমে শিশুর খাবার নির্বাচনে সচেতন হতে হবে, শিশুকে পুষ্টিকর এবং শরীরকে ঠাণ্ডা রাখে এমন খাবার দিতে হবে,

• অন্যান্য খাবারের সঙ্গে গরমে শিশুকে প্রচুর পরিমাণে পানি ও ফলের জুস খাওয়ান, 

• গরমে শিশুর দুর্বলতা কাটাতে মাঝে মাঝে খাওয়ার স্যালাইন খেতে দিন,

• সুতি পাতলা কাপড়ের নরম পোশাক পরান,

• বাইরের গরমে শিশুকে কম বের করুন,

• তাকে ধুলাবালি থেকে দূরে রাখুন,

• শিশু ঘেমে গেলে ঘাম মুছে দিতে হবে, 

• শরীরে ঘাম শুকিয়ে গেলে শিশুর জ্বর হতে পারে, অনেক সময় এমন জ্বর অল্পদিনে এমনিতেই সেরে যায়, কিন্তু বেশি দিন গড়ালে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ মতো ব্যবস্থা নিন,

• গরমের সময় শিশুর চুল ছোট করে ছেঁটে রাখুন,

• বড় চুল শুকাতে সময় লাগে, আর ঘামও বেশি হয়,    

• শিশুর যেন পর্যাপ্ত ঘুম হয় সেদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে,

• ঘরে ফ্যান বা এসির তাপমাত্রা শিশু যতটায় স্বস্তিবোধ করে ততটুকুই রাখুন।